আইসিসি তো দূর, বিসিসিআই সভাপতির পদও খোয়াতে পারেন সৌরভ!
আইসিসি তো দূর, বিসিসিআই সভাপতির পদও খোয়াতে পারেন সৌরভ!
ব্যক্তি আইনের উর্ধ্বে নন। সুপ্রিম কোর্টের নিদানের সামনে কোনও পদ কিংবা সংস্থা অপরিহার্য নয় বলে জানিয়েছেন ২০১৩ আইপিএল স্পট ফিক্সিং কাণ্ডের রায়দাতা তথা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি একে পট্টনায়েক। দুর্নীতির দায়ে এন শ্রীনিবাসনকে বিসিসিআই সভাপতির পদ থেকে সরানো এই বিচারপতির বক্তব্য, বোর্ডের জন্য অপরিহার্য নন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং জয় শাহ। শীর্ষ আদালত নির্দেশিত বাধ্যতামূলক কুলিং-অফ পিরিয়ড মহারাজকে মানতেই হবে বলে জানিয়েছেন একে পট্টনায়ক।
কী বললেন পট্টনায়ক
২০১৩ আইপিএল স্পট ফিক্সিং কাণ্ডের রায়দাতা তথা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি একে পট্টনায়কের কথায়, সুপ্রিম কোর্ট নির্ধারিত বিসিসিআই সংবিধানে যে নির্দেশ বর্ণিত রয়েছে, তা সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং সচিব জয় শাহকে মানতেই হবে। তাঁদের ক্ষেত্রে কুলিং-অফ প্রযোজ্য হবেই বলে জানিয়েছেন পট্টনায়ক। তাঁর বক্তব্য, সৌরভ ও জয় বিসিসিআইয়ের জন্য অপরিহার্য নন।
কুলিং-অফ আবশ্যক
সুপ্রিম কোর্ট মনোনিত বিচারপতি আরএম লোধা নেতৃত্বাধীন প্যানেলের তৈরি বিসিসিআই সংবিধানে পদাধিকারিদের জন্য যে কুলিং-অফের নিয়ম অন্তর্ভূক্ত করেছে, তা যথার্থ বলে মনে করেন প্রাক্তন বিচারপতি একে পট্টনায়ক। একমাত্র এভাবেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড থেকে মৌরসিপাট্টা ও দুর্নীতি দূর হবে বলে মনে করেন ২০১৩ আইপিএল স্পট ফিক্সিং কাণ্ডের রায়দাতা তথা সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।
বাধ্যতামূলক কুলিং-অফ
সুপ্রিম কোর্ট মনোনিত বিচারপতি আরএম লোধা নেতৃত্বাধীন প্যানেলের তৈরি বিসিসিআই সংবিধানে বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি পৃথক ভাবে রাজ্য ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড কিংবা দুই স্তর মিলিয়ে টানা ছয় বছরের বেশি পদ ধরে রাখতে পারবেন না। ২০১৫ সালে সিএবি সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। গত অক্টোবরে বিসিসিআই সভাপতি হন মহারাজ। সবমিলিয়ে ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবে সৌরভের ছয় বছর সম্পূর্ণ হয়েছে। একই অবস্থায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের পুত্র জয় শাহেরও। দুই পদাধিকারিকেই তিন বছরের বাধ্যতামূলক কুলিং-অফের নিয়ম মানতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টে আবেদন
বিচারপতি আরএম লোধা নেতৃত্বাধীন প্যানেলের তৈরি বিসিসিআই সংবিধানে বর্ণিত কুলিং-অফের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং সচিব জয় শাহ। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে গোটা বিসিসিআই। মামলার রায় কোনদিকে গড়ায়, তা জানতে উদগ্রীব গোটা দেশ।