সৌরভের বিরাট চমকে সিএবি সভাপতি হতে পারেন স্নেহাশিস! শাসকের প্যানেল ঘিরে তুঙ্গে জল্পনা
সিএবিতে নির্বাচন হচ্ছে না। কিন্তু এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সভাপতির দৌড় থেকে নিজেকে সরিয়ে নেবেন কিনা। সিএবি-র ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর তরফে কেউই কিছু বলছেন না। রবিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। তার আগে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, অভিষেক ডালমিয়ারা দফায় দফায় বৈঠক সারছেন। সিএবি সূত্রে খবর, সিএবিতে নির্বাচন না হওয়ায় সৌরভ সভাপতি নাও হতে পারেন।
সিএবি সূত্রে খবর, রবিবার বড় চমক দেবে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে শুরু হওয়ার কুৎসার জবাব দিতে তিনি নির্বাচনে লড়ে সিএবি সভাপতি হবেন। তাঁর ওই বক্তব্যই বিরোধী গোষ্ঠীকে বেসামাল করে দেয়। মনে করা হচ্ছে, নির্বাচন ছাড়াই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিএবির মসনদে আসতে চলেছে সৌরভের ঠিক করা প্যানেল। বিরোধী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সাংবাদিক বিশ্ব মজুমদার সহ সভাপতি হচ্ছেন। অরুণ লালের সঙ্গে সিএবিতে বৈঠক করেছিলেন সৌরভরা। তাতে মনে করা হচ্ছিল, অরুণ লালকে সহ সভাপতি করে আনা হবে। কিন্তু বিশ্বকে সৌরভরা সহ সভাপতি হিসেবে মেনে নেওয়ায় অরুণ লালকে বাংলার ক্রিকেটের সঙ্গে কীভাবে যুক্ত করা যাবে তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চালাচ্ছেন সিএবি কর্তারা।
সৌরভ কাল বিকেলে সিএবিতে আসবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি কাল সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দিতে পারেন বলেও জল্পনা চলছে। আবার এমনটাও শোনা যাচ্ছে, সৌরভের প্যানেলের সকলেই রবিবারই মনোনয়ন জমা দেবেন। তবে বিরোধী বলে যে কিছুই আর নেই সেটাও সৌরভ বুঝিয়ে দিয়েছেন উপস্থিত সাংবাদিকদের। জর্জ টেলিগ্রাফের বিজয়া সম্মিলনীতে গিয়ে সৌরভ এদিন ইস্টবেঙ্গলের প্রতিনিধি বিশ্ব মজুমদারকে জড়িয়ে ধরেন। উপস্থিত সকলেই তখন বুঝে যান মিলিজুলি কমিটিই হচ্ছে সিএবিতে। সৌরভ নিজেকে যদি সিএবি সভাপতির দৌড় থেকে সরিয়ে নেন তাহলে স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় সভাপতি হয়ে যাবেন। সহ সভাপতি বিশ্ব মজুমদার। সেক্ষেত্রে সচিব হওয়া আটকাবে না প্রবীর চক্রবর্তীর। যুগ্ম সচিব পদে থাকবেন সৌরভ-ঘনিষ্ঠ দেবব্রত দাস। কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে নরেশ ওঝাকে।
সৌরভের বাংলার হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল স্নেহাশিসের জায়গায় রঞ্জি ফাইনালে। এবারও প্রথম থেকেই স্নেহাশিসের সিএবি সভাপতি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সৌরভের বিসিসিআই ও আইসিসির রাস্তা বন্ধ হওয়া এবং সমালোচনার জবাব দিতে সভাপতি পদে লড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ পরিস্থিতি বদলে দিয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন ছাড়া সভাপতি হলে ফের সমালোচনায় বিদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা থাকতো সৌরভের। সে কারণেই তিনি সরে দাঁড়াতে পারেন বলে জল্পনা। ফলে সৌরভ থাকলে একরকম, না থাকলে অন্যরকম, এমন নানা প্যানেলের কথা ঘুরপাক খেলেও কোনটা চূড়ান্ত কেউ বলতে পারছেন না। সকলেই বলছেন, জল্পনা চলতেই পারে। চূড়ান্ত প্যানেল রবিবারের আগে জানা যাবে না। তবে কাহানি মে ট্যুইস্টের সম্ভাবনাও থাকছে।