অন্তত ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিসিসিআই সভাপতি পদে বহাল সৌরভ, সচিব পদে শাহ
অন্তত ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিসিসিআই সভাপতি পদে বহাল সৌরভ, সচিব পদে শাহ
অন্তত আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিসিসিআই-এর সভাপতি পদে বহাল থাকছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। একই সময় কালে বোর্ড সচিব পদে আসীন থাকবেন জয় শাহও। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য থেকে জানা গিয়েছে যে এই মামলার নিষ্পত্তি সহজে ঘটবে না। ঠিক কী বলেছে শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য
বুধবার সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও সচিব জয় শাহের কার্যকালের মেয়াদ বৃদ্ধি সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি ছিল। সেই শুনানি আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। অর্থাৎ ততদিন ভারতীয় বোর্ডের শীর্ষ আসনে আসীন থাকবেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও জয় শাহ।
আগে কী বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট
দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি আর এম লোধা নেতৃত্বাধীন প্যানেলের তৈরি বিসিসিআই সংবিধানে বর্ণিত কুলিং-অফের নিয়ম অনুযায়ী বিসিসিআই সভাপতি ও সচিব পদ থেকে অব্যাহতি নেওয়ার কথা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও জয় শাহের। এই নিয়মের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ২০২০ সালের ২২ জুলাই আবেদন গ্রহণ করেছিল দেশের প্রধান বিচার শরদ অরবিন্দ বোবদে নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। পরে মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এল নাগেশ্বর রাও নেতৃত্বাধীন ওই বেঞ্চে রয়েছেন হেমন্ত গুপ্ত এবং অজয় রাস্তোগির মতো অভিজ্ঞ বিচারপতিরা।
সমস্যা ঠিক কোথায়
২০১৫ সালে সিএবি সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৯ সালের অক্টোবরে বিসিসিআই সভাপতি হয়েছিলেন মহারাজ। সবমিলিয়ে ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবে সৌরভের ছয় বছর সম্পূর্ণ হয়েছে। নিয়ম পরিবর্তন না হলে ২৭ জুলাই তাঁর বিসিসিআই সভাপতির পদ থেকে তিন বছরের জন্য বিরাম নেওয়ার কথা। একই অবস্থা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের পুত্র জয় শাহেরও। ৭ মে-তে বিসিসিআই সচিব পদে তাঁর মেয়াদ শেষ হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে সেই নিয়ম শিথিল করার আবেদন জানিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
৭০ বছরের নিয়ম পরিবর্তন
বিসিসিআইয়ের বিভিন্ন পদে সত্তোরোর্ধ কোনও ব্যক্তি আসীন থাকুন, তেমনটা চায় না সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় শিবির। নিয়ম পরিবর্তনেরও জন্যও শীর্ষ আদালতে মামলা করা হয়েছে।
বিসিসিআইয়ের বন্ধুত্ব ও বিশ্বাসে আপ্লুত ক্রিকেট অস্ট্রলিয়া, সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলা চিঠি