
সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির সেমিতে দুরন্ত সেঞ্চুরি শুভমানের, সেমিফাইনালে পাঞ্জাব
ছন্দে রয়েছেন শুভমন গিল। দিল্লির বিরুদ্ধে ম্যাচে। তিনি করলেন ১২৬ রান। একদিনের ক্রিকেটে যেদিন থেকে সুযোগ পেয়েছেন সেদিন থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো খেলছেন। পাশাপাশি এবার ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলছেন তিনি। কিছুদিন আগে তিনি ভালো পারফর্ম করেছেন কাউন্টি ক্রিকেটে। এবার সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে তিনি হাঁকালেন সেঞ্চুরি।

কোয়ার্টার ফাইনাল
সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে এদিন কর্ণাটকের মুখোমুখি হয়েছিল পাঞ্জাব। সেই ম্যাচে প্রথম ব্যাট করে পাঞ্জাব। অভিষেক শর্মার সঙ্গে ওপেন করতে নেমে তেইশ বছরের তরুণ ব্যাটসম্যান হাঁকান সেঞ্চুরি। ৫৫ বলে তিনি করেন ১২৬ রান। এই রান সাজানো ছিল ১১টি চার ও ৯টি ছক্কা দিয়ে। তাঁর ব্যাটের উপর নির্ভর করে পাঞ্জাব ২২৫ রান করে মাত্র চার উইকেট খুইয়ে। গিলের সঙ্গে সঙ্গত দেন অনমোলপ্রিত সিং। তিনি করেন ৪৩ বলে ৫৯ রান, ছয় না মারলেও, হাঁকান চারটি বাউন্ডারি।

চাপে পড়ে গিয়েছিল কর্ণাটক
রান তাড়া করতে নেমে প্রথমেই মায়াঙ্ক আগারওয়াল সহ তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল কর্ণাটক। পড়ে খেলা ধরেন মনিশ পান্ডেরা। তাঁদের সৌজন্যে ২১৬ রান পর্যন্ত পৌঁছালেও লক্ষ্য পূরণ হয়নি। তারা ম্যাচ হারে ৯ রানে।

কাউন্টিতে সফল
কাউন্টিতে অভিষেকে কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন্সে ওরচেস্টারশায়ারের বিরুদ্ধে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে শুভমান ৯২ রান করেছিলেন। ডেভিড লয়েডের দলের হয়ে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন শুভমান। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে ২১ রানে গ্ল্যামারগন অধিনায়কের উইকেটটি হারানোর পর। শুভমান যখন নিজে আউট হলেন তখন গ্ল্যামারগনের সংগ্রহ ৬৬.২ ওভারে ৭ উইকেটে ২৩০ রান। ২৮১ মিনিট ক্রিজে কাটিয়ে ১৪৮ বলে ৯২ রান করেন শুভমান গিল। তাঁর ইনিংসে রয়েছে আটটি চার ও একটি ছয়। শুভমান ও এডি ব্রায়ান দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৮২ রান যোগ করেন। ওপেনার ব্রায়ান ৯২ বলে ৬৭ রান করেন। বাকিরা বলার মতো রান পাননি। এড বার্নার্ডের বলে লেগ বিফোর হন গিল।

শতরান
ওই ম্যাচে শতরান হাতছাড়ার হতাশা কিছুটা ছিল গিলের। তবে নিজের লক্ষ্য পূরণ করতে পারায় তিনি সন্তুষ্টও ছিলেন। গিল বলেছিলেন, কাউন্টি খেলতে পারা দারুণ অভিজ্ঞতা। যত বেশি সম্ভব ক্রিজে কাটানোই লক্ষ্য ছিল। আমাদের দেশের তুলনায় এখানকার পরিবেশ-পরিস্থিতি অনেকই আলাদা। বিশেষ করে বৃষ্টি খেলায় বিঘ্ন ঘটালে তারপর যখন ফের শুরু হয়, তখন পরিস্থিতি চ্যালেঞ্জিং থাকে। ইংল্যান্ডের মাটিতে খেলার ক্ষেত্রে এই অভিজ্ঞতা কার্যকরী হবে বলেও আশাবাদী শুভমান। তিনি আরও বলেছিলেন, প্রতিপক্ষের বোলাররা ভালো বল করছিলেন, ভালো জায়গায় বল রাখছিলেন। বৃষ্টির আগে না পরে আউট হলাম সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, তবে আউট হলে হতাশা থাকেই। ৯২ রানে আউট হয়ে আমি হতাশ। তবে নিজের পারফরম্যান্সে খুশি। অনেকক্ষণ ক্রিজে থেকে ব্যাট করতে পেরেছি।
সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি থেকে খালি হাতে ফিরছে বাংলা, হার শেষ বলের থ্রিলারে