এবার সিএসকের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে ছাঁটাই রায়না, নতুন জল্পনা
এবার সিএসকের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে ছাঁটাই রায়না, নতুন জল্পনা
আইপিএল খেলতে গিয়ে সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না চেন্নাই সুপার কিংসের। একদিকে দলের সহঅধিনাক সুরেশ রায়নার আইপিএল না খেলা নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। অন্যদিকে দলে করোনা সংক্রমণ। আক্রান্ত ক্রিকেটার-স্টাফদের বাদ দিয়ে টিমের বাকি সদস্যরা করোনা নেগেটিভ আসায়, শিবিরে স্বস্তি ফিরলেও রায়নাকে নিয়ে জল্পনা থামছেই না।
পটভূমি
অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় দিনের আলোয় ভারতের দুই সিক্রেট এজেন্টের খুন হয়। কাট পরের শটেই মুম্বইয়ে দেখানো হয় সাবানা খানকে (তাপসী পান্নু)। যার জীবন মা আর কুডো প্রশিক্ষণ ঘিরেই। শাবানা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আবেগে ভাসার মেয়ে সে নয়। কলেজের বন্ধু জয় (তাহির সাব্বির মিঠাইওয়ালা) শাবানার প্রেমে পাগল কিন্তু শাবানা তাকে এড়িয়ে চলে।
কিন্তু চড়াই উতরাইয়ের পর শাবানা আর জয়ের প্রেমপর্ব ঠিক শুরুই হবে এমন সময় ইভ টিজিংয়ের শিকার হয় শাবানা এবং প্রতিবাদ করতে গিয়ে খুন হতে হয় জয়কে।
মৃত প্রেমিকের মৃত্যুর বিচার চাওয়ায় সিক্রেট এজেন্সির থেকে একের পর এক রহস্যজনক ফোন আসতে শুরু রে শাবানার কাছে। তারা শাবানাকে দলে যোগ দিতে বলে, বদলে জয়ের খুনিদের ধরতে তারা সাহায্য করবে বলে প্রস্তাব দেয়। শাবানা যোগ দেয়। এরপর তাকে অজয় রাজপুতের (অক্ষয় কুমার) সহকারী হিসাবে আন্তর্জাতিক অস্ত্র মাফিয়া টনি/মিখাইলকে (পৃথ্বীরাজ সুকুমারন) ধরতে মালয়শিয়ায় পাঠানো হয়। বাকিটুকু নয় থিয়েটার হলের জন্যই তোলা থাক।
এবার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে ছাঁটাই রায়না
এবার জানা গেল, দুবাই ছেড়ে ভারতে ফিরে আসার পর সুরেশ রায়নাকে দলের হোয়াইটস অ্যাপ গ্রুপ থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে। যারপর রায়নার সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙন নিয়ে আরও বেশি করে জল্পনা শুরু হয়ে গেল।
পরিচালনা
এককথায় বলতে গেলে চরম ও তীব্রভাবে হতাশ করেছেন লেখক নীরজ পাণ্ডে। অক্ষয়কুমার অভিনীত বেবি ছবিতে নিজের দক্ষতা দেখিয়েছিলেন লেখক নীরজ পান্ডে এই ছবিতে তার সেই দক্ষতার উপরই নিজের হাতে প্রশ্নচিহ্ন লাগিয়ে দিলেন নীরজ। শুধু একটা ছবি তৈরি করতে হবে বলে দায়সারা গোছের দুর্বল চিত্রনাট্য নিয়ে এই ছবি তৈরি করা বলেই মনে হয়েছে প্রতি পদে পদে। তবু পরিচালক শিবম নায়ার বহু চেষ্টা করেছেন চিত্রনাট্যের ত্রুটিগুলি ঢাকতে, কিন্তু পারেননি। উল্টে অযথা বিনা কারণে ছবি মাঝে মধ্যে যেখানে সেখানে টুকরো টুকরো গান ঢুকিয়ে দর্শকের স্য়ারিডনের খরচ বাড়িয়ে দিয়েছেন।
দেশে ফিরে আসা নিয়ে রায়নার বক্তব্য
আইপিএল খেলতে গিয়ে দুবাই পৌঁছেও কেন তিনি ভারতে ফিরে আসেন, সেই নিয়ে রায়না সরাসরি কিছু বলেননি। তবে তাঁর পরিবারের উপর কেউ বা কারা হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন। পাঞ্জাবের পাঠানকোটে দুষ্কৃতী হামলার ঘটনায় রায়নার পিসেমশাই নিহত হন বলে রায়না জানান। এক ভাই গুরুত্বর অসুস্থ হওয়ার পর নিহত হয়েছেন বলেও রায়না জানান। পিসি লাইফ সাপোর্টে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন বলেও তারকা ক্রিকেটার টুইট করেছেন।
অভিনয়
ছবির নামই বলে দেয় এই ছবিটা শুরু থেকে শেষ শাবানাকে নিয়ে অর্থাৎ তাপসীকে নিয়ে। অ্যাকশন দৃশ্য় মন্দ করেনন না তাপসী, এছবিতেও বেশ ভাল কিছু অ্যাকশন দৃশ্য দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি। কিন্তু আবেগের দৃশ্য তিনি কেঁদেছেন, নাক দিয়ে মুখ দিয়ে জল ফেলেছেন ঠিকই কিন্তু তবুও অভিনয় দিয়ে মনে ধাক্কা দিতে পারেননি। এই দৃশ্যগুলিতে পরিচালকের আরও সতর্ক হওয়া উচিৎ ছিল।
মনোজ বাজপেয়ী বড় মাপের অভিনেতা। তাঁকে ঠিক যতটা বলা হয়েছে তিনি করেছেন। কিন্তু চিত্রনাট্যের দোষেই হোক বা অন্যকিছু মনোজ বাজপেয়ীর অভিনয়তেও কোথাও যেন খামতি রয়ে গিয়েছে।
মুখ্য খলনায়কের চরিত্রে পৃথ্বীরাজকে খুব একটা প্রভাবশালী বা শক্তিশালী কোনওটাই লাগেনি। বরং দেখে মনে হয়েছে ছবিতে ভিলেন হয়ে যেন ফেঁসে গিয়েছেন তিনি। ভিলেন মনে না হলেও হ্যান্ডসম পৃথ্বীরাজ কিছু কিছু দৃশ্যে মন কেড়েছে নিজের ব্যক্তিত্ব দিয়ে।
বেবি ছবির নানা চরিত্রকে ছোট ছোট দৃশ্যে তুলে আনা হয়েছে। আর সেটাই সবচেয়ে বড় ভুল পরিচালকের। এই চরিত্রগুলি এনে বারবার মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে বেবির তুলনায় নাম শাবানা ছবির গুণগত মান কতটা নিচে।
টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে মতবিরোধের খবরও উড়িয়ে দিয়েছেন বাঁ হাতি
রায়না দেশে ফিরে আসার পর, সিএসকে দলের সহঅধিনায়ককে নিয়ে গুঞ্জন রটে। টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে মতবিরোধের কারণেই নাকি সিএসকে ছেড়ে ভারতে ফিরে এসেছিলেন রায়না। আরও জানা গিয়েছিল, দুবাইয়ে ধোনি ব্যালকনি দেওয়া রুমে থাকতেন। সুরেশ রায়না এমন রুম পাননি বলেই নাকি ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে এই নিয়ে ঝামেলা হয়।
সবশেষে,
যারা বেবি দেখার পর মুগ্ধ হয়েছিলেন এবং যারা বেবি-র মতো প্রত্যাশা নিয়ে নাম শবানা দেখতে যাবেন, তাদের জন্য এই ছবি চরম হতাশার। এই ছবি দেখতে হলে ঢোকার আগে ডিসপিরিন, স্যারিডন আর কয়েক কাপ কফি মাস্ট।
গ্রুপ থেকে বাদ দেওয়ার পর রায়নার প্রতিক্রিয়া
টিম সূত্রে খবর দলের হোয়াইটস গ্রুপ থেকে বাদ পড়ার পর রায়না, ধোনি ও ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যোগযোগ করে চেন্নাইয়ে ফেরার জন্য ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন।
নতুন চুক্তি পছন্দ হয়েছে, বার্সেলোনা ছাড়ার পর এই ক্লাবে ৫ বছরের জন্যে সই করতে পারেন মেসি