এবার ম্যাচ ফিক্সিং ফৌজদারি অপরাধ শ্রীলঙ্কায়, বিস্তারিত জেনে নিন
ম্য়াচ ফিক্সিং-কে ফৌজদারি অপরাধ ঘোষণা করল শ্রীলঙ্কা। দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম ক্রিকেট খেলিয়ে দেশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র। যাকে উল্লেখযোগ্য ও দৃষ্টান্তমূলক হিসেবেই দেখছে ক্রিকেট বিশ্ব।
ম্য়াচ ফিক্সিং-কে ফৌজদারি অপরাধ ঘোষণা করল শ্রীলঙ্কা। দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম ক্রিকেট খেলিয়ে দেশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র। যাকে উল্লেখযোগ্য ও দৃষ্টান্তমূলক হিসেবেই দেখছে ক্রিকেট বিশ্ব।
সোমবার শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে 'প্রিভেনশন অফ অফেনসেস রিলেটেড টু স্পোর্টস' শীর্ষক বিলটি পেশ করেন সে দেশের ক্রীড়ামন্ত্রী হারিন ফার্নান্দো। বিলকে সমর্থন করেন শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা সে দেশের মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য অর্জুনা রনতুঙ্গা। শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে পাশ হয় বিলটি।
'প্রিভেনশন অফ অফেনসেস রিলেটেড টু স্পোর্টস' বিলে তিনটি ধারা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথম ধারায় কোনও ব্যক্তি বা ক্রিকেটার সরাসরি ম্যাচ ফিক্সিং-র সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হলে, অভিযুক্তের ১০ বছরের জেল ও মোটা টাকার জরিমানা হওয়া নিশ্চিত। কেউ ম্যাচ ফিক্সিং-র সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত থাকলে কিংবা খেলোয়াড়ে ও বুকির মধ্যে মধ্যস্থতাকারী বা অ্যারেঞ্জারের ভূমিকা পালন করলে কিংবা খবর সরবরাহ করলে, নতুন বিলে তাকে শাস্তি ভোগ করতে হবে। কোনও খেলোয়াড় ম্যাচ ফিক্সিং-র প্রস্তাব পেয়ে পুলিশকে না জানালে, তাঁকেও অপরাধী হিসেবে গণ্য করা হবে বলেও শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে পাশ হওয়া 'প্রিভেনশন অফ অফেনসেস রিলেটেড টু স্পোর্টস' বিলে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কায় হওয়া সীমিত ওভারের লিগে ম্যাচ ফিক্সিং-র অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সে দেশের ফাস্ট বোলার দিলহারা লকুহেটিগে-কে এক বছর আগে সাসপেন্ড করা হয়। দুর্নীতির দায়ে শাস্তির কবলে পড়েন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন লেজেন্ড সনৎ জয়সূর্য ও নোয়ান জয়সা। তারপর থেকে আইসিসি-র দুর্নীতি বিরোধী কমিটির নজরে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। তাই দেশের ক্রিকেটকে স্বচ্ছ করতে এবার এগিয়ে এল সে দেশের সরকার।