
অর্শদীপ অস্ত্রে বাজিমাত রোহিতের, বিরাট-রাহুলেরও প্রশংসায় হিটম্যান, কোহলি ভুলেছেন অতীতকে
টি ২০ বিশ্বকাপে ভারতের সেমিফাইনালে ওঠা নিয়ে সংশয় নেই। শুধু অঘটন আর নানা জটিল অঙ্কের কারণেই বলা যাচ্ছে না ভারত সেমিফাইনালে। সে কারণে ব্যবহার করতে হচ্ছে কার্যত শব্দটি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত অ্যাডিলেডে ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার পর স্বস্তির হাওয়া টিম ইন্ডিয়ার অন্দরমহলে। শেষ ম্যাচে জিম্বাবোয়েকে হারালে বা বৃষ্টির কারণে পয়েন্ট ভাগাভাগি হলেই ভারত চলে যাবে সেমিফাইনালে। তবে গ্রুপশীর্ষে থেকে যাবে কিনা সেটা নির্ভর করবে দক্ষিণ আফ্রিকার পারফরম্যান্সের উপরেই।

স্নায়ুর চাপ সামলে জয়
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে স্নায়ুর চাপ সামলে দল যেভাবে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে তাতে স্বস্তিতে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তাঁকে কখনও উত্তেজিত হতে দেখা যায় না। তবে চাপের মুখে তাঁর মনের অবস্থা কেমন থাকে সেটাই জানতে চেয়েছিলেন সঞ্চালক হর্ষ ভোগলে। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রোহিত সেই প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আমি যেমন শান্ত থাকি, তেমনই একই সময়ে নার্ভাসও লাগে। কিন্তু দল হিসেবে পরিকল্পনার যাতে সঠিক বাস্তবায়ন করা যায় সেজন্য শান্ত থাকতেই হয়। ওভার কমে যাওয়া ম্যাচগুলিতে যা কিছুই হতে পারে। আমরা বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে স্নায়ু ধরে রাখতে পেরেছি। শেষ অবধি জিততে পেরে ভালো লাগছে।

অর্শদীপের প্রশংসা
পাওয়ারপ্লে হোক বা ডেথ ওভার- অর্শদীপ সিং ভরসা দিচ্ছেন ভারতীয় বোলিং আক্রমণকে। রোহিত বলেন, অর্শদীপ যখন প্রথম দলে এলেন তখন আমি তাঁকে ডেথ ওভার করার জন্য বলি। কেন না, বুমরাহর অনুপস্থিতিতে এই দায়িত্ব সামলানো সহজ নয়। একজন তরুণ বোলার হিসেবে সঠিকভাবে ডেথ ওভারে বোলিং করা সহজ নয়। তবে তার জন্য অর্শদীপকে প্রস্তুত করা হয়েছে। ৮-৯ মাস ধরে তিনি ভালো বোলিং করছেন। ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফর্ম করা ক্রিকেটারের পাশে সব সময়ই থাকতে হয়। তাছাড়া শামি ও অর্শদীপের মধ্যে কাউকে বেছে নিতে হতো।

বিরাট-রাহুলকে নিয়ে
বিরাট কোহলির দুরন্ত ফর্ম, সেই সঙ্গে লোকেশ রাহুলের ফর্মে ফেরা- দুটোই স্বস্তি দিচ্ছে রোহিতকে। তাঁর কথায়, কোহলি ভালোই খেলছিলেন। শুধু কয়েকটা ইনিস দরকার ছিল। এশিয়া কাপের পর থেকে তাঁকে ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রচুর অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেই সঙ্গে রাহুল যেভাবে ব্যাট করেছেন এটা তাঁর ও দলের পক্ষে খুব গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ম্য়াচে দলের ফিল্ডিং নিয়েও খুশি রোহিত। তিনি বলেন, এত দর্শকের সামনে এমন চাপের পরিস্থিতিতে ক্যাচ ধরা সহজ নয়। তবে আমরা কয়েকটি ক্যাচ ভালো ধরেছি। দলের ক্রিকেটারদের চারিত্রিক দৃঢ়তায় এতে প্রকাশিত হয়য দলের ফিল্ডিং নিয়ে আমার কোনও সংশয় ছিল না।
উপভোগ করছেন কোহলি
চলতি টি ২০ বিশ্বকাপে তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফের ম্যাচের সেরা বিরাট কোহলি। তিনি বলেন, খেলাটি এতটা ক্লোজ হবে ভাবিনি। তবে ব্যাট হাতে আজ আমার দিনটা ভালো গিয়েছে। আমি যখন নামি তখন চাপ ছিল। তাই বল দেখে খেলতে থাকি। এখন মানসিকভাবেও ভালো জায়গায় রয়েছি। ফলে কোনও কিছুর সঙ্গে তুলনা করব না। যা আগে হয়েছে তা অতীত। পছন্দের অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপের কথা শুনেই প্রস্তুতি যে তিনি নিতে শুরু করেছিলেন সে কথা জানিয়ে কিং কোহলি বলেন, আমি জানতাম ভালো ক্রিকেটীয় শট গুরুত্বপূর্ণ হবে। অস্ট্রেলিয়ার খেলার অভিজ্ঞতা দলের পক্ষে ইতিবাচক হবে। অ্যাডিলেডে খেলতে সব সময়ই ভালোবাসি। নেটে ঢুকলেই মনে হয় যেন নিজের জায়গাতেই এসেছি। অ্যাডিলেডে নেমেছিলেন নিজের ব্যাটিং উপভোগ করতে, সেটা হওয়ায় তৃপ্ত কিং কোহলি।
লিটনের লড়াকু ব্যাটিংয়ে নজির, ভারতের বিরুদ্ধে লড়ে হারার ধারা বদলাতে না পেরে হতাশ শাকিব