বিরাট কোহলি জোহানেসবার্গ টেস্টের আগে ফোন করুন সচিন তেন্ডুলকরকে! কেন এই পরামর্শ দিলেন সুনীল গাভাসকর?
২০২০-র পর ২০২১ সালেও বিরাট কোহলির ব্যাটে শতরান নেই। ৩ জানুয়ারি থেকে শুরু জোহানেসবার্গ টেস্ট। যেখানে ভারত কখনও হারেনি। নতুন বছরে বিরাটের ব্যাটে যাতে শতরান বা বড় রান আসে সেজন্য জরুরি পরামর্শ দিলেন সুনীল গাভাসকর। তাঁর পরামর্শ, নতুন বছরের জন্য সচিন তেন্ডুলকরকে শুভেচ্ছা জানাতে ফোন করুন ভারতের টেস্ট অধিনায়ক। আর তখনই সচিন তেন্ডুলকরের পরামর্শ নিয়ে নিজের ব্যাটিংকে আরও নিখুঁত করে তুলুন বিরাট।
বিরাট কোহলি ২০১৯ সালে ইডেনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গোলাপি বলে দিন-রাতের টেস্টে শতরান করেছিলেন। তারপর থেকে কোনও ফরম্যাটেই আর শতরান পাননি। ২০২০ সালে তিনটি টেস্টে তিনি ১১৬ রান করেন, সর্বাধিক ৭৪। গড় ১৯.৩৩, একটি অর্ধশতরান রয়েছে। ২০২১ সালে ১১টি টেস্টে ১৯টি ইনিংসে বিরাটের রান ৫৩৬, সর্বাধিক ৭২। গড় ২৮.২১, চারটি অর্ধশতরান রয়েছে, চারবার শূন্যে আউট। সুনীল গাভাসকর এদিন বলেন, বিরাটের ব্যাটে যে খুব বড় সমস্যা রয়েছে তা নয়। ব্যাটের মাঝখান দিয়েই তিনি খেলছেন। কিন্তু সব ব্যাটারই কিছু না কিছু ভুল করেন। এটা বলা যেতেই পারে বারবার অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল তাড়া করে তিনি আউট হচ্ছেন। একইসঙ্গে এটাও ঠিক, ভাগ্য সহায় হচ্ছে না বিরাটের। অনেক ব্যাটারের ক্যাচ পড়ে, বল ফিল্ডারদের মাঝখান দিয়ে চলে যায়। কিন্তু বিরাটের ক্ষেত্রে তা হচ্ছে না, বল ব্যাটে লাগার পর ফিল্ডারদের তালুবন্দি হয়ে যাচ্ছে। আশা করব, নতুন বছরে লাক বিরাটকে ব্যাটিংয়ের সময় সহায়তা করবে।
Marco Jansen bringing the magic on debut🤩 #SAvIND #FreedomTestSeries #BetwayTestSeries #BePartOfIt pic.twitter.com/7cYIorUwsY
— Cricket South Africa (@OfficialCSA) December 29, 2021
এরপরই গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শটি দেন গাভাসকর। তিনি বলেন, পরের টেস্টের আগে সচিন তেন্ডুলকরকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাতে বিরাট ফোন করতে পারেন। তখন সচিন তেন্ডুলকরের থেকেও বিরাট কোহলি কিছু পরামর্শ পেতে পারেন। উল্লেখ্য, ২০০৩-০৪ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে সচিনও অফ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে আউট হচ্ছিলেন বারবার। ৫টি ইনিংসে মাত্র ৮২ রান করেন। এরপরই তিনি পণ করেন সিডনি টেস্টে একটিও কভার ড্রাইভ মারবেন না। তার সুফলও মিলেছিল। প্রথম ইনিংসে ৪৩৬ বলে ২৪১ রান করেছিলেন। ৬১৩ মিনিট ক্রিজে ছিলেন। মেরেছিলেন ৩৩টি চার। কিন্তু একটিও কভার ড্রাইভ মারেননি। দ্বিতীয় ইনিংসেও সচিন অপরাজিত ছিলেন ৬০ রানে। বেশিরভাগ শট অন সাইডে খেলেছিলেন সচিন। টেস্টটি ড্র হয়েছিল। সেই উদাহরণ মনে করিয়ে গাভাসকর বলেন, বিরাটও যেমন অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে আউট হচ্ছেন, সেক্ষেত্রে তিনি উপকৃত হতে পারেন সচিনের পরামর্শ কাজে লাগালে।
🥊day 🏏..⏳ pic.twitter.com/kV3tbqlQdp
— Virat Kohli (@imVkohli) December 23, 2021
ভারতীয় দলের প্রাক্তন ব্যাটিং কোচ তথা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হেড কোচ সঞ্জয় বাঙ্গারের তত্ত্বাবধানেও মুম্বই টেস্টের আগে অনুশীলন করেছিলেন বিরাট। বাঙ্গার এদিন বলেন, সপ্তম থেকে নবম স্টাম্পে বল করে বিরাটের উইকেট তুলে নিচ্ছেন বিপক্ষের বোলাররা। বিরাট নিজে তাঁর ব্যাটিং নিয়ে ভাবনাচিন্তা করেন। যা খামতি রয়েছে তা তিনি শুধরেও নিতে পারবেন। তবে বিপক্ষ বোলারদের রণকৌশল ভেস্তে দিতে অফ স্টাম্পের বল যত বেশি সম্ভব শুরুর দিতে তাঁর ছেড়ে দেওয়া উচিত। তাতে বোলাররাও ধৈর্য্য হারিয়ে তাঁর শরীরের কাছাকাছি বল করবেন। আর সেক্ষেত্রে বিরাটের মতো ব্যাটার নিজের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে সাফল্য পাবেন নিশ্চিতভাবেই।