অবসরের 'টাইমিং' নিয়ে পরামর্শ সৌরভের, টি ২০ বিশ্বকাপে ভারতের ব্যর্থতার পর কাদের দিকে ইঙ্গিত?
টি ২০ বিশ্বকাপে এবারও ব্যর্থ ভারতীয় দল। অ্যাডিলেডে যেভাবে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে রোহিত শর্মার দল ১০ উইকেটে পর্যুদস্ত হয়েছে তা এখনও মেনে নিতে পারছেন না কেউই। এরই মধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে, ভারতের টি ২০ বিশ্বকাপ দলের অনেক ক্রিকেটারই এবার এই ফরম্যাটকে পাকাপাকিভাবে বিদায় জানাতে পারেন। তারই মধ্যে মুখ খুললেন প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
অবসরের সময়
২০২৪ টি ২০ বিশ্বকাপের দলে রোহিত শর্মা, মহম্মদ শামি, ভুবনেশ্বর কুমার, মহম্মদ শামি, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, দীনেশ কার্তিকদের দেখতে পাচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। এমনকী ফর্মে ফেরা বিরাট কোহলিও তিন ফরম্যাটে কতদিন খেলা চালিয়ে যাবেন তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই। এই পরিস্থিতিতে আবু ধাবিতে ক্রেডাইয়ের বার্ষিক কনফারেন্স ন্যাটকন ২০২২ (NATCON 2022)-এ যোগ দিয়ে সৌরভ পরামর্শ দিলেন অবসরের সেরা টাইমিং নিয়ে। তাঁর কথায়, মাথা উঁচু করেই অবসর নেওয়া উচিত। অর্থাৎ ফর্মে থাকাকালীনই অবসরের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। স্বাভাবিকভাবেই বর্তমান আবহে তাঁর এই পরামর্শ তাৎপর্যপূর্ণ।
সচিনই এগিয়ে
এই অনুষ্ঠানে সৌরভ একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। তিনি জানান, খেলোয়াড় হিসেবে তাঁকে উন্নত করেছেন সচিন তেন্ডুলকর। তাই বীরেন্দ্র শেহওয়াগের চেয়ে সচিন তেন্ডুলকরকেই ওপেনিং পার্টনার হিসেবে এগিয়ে রাখলেন মহারাজ। কাকে সবচেয়ে বেশি তিনি শ্রদ্ধা করেন, সেই প্রশ্নের উত্তরেও সচিনের নামই নিয়েছেন তাঁর পছন্দের 'দাদি'। তিনি বলেন, সচিনই আমার খেলার উন্নতির পক্ষে সহায়কের ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি একজন স্পেশ্যাল মানুষ। খুব কাছ থেকে তাঁকে দেখেছি। ব্যাটিংয়ের সময় তাঁর পাঁজরে বল লাগতে দেখেছি। কিন্তু তারপরও বিচলিত না হয়ে রান করে গিয়েছেন। পরের দিন সকালে পাঁজরে ডাবল ফ্র্যাকচার নিয়েও খেলে গিয়েছেন। আমি একটা শব্দ শুনে তাঁকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলাম সব ঠিকঠাক আছে কিনা। তিনি বলেন, সব ঠিক আছে। পরের দিন সকালে জানা যায় ফ্র্যাকচারের কথা।
ইডেন টেস্ট জয়
কোন দেশে টেস্ট জেতা বেশি চ্যালেঞ্জিং? এই প্রশ্নের উত্তরে ইংল্যান্ডের তুলনায় অস্ট্রেলিয়াকেই এগিয়ে রাখলেন সৌরভ। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল ভারতের অধিনায়কত্ব না বিসিসিআই সভাপতি, কোন দায়িত্ব পালন করা তাঁর বেশি পছন্দের? জবাবে টিম ইন্ডিয়াকে নেতৃত্ব দেওয়ার কথাই বলেন সৌরভ। কলকাতায় ২০০১ সালে অস্ট্রেলিয়াকে টেস্টে হারানো ও ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জয়ের মধ্যে ইডেন টেস্টকেই এগিয়ে রেখেছেন সৌরভ। তিনি বলেন, ২০০১ সালে দেশের মাটিতে ওই জয় ভারতীয় দলকে বদলে দিয়েছিল। দলের উপর বিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছিল ওই জয়।
মুরলীকে সামলানোই কঠিন ছিল
শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি স্পিনার মুথাইয়া মুরলীধরনের অভিজ্ঞতা যত বেড়েছে ততই তাঁকে সামলানো কঠিন হয়ে গিয়েছিল বলে জানান সৌরভ। তিনি বলেন, যত বয়স বেড়েছে ততই উন্নত ক্রিকেটার হয়েছেন মুরলী। চাপ সামলাতে পারদর্শী হতে মনকে সেইমতো শক্তিশালী করার উপরই জোর দিয়েছেন সৌরভ।