অ্যাডিলেডে পুনর্জন্ম দুরন্ত রাহুলের, ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে বিরাট-মন্ত্রেই কীভাবে সাফল্য?
অ্যাডিলেডে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচটি লোকেশ রাহুলের টি ২০ কেরিয়ারে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকল। বিশ্বকাপের প্রথম তিনটি ম্যাচে ব্যর্থ হলেও লোকেশ রাহুলের উপরই আস্থা রেখেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। আজ শুধু ব্যাট হাতে ফর্মে ফিরে অর্ধশতরানই করলেন না, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের জয়ের টার্নিং পয়েন্টও তাঁর সরাসরি থ্রো-এ লিটন দাসের রান আউট। রাহুলের ফর্মে ফেরা তাঁর এবং দলের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। রাহুলও খুশি ছন্দ ফিরে পেয়ে।
ছন্দে ফিরে খুশি
লোকেশ রাহুল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের জয়ের পর অ্যাডিলেডে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। চলতি টি ২০ বিশ্বকাপে এর আগে তিনটি ইনিংসে মাত্র ২২ রান করেছিলেন। এই সময়কালে তাঁর মনের অবস্থা কেমন ছিল তা নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে কেএল বলেন, আমরা সকলেই উপভোগ করছি বিশ্বকাপের ম্যাচগুলি। গত এক বছর ধরে আমরা এই কাপ জেতার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। দেশের মাটিতে ভালো ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়ায় এসেছি। এখানে প্রস্তুতি ম্যাচেও রান পাই। তবে আগের ম্যাচগুলিতে আবার রান করতে পারিনি। তবে আমি ভালো বা খারাপ খেলি, সব সময়ই ভারসাম্য বজায় রাখার উপরই জোর দিয়ে থাকি। দল আমাকে নির্দিষ্ট দায়িত্ব দিয়েছে। তা যথাযথভাবে পালন করতে পারলে আমি শান্তিতে ঘুমোতে পারি।
সুযোগের সদ্ব্যবহার
ভারতীয় দলের সহ অধিনায়ক লোকেশ রাহুল বলেন, এটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছিল। আমরা সকলেই অবদান রাখতে চেয়েছি। আজ সুযোগ কাজে লাগাতে পেরেছি বলে ভালো লাগছে। প্রত্যেক ম্যাচেই কেউ না কেউ অবদান রাখছেন। আমরা সকলেই কঠোর পরিশ্রম করেছি। কঠিন পরিস্থিতির জন্য নিজেদের প্রস্তুত করেছি। ফলে সময়মতো আমরা কঠিন সময়েও পরিকল্পনা অনুযায়ী নিজেদের মেলে ধরতে তৈরি।
টার্নিং পয়েন্ট
লোকেশ রাহুলের সরাসরি থ্রো ফিরিয়ে দিয়েছে বিপজ্জনক লিটন দাসকে। এটাকেই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট ধরছেন বিশেষজ্ঞরা। রাহুল বলেন, আমরা সকলেই ফিল্ডিং অনুশীলনে জোর দিয়ে থাকি। থ্রো কিংবা ক্ষিপ্রতার সঙ্গে বল ধরার প্র্যাকটিস চলে। এদিন বল পেয়েই উইকেট লক্ষ্য করে ছুড়ি। লিটন দাসের ইনিংস সম্পর্কে রাহুল বলেন, লিটন ব্যতিক্রমী ইনিংস খেলেছেন। এমন ধরনের ইনিংস প্রতিপক্ষের উপর চাপ তৈরি করে। গুড লেংথের বলেও ভালো শট খেলেছেন লিটন। তবে আমরা নিশ্চিত ছিলাম পাওয়ারপ্লে-র ওভারের পরেই বাংলাদেশের উপর চাপ তৈরি করতে পারব। বৃষ্টি না হলেও সেটা হতোই। আমাদের সেই বিশ্বাসটা ছিলই। ফলে খেলা শুরু হতেই পরিকল্পনামাফিকই আমরা ম্যাচের মোড় ঘোরাতে পেরেছি।
বিরাটের পরামর্শ
বাংলাদেশ ম্যাচের আগের দিন নেটে অনেকটা সময় বিরাট কোহলির সঙ্গে কাটিয়েছিলেন রাহুল। সেই সম্পর্কে রাহুল বলেন, আমরা মাইন্ডসেট নিয়ে নিজেদের মধ্যে কথা বলে থাকি। আমরা আলোচনা করছিলাম একটা বিষয়ে যে, এর আগে অস্ট্রেলিয়ায় বিভিন্ন ফরম্যাটে খেলেছি। তবে এবারের উইকেট বেশি চ্যালেঞ্জিং। সেই উইকেটে বিরাট কোহলি রান পাচ্ছেন। ফলে তিনি এমন কিছু করছেন যেটা সঠিক। সেই বিষয়গুলি সম্পর্কে তাঁর কাছে জানতে চেয়েছি। রান না পাওয়ার হতাশা ছিল। তবে এই সময় সাপোর্ট স্টাফরা যেভাবে সহযোগিতা করেছেন, সেজন্য তাঁদের ধন্যবাদও জানান রাহুল।