সুপ্রিম কোর্ট বললে বিসিসিআই সভাপতির পদ ছাড়বেন সৌরভ!
সুপ্রিম কোর্ট বললে বিসিসিআই সভাপতির পদ ছাড়বেন সৌরভ!
সুপ্রিম কোর্টের রায় বিরুদ্ধে বিসিসিআই সভাপতির পদ ছাড়তে তাঁর কোনও সমস্যা নেই বলে সাফ জানিয়ে দিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তা বলে তিনি এখনই খারাপটা ভাবতে রাজি নন বলেও জানিয়েছেন ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেট অধিনায়ক। তাঁর ও বিসিসিআই সচিব জয় শাহের কার্যকালের মেয়াদ বৃদ্ধি সংক্রান্ত মামলা ঝুলে রয়েছে শীর্ষ আদালতে।
কী বললেন সৌরভ
দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি আরএম লোধা নেতৃত্বাধীন প্যানেলের তৈরি সংবিধানে বর্ণিত কুলিং-অফ নিয়মের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন দাখিল করেছে বিসিসিআই। শীর্ষ আদালত সেই মামলা গ্রহণও করেছে। সুপ্রিম কোর্টের রায় পক্ষে গেলে তো খুবই ভালো, কিন্তু বিপক্ষে গেলে বিনা বাক্য খরচ করে তিনি বিসিসিআই সভাপতির পদ ছেড়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য
করোনা ভাইরাসের জেরে লকডাউনে বেশ কিছু দিন আদালত বন্ধ থাকায় সুপ্রিম কোর্টে বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলা জমে গিয়েছে। একে একে সেগুলির জট ছাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা। ইতিমধ্যে বিসিসিআইয়ের মামলার শুনানি ১৭ অগাস্ট হওয়ার কথা থাকলেও, সেটি নির্দিষ্ট তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের হাই প্রোফাইল আবেদনের থেকেও গুরুত্বপূর্ণ মামলার নিষ্পত্তি হওয়া বাকি। তাই এখনই বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও সচিব জয় শাহের ভাগ্য নির্ধারণ করা সম্ভব নয় বলে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আগে কী বলেছিল আদালত
দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি আর এম লোধা নেতৃত্বাধীন প্যানেলের তৈরি বিসিসিআই সংবিধানে বর্ণিত কুলিং-অফের নিয়ম অনুযায়ী বিসিসিআই সভাপতি ও সচিব পদ থেকে অব্যাহতি নেওয়ার কথা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও জয় শাহের। এই নিয়মের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। গত ২২ জুলাই সেই আবেদন গ্রহণ করেছে দেশের প্রধান বিচার শরদ অরবিন্দ বোবদে ও বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাওয়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
সমস্যার মূল কোথায়?
২০১৫ সালে সিএবি সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। গত অক্টোবরে বিসিসিআই সভাপতি হন মহারাজ। সবমিলিয়ে ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবে সৌরভের ছয় বছর সম্পূর্ণ হয়েছে। নিয়ম পরিবর্তন না হলে ২৭ জুলাই তাঁকে বিসিসিআই সভাপতির পদ থেকে তিন বছরের জন্য বিরাম নিতে হবে। একই অবস্থায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের পুত্র জয় শাহেরও। ৭ মে-তে শেষ হয়েছে তাঁর মেয়াদ। সুপ্রিম কোর্টে সেই নিয়ম শিথিল করার আবেদন জানিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও জয় শাহ।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে আইপিএলের বিরুদ্ধে বম্বে হাইকোর্টে আবেদন