সৌরভের দাপটে মাঠ ছাড়লেন বিরোধীরা, সিএবি প্রশাসনে আসছেন অরুণ লাল?
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আইসিসিতে যাওয়ার সম্ভাবনা আজই সরকারিভাবে শেষ হয়ে গিয়েছে। বিসিসিআই গ্রেগ বার্কলেকেই আইসিসি চেয়ারম্যান পদে সমর্থন জানাচ্ছে। সে কারণে নতুন কারও নাম পাঠায়নি। আজ ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। এরই মধ্যে সিএবির শীর্ষপদে বসা নিশ্চিত হওয়ার পর সৌরভ ব্যস্ত তাঁর প্যানেল তৈরির কাজে।
সিএবি প্রশাসনে অরুণ লাল?
আজ সিএবিতে গিয়েছিলেন অরুণ লাল। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার তথা বাংলার প্রাক্তন কোচের সঙ্গে সৌরভের বৈঠক হয় এদিন। যদিও বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা কেউই জানাননি। সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায় কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির কলকাঠিতে বঞ্চনার শিকার হয়েছেন বলে এদিন ফের দাবি করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সৌরভ এদিন সেই প্রশ্ন সযত্নে এড়িয়ে যান।
বিরোধীরা ছত্রভঙ্গ
সিএবি নির্বাচনে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছিল বিরোধী শিবির। যদিও সৌরভ নিজে নির্বাচনে লড়াইয়ের কথা ঘোষণা করতেই সেই বিরোধী শিবির ছত্রভঙ্গ হয়ে গিয়েছে। সৌরভের প্যানেলই ক্ষমতায় আসতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। এমনকী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই সকলে জিতে আসবেন বলে মনে করা হচ্ছে। সিএবি সূত্রে খবর, অরুণ লালকে সহ সভাপতি করা হতে পারে। এমনিতে অভিষেক ডালমিয়ার মেয়াদ শেষের পর সিএবি সভাপতি হওয়ার কথা ছিল স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের। কিন্তু সৌরভ সভাপতি হলে স্নেহাশিস হয় সচিব পদেই থাকবেন, নয়তো কোষাধ্যক্ষ হতে পারেন।
দল সাজাচ্ছেন সৌরভ
সচিব পদে মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বিশ্ব মজুমদারের নাম ঘুরপাক খাচ্ছে। বিসিসিআইয়ে পদাধিকারী ঠিক করার পিছনে বিজেপির রাজনীতির দিকে যখন তৃণমূল কংগ্রেস আঙুল তুলছে, সেখানে সিএবিতে যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রভাব খাটানোর কথা জনসমক্ষে আসে তা তৃণমূলকেই অস্বস্তিতে ফেলতে পারে। সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা শাসক দলের তরফে কোনও নির্দেশ সৌরভ বা অভিষেক ডালমিয়ার কাছে আসেনি। সিএবি প্রশাসনে মাঠের লোকজনদেরই রাখতে চাইছেন সৌরভ-অভিষেক। এই বিষয়টি বিশ্ব মজুমদারের বিপক্ষে যেতে পারে। তবে শেষ মুহূর্তে কী হবে তা বলা যাচ্ছে না। এমনিতে ইস্টবেঙ্গলের প্রতিনিধি বিশ্ব মজুমদার কয়েকদিন ধরে সিএবি-র বিরোধী শিবিরের ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছিলেন।
কে কোন পদে?
সৌরভ সভাপতি হচ্ছেন। সহ সভাপতি হতে পারেন নরেশ ওঝা বা অরুণ লাল। যুগ্ম সচিব হিসেবে দেবব্রত দাস বারবার বিতর্কে জড়িয়েছেন। তিনি সৌরভ-ঘনিষ্ঠ। তবে তাঁর কাজকর্ম নিয়ে আপত্তি রয়েছে অনেকেরই। অরুণ লালকে সহ সভাপতি করে নরেশ ওঝা ও প্রবীর চক্রবর্তীকে দুই সচিব পদে আনা হতে পারে। স্নেহাশিস হতে পারেন কোষাধ্যক্ষ। তবে যদি বিশ্ব মজুমদারকে সচিব পদে মানতে হয় কোনও পক্ষের নির্দেশে, সেক্ষেত্রে প্রবীর চক্রবর্তীর কোনও পদে আসার সম্ভাবনা কমতে পারে। গোটা বিষটটি স্পষ্ট হবে আগামীকাল। শনিবার বিকেলে সৌরভরা মনোনয়ন জমা দেবেন বলে ঠিক রয়েছে।
পাকিস্তান ম্যাচের আগে ভারতকে পরামর্শ গাভাসকরের, পন্থ ও কার্তিককে খেলাতে কী করণীয়?