আইপিএল ২০২০ : মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের শক্তি, দুর্বলতা ও প্রথম একাদশ কী হতে পারে
আইপিএল ২০২০ : মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের শক্তি, দুর্বলতা ও প্রথম একাদশ কী হতে পারে
চার বারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স করোনা ভাইরাসের আবহে এবারও ট্রফি জেতার জন্য মরিয়া হয়ে ঝাঁপাবে। রোহিত শর্মার দলে সেই ক্ষমতা রয়েছে বলেই মনে করেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। সেই দলের শক্তি, দুর্বলতায় চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক। দেখে নেওয়া মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সম্ভাব্য প্রথম একাদশ।
কেশব প্রসাদ মৌর্য
বিজেপির উত্তরপ্রদেশের রাজ্য সভাপতি কেশব প্রসাদ মৌর্য। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ইনি অন্যতম শক্তিশালী প্রার্থী। মৌর্যকে কখনও খুব একটা ফ্রন্টফুটে দেখা যায়নি। অর্থাৎ বড় বড় জনসভাগুলিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে মঞ্চে খুব একটা মুখ দেখাতে দেখা যায়নি তাঁকে। তবে দলীয় কর্মীদের মতে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে রাজ্যে বিজেপির মাটি শক্ত করতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন মৌর্য।
তবে সাংগঠনিক কাজে কেশব প্রসাদ মৌর্য অনেকটা এগিয়ে থাকলেও অভিজ্ঞতার দিক থেকে প্রশাসনিক দক্ষতায় কিছুটা পিছিয়ে রয়েছেন তিনি।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের শক্তি
১) অধিনায়ক রোহিত শর্মার ক্ষুরধার মস্তিষ্ক মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অন্যতম প্রধান শক্তি। একই সঙ্গে ব্যাটসম্যান রোহিতও মুম্বইয়ের সবচেয়ে বড় ভরসা। একাই যে কোনও ম্যাচ বের করে আনার ক্ষমতা রাখেন হিটম্যান।
২) প্রতি বছরের মতো এবারও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলে ম্যাচ উইনার, টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্টদের ছড়াছড়ি। হার্দিক পান্ডিয়া, কুইন্টন ডি কক, কাইরন পোলার্ড, ক্রুনাল পান্ডিয়া তাঁদের মধ্যে অন্যতম। অল-রাউন্ড পারফরম্যান্সে যাঁরা বিশেষভাবে মাহের। অস্ট্রেলিয় ওপেনার ক্রিস লিনের অন্তর্ভূক্তি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের শক্তি আরও বাড়াতে চলেছে।
৩) জসপ্রীত বুমরাহ, লাসিথ মালিঙ্গা, ট্রেন্ট বোল্ট সম্বৃদ্ধ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বোলিং আক্রমণ বিশ্বের অন্যতম সেরা বলে করে ক্রিকেট বিশ্ব।
রাজনাথ সিং
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তথা উত্তরপ্রদেশের বিজেপির শেষ মুখ্যমন্ত্রী রাজনাথ সিং। ২০০২ সালে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন রাজনাথ। গাজিয়াবাদের সাংসদ রাজ্যে বিশাল পরিমাণে নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছেন। রাজ্যে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ১২০টি জনসভা করেছেন। দু দফায় দলের সভাপতিও ছিলেন রাজনাথ। ফলে প্রশাসনিক ও সাংগঠনিক দুই দিকের অভিজ্ঞতাই রয়েছে তাঁর।
অভিজ্ঞতার নিরিখে দেখলে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এদিয়ে রাজনাথই।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের দুর্বলতা
চার বারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের প্রধান এবং একমাত্র দুর্বলতা তাদের স্পিন বিভাগে লুকিয়ে রয়েছে বলে মনে করেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। রাহুল চাহার, ক্রুনাল পান্ডিয়ারা সফলতা যথেষ্ট নয় বলে মনে করা হচ্ছে।
মনোজ সিনহা
গাজিপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ মনোজ সিনহা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদের অন্যতম দাবিদার। ইনি রেল মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী। বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিটেক ও এমটেক ডিগ্রিপ্রাপ্ত। সিনহা তৃণমূল স্তরে কাজ করার পক্ষে। উত্তরপ্রদেশের পূর্ব ভাগ থেকে দলীয় নেতা কর্মীদের অভাবনীয় সমর্থন রয়েছে তাঁর জন্য।
কোন ক্রিকেটারদের দিকে নজর
রোহিত শর্মা, কাইরন পোলার্ড, হার্দিক পান্ডিয়া, জসপ্রীত বুমরাহ, ক্রিস লিন, ট্রেন্ট বোল্ট।
যোগী আদিত্যনাথ
গোরখপুরের সাংসদ যোগী আদিত্যনাথ বারবার বিতর্ক তৈরি করেছেন নিজের মন্তব্যে। তবুও বিজেপি আদিত্যনাথকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে দাঁড় করিয়ে ফাটকা খেলতে পারে। তবে, তাঁর কট্টর হিন্দুত্ববাদী মানসিকতা জেরে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী বানিয়ে ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ককে চটাতে চাইবে কি না তা দেখার। তবে আদিত্যনাথের জন্য আরএসএস-এর সমর্থন রয়েছে ঠিকই, তবে তবে আগামী লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে আদিত্যনাথকে সরকারে শীর্ষে বসানোর সাহস বিজেপি হয়তো দেখাতে চাইবে না।
সম্ভাব্য প্রথম একাদশ
ক্রিস লিন, কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), রোহিত শর্মা, সূর্যকুমার যাদব, কাইরন পোলার্ড, হার্দিক পান্ডিয়া, ক্রুনাল পান্ডিয়া, রাহুল চাহার, জসপ্রীত বুমরাহ, লাসিথ মালিঙ্গা, ট্রেন্ট বোল্ট।
বরুণ গান্ধী
নির্বাচনী প্রচারে বেশ খানিকটা কোণঠাসা ছিলেন বরুণ গান্ধী। সবে বরুণকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বেছে চমক দিতে পারে বিজেপি। নিজের লোকসভা কেন্দ্র সুলতানপুর থেকে ব্যপক সমর্থন রয়েছে বরুণের। তবে কোনও অজ্ঞাত কারণে দীর্ঘদিন ধরেই দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন বরুণ। তবে সুলতানপুরের একাংশে ইতিমধ্যেই বরুণ গান্ধীকে মুখ্যমন্ত্রী করার ডাক দিয়েছে দলীয় নেতা কর্মীদের একাংশ।