কলম্বোয় ভারতের ব্যাটিং বিপর্যয়, সিরিজ জিততে শ্রীলঙ্কার টার্গেট ৮২
কলম্বোয় শেষ টি ২০ আন্তর্জাতিকে ভারতীয় দলের ব্যাটিং বিপর্যয়। আর তাতেই দুই বছর পর টি ২০ সিরিজ জয়ের স্বাদ পেতে শ্রীলঙ্কার দরকার মাত্র ৮২ রান। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভারত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৮১ রান। ২৮ বলে সর্বাধিক ২৩ করে অপরাজিত থাকেন কুলদীপ যাদব।
এদিন প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই ভারত অধিনায়ক শিখর ধাওয়ানকে ফেরান দুষ্মন্ত চামিরা। ম্যাচে নিজে প্রথম বল খেলতে গিয়েই শূন্য রানে আউট হন শিখর। ১৫ বলে ৯ রান করে রমেশ মেন্ডিসের বলে দেবদত্ত পাড়িক্কল লেগ বিফোর হলে চতুর্থ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ২৩। পঞ্চম ওভারের চতুর্থ ও ষষ্ঠ বলে সঞ্জু স্যামসন ও ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের উইকেট তুলে নেন বার্থ-ডে বয় ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গা। ভারতের স্কোর তখন ৪ উইকেটে ২৫। ঋতুরাজ করেন ১০ বলে ১৪। নবম ওভারে নীতীশ রানা ৬ রানে আউট হন, ভারতের পঞ্চম উইকেট পড়ে ৩৬ রানে। গতকালের পর আজও এই স্বীকৃত পাঁচ ব্যাটসম্যান নিয়েই খেলে ভারত।
সেখান থেকে ভুবনেশ্বর কুমার ও কুলদীপ যাদবের মরিয়া লড়াই লজ্জার হাত থেকে কিছুটা বাঁচায় ভারতকে। কেন না, একটা সময় মনে করা হচ্ছিল টি ২০ আন্তর্জাতিকে নিজেদের সর্বনিম্ন স্কোরও হয়তো টপকাতে পারবে না ভারত। ৩২ বলে ১৬ রান করেন ভুবনেশ্বর কুমার। শিখর ধাওয়ান, সঞ্জু স্যামসন ও বরুণ চক্রবর্তী শূন্য রানে ফেরেন। মাত্র তিনজন ভারতীয় ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান পান, তাও স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের মধ্যে শুধু ঋতুরাজ।
টি ২০ আন্তর্জাতিকে জন্মদিনে সেরা স্পেলের নিরিখে ইমরান তাহিরের (২১ রানে ৪ উইকেট) চেয়ে এগিয়ে রইলেন ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গা। ৪ ওভারে ৯ রানের বিনিময়ে তিনি পেলেন ৪ উইকেট। টি ২০ আন্তর্জাতিকে এই নিয়ে চারবার ভারত ১০০-র গণ্ডি টপকাতে পারল না। ভারতের সর্বনিম্ন স্কোর ২০০৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে। সেবার ১৭.৩ ওভারে অল আউট হয়ে গিয়েছিল ভারত। ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ নাগপুরে পরে ব্যাট করে ১৮.১ ওভারে ৭৯ রানে অল আউট হয় ভারত। ২০১৫ সালের ৫ অক্টোবর কটকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারত প্রথমে ব্যাট করে গুটিয়ে গিয়েছিল ৯২ রানে। প্রথমে ২০ ওভার ব্যাট করে টেস্ট খেলিয়ে দেশগুলির মধ্যে বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর হল ভারতের। ভারতের এদিনের অবস্থা দেখে অনেকেই মজা করে বলছেন, এরপর থেকে নেট বোলার শুধু নয়, দলের সঙ্গে নেট ব্যাটসম্যান রাখা হোক। ক্রুণাল পাণ্ডিয়ার করোনা ধরা পড়ার পর আরও ৮ জন আইসোলেশনে থাকায় শেষ দুটি ম্যাচে ভারতীয় দলের স্বীকৃত ব্যাটসম্যান বলতে ছিলেন মাত্র পাঁচজনই।