বিশ্বকাপের ফাইনাল হার ও ন্যাটওয়েস্ট জয়ের তুলনায় কী বললেন স্মৃতিমেদুর সৌরভ?
বিশ্বকাপের ফাইনাল হার বনাম ন্যাটওয়েস্ট জয়ের মধ্যে তুলনা টানলেন স্মৃতিমেদুর সৌরভ
২০০২ সালের ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির ফাইনালে ইংল্যান্ডকে তাদেরই মাঠে হারিয়ে ইতিহাস রচনা করেছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন টিম ইন্ডিয়া। এক বছর পর সেই দলই দুর্ধর্ষ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের ফাইনাল হেরে গিয়েছিল। এই দুই ম্যাচই যে তাঁর জীবনের অন্যতম স্মরণীয়, তা স্বীকার করে নিলেন মহারাজ। দুই-এর মধ্যে কাকে তিনি এগিয়ে রাখবেন, তা নিজেই জানালেন বিসিসিআই সভাপতি।
২০০২ ন্যাটওয়েস্ট
ঐতিহাসিক লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩২৬ রান তাড়া করে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির ফাইনাল জিতেছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন তরুণ টিম ইন্ডিয়া। মহম্মদ কাইফ ও যুবরাজ সিংয়ের যথাক্রমে ৮৭ ও ৬৯ রানের সৌজন্যে দু্র্দান্ত জয় পেয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। সেই জয়ের মুহূর্তই তাঁর জীবনের অন্যতম সেরা বলে জানিয়েছেন মহারাজ। সেই ম্যাচ থেকে পাওয়া একাগ্রতা পরবর্তী কালেও তাঁরা জিইয়ে রাখতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন বিসিসিআই সভাপতি। স্বীকার করেছেন, ওই ম্যাচই তাঁর কেরিয়ারের সেরা।
২০০৩ বিশ্বকাপ ফাইনাল
তরুণ এবং অনভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া টিম ইন্ডিয়া, দুর্ধর্ষ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ খেলতে নেমেছিল। ম্যাচ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু সেই টুর্নামেন্ট আলোকিত করা যুবরাজ সিং, জাহির খান, আশিস নেহেরা, হরভজন সিং, বীরেন্দ্র শেহওয়াগরা পরবর্তীকালে বিশ্ব ক্রিকেট শাসন করেন।
দুই ফাইনালের পার্থক্য
দুই ম্যাচকে একই পর্যায়ে ফেলতে চান না বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, সেই সময়ের অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেট দল ছিল। টিম পন্টিং জব্দ করা ব্যতিরেকে তাঁর নেতৃত্বে ভারতীয় ক্রিকেট দল যেভাবে বিশ্বে সাড়া জাগিয়েছিল, তাতে তিনি গর্ব বোধ করেন বলেও জানিয়েছেন মহারাজ।
ধারভাষ্যকার সৌরভ
২০১৯ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে ধারাভাষ্যকারের ভূমিকা পালন করেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই অনুভূতিও তাঁর কাছে অসাধারণ ছিল বলে জানিয়েছেন বিসিসিআই সভাপতি।
এই প্রজন্মের কোন তিন ক্রিকেটারকে ভারতের ২০০৩ বিশ্বকাপ দলে নিতেন সৌরভ?