স্বাধীনতা দিবসের ২ দিন পরই বিসিসিআই সভাপতি সৌরভের ভাগ্য নির্ধারণ
স্বাধীনতা দিবসের ২ দিন পরই বিসিসিআই সভাপতি সৌরভের ভাগ্য নির্ধারণ
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বিসিসিআই সভাপতির পদ আর ধরে রাখতে পারবেন কিনা, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছু দিন। মামলা বিচারাধীন থাকায় ততদিন বোর্ড সভাপতি পদে মহারাজ কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন বলেই জানা গিয়েছে। একই নিয়ম বিসিসিআই সচিব জয় শাহের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে বলেই খবর।
বিসিসিআইয়ের আবেদন
দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি আরএম লোধা নেতৃত্বাধীন কমিটি বর্ণিত সংবিধানে উল্লেখিত কুলিং-অফের নিয়ম শিথিল করার আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিসিসিআই। একই সঙ্গে ওই সংবিধানে বর্ণিত আরও ৬টি বিষয় পরিবর্তনের আবেদন জানায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। গত ২২ জুলাই প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ সেই আবেদন গ্রহণ করে। সেই সঙ্গে প্রশ্ন করে, সৌরভ এবং জয়ের মধ্যে এমন কী ক্যারিশমা রয়েছে, যার জন্য বিসিসিআই এত উতলা হয়ে পড়ছে।
ফের শুনানি কবে
গত ডিসেম্বর থেকে এখনও পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে দুটি আবেদন দাখিল করেছে বিসিসিআই। ২১ এপ্রিল শীর্ষ আদালতে এ ব্যাপারে শেষ আর্জি জমা দেয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তাতে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও সচিব অমিত শাহের কার্যকালের মেয়াদ ২০২৫ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর আবেদন জানানো হয়। এর প্রেক্ষিতেই গত ২২ জুলাই অল্প সময়ের জন্য সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হয়। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ১৭ অগাস্ট।
কুলিং-অফের নিয়ম
সুপ্রিম কোর্ট মনোনিত বিচারপতি আরএম লোধা নেতৃত্বাধীন প্যানেলের তৈরি বিসিসিআই সংবিধানে বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি পৃথক ভাবে রাজ্য ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড কিংবা দুই স্তর মিলিয়ে টানা ছয় বছরের কিংবা দুই বারের বেশি পদ ধরে রাখতে পারবেন না।
সৌরভের সমস্যা
২০১৫ সালে সিএবি সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। গত অক্টোবরে বিসিসিআই সভাপতি হন মহারাজ। সবমিলিয়ে ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবে সৌরভের ছয় বছর সম্পূর্ণ হয়েছে। নিয়ম পরিবর্তন না হলে ২৭ জুলাই তাঁকে বিসিসিআই সভাপতির পদ থেকে তিন বছরের জন্য বিরাম নিতে হবে। একই অবস্থায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের পুত্র জয় শাহেরও। ৭ মে-তে শেষ হয়েছে তাঁর মেয়াদ। সুপ্রিম কোর্টে সেই নিয়ম শিথিল করার আবেদন জানিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও জয় শাহ।