সুদীপের পর শতরানের দিকে অনুষ্টুপ, রঞ্জি কোয়ার্টার ফাইনালে ঝাড়খণ্ডকে ব্যাকফুটে ঠেলল অভিমন্যুর বাংলা
রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে নামার আগে পিচ নিয়ে কিছুটা চিন্তা ছিল বাংলা শিবিরে। বিশেষ করে এবারের রঞ্জিতে বাংলার টপ অর্ডারও টিম ম্যানেজমেন্টকে চিন্তামুক্ত রাখতে পারছিল না। কিন্তু বেঙ্গালুরুর জাস্ট ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আজ দিনভর দাপট দেখাল বাংলা। সুদীপ ঘরামি পেলেন দুরন্ত শতরান। তাঁর সঙ্গে জুটি বেঁধে সেঞ্চুরি থেকে ১৫ রান দূরে রয়েছেন অনুষ্টুপ মজুমদার। প্রথম দিনের শেষে বাংলার স্কোর এক উইকেটে ৩১০।
টস জিতে বাংলাকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল ঝাড়খণ্ড। বাংলার শুরুটা ভালোই করেন দুই ওপেনার অভিষেক রামন ও অভিমন্যু ঈশ্বরন। ইনিংসের ২৫তম ওভারে অভিষেক রামন রিটায়ার্ড হার্ট হওয়ার আগে করেন ৭২ বলে ৪১ রান। তাঁর ইনিংসে রয়েছে সাতটি চার। এরপর দলের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন ঈশ্বরন ও সুদীপ ঘরামি। ৩৯.৫ ওভারে বাংলার প্রথম উইকেট পড়ে। সুশান্ত মিশ্রর বলে লেগ বিফোর হন ঈশ্বরন। তিনি ১২৪ বলে ৬৫ রান করেন। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৯টি চার ও একটি ছয়।
১৩২ রানের মাথায় উইকেট পড়ার পর আর কোনও উইকেট হারায়নি বাংলা। প্রথম দিনে খেলা হয়েছে ৮৯ ওভার। বাংলার স্কোর ১ উইকেটে ৩১০। সুদীপ ঘরামি ১৩টি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে ২০৪ বলে ১০৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন। ১৩৯ বলে ৮৫ রানে অপরাজিত রয়েছেন চলতি মরশুমে বাংলার হয়ে সর্বাধিক রান করা প্রাক্তন অধিনায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার। অনুষ্টুপের ইনিংসে রয়েছে ১১টি চার। সুশান্ত মিশ্র ১৫ ওভারে একটি মেডেন ওভার করেছেন, ৭৫ রানে নেন ১ উইকেট। শাহবাজ নাদিম ২৫ ওভারে ৬১ ও অনুকূল রায় ১৮ ওভারে ৫৫ রান দিয়েছেন।
ইনিংসের ৮১তম ওভারে সুদীপ ঘরামি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের প্রথম শতরানটি পূর্ণ করেন ১৭৭ বল খেলে। ৫৪তম ওভারে শাহবাজ নাদিমকে ছক্কা ও পরের বলে ২ রান নিয়ে ৮৮ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেছিলেন। কটকে বাংলার গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচগুলিতে রান পাননি ঘরামি। বরোদার বিরুদ্ধে ২১ এ ২৭, হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ১৪ ও শূন্য এবং চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে ০ ও ১৩ রানে আউট হয়েছিলেন। তারপরও তাঁর উপর আস্থার পূর্ণ মর্যাদা সুদীপ দিলেন কোয়ার্টার ফাইনালে দুরন্ত শতরান পূর্ণ করে। বাংলাকে সেমিফাইনালে পৌঁছে দিকে যা নিশ্চিতভাবেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। ইডেনে প্রি কোয়ার্টারে রানের পাহাড় গড়লেও বাংলা যেভাবে ব্যাট করছে তাতে অভিমন্যুদের রান টপকানো কঠিনই হবে ঝাড়খণ্ডের।