দল নির্বাচনে বড় ভূমিকা ভেঙ্কি মাইসোরদের, প্রেজেন্টেশনে বোমা ফাটালেন কেকেআর অধিনায়কের
গৌতম গম্ভীরের সময় বাদ দিয়ে কেকেআর দলের সব সময়ের বড় সমস্যা হল দল নির্বাচনে টিম ম্যানেজমেন্টের বড় ভুমিকা। সৌরভ যখন অধিনায়ক ছিলেন তখন প্রায় সমস্ত টিম মিটিংয়ে উপস্থিত থাকতেন স্বয়ং শাহরুখ খান। এখন তিনি থাকেন না , এখন জানা যাচ্ছে দল নির্বাচনে বড় ভূমিকা থাকছে ভেঙ্কি মাইসোরের।
দল যত ভালো অধিনায়ক তত ভালো , এই কথা স্টিভ ওয়া বলতেন। এবার দলের প্লেয়ারদের সবথেকে ভালো চেনে একজন অধিনায়ক। সেটা দেখা গিয়েছে দীনেশ কার্ত্তিক অধিনায়ক হবার পর ব্যাপক চাপে পড়েছিলেন। মাঝপথে পরিবর্তন হয় অধিনায়ক। তিনি এই বিষয়ে কোনওদিন কিছু বলেননি। তবে উপর থেকে দেখলে বোঝা যায় যে বারবার এত দল পরিবর্তন মানে সেই দলে অধিনায়কের চেয়ে ম্যানেজমেন্টের প্রভাব বেশি।
এই সিজনে নাগড়ে দল পরিব্রতন্ন করছে কলকাতা। কখনও তা ক্লিক করছে কখনও করছে না। রাজস্থান ম্যাচে জেতা ম্যাচ হারে ম্যানেজমেন্ট হঠাৎ করে শিবম মাভিকে ব্যাট করতে নামিয়ে দেওয়ায়। অধিনায়ক শ্রেয়স যা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। এবার বারবার একই ঘটনা ঘটায় একপ্রকার চাকরি বাঁচাতে তিনিই বিষয়টি মেনে নিয়েছেন। তবে পোস্ট ম্যাচ শো'য়ে সেই কথা বলেও ফেলেছেন তিনি তবে সামলে নিয়েছেন এই বলে যে এতে দলের প্লেয়াররা সবাই খুশি। তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে অবাক কেকেআর ভক্তরা। তারা বলছেন তাঁদের এটা ধারনা ছিল না ভেঙ্কি মাইসোর দল নির্বাচনে বড় ভূমিকা নেন। এতে তারা বেশ অখুশি।
আইয়ার মুম্বই ম্যাচ জিতে পোস্ট প্যাচ প্রেজেন্টেশনে আসতে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি দলে কাউকে ড্রপ করার পর কীভাবে পরিস্থিতি সামলান ? ভারতীয় ব্যাটার একটি চমকপ্রদ উত্তর দেন যে, কখনও কখনও সিইও ভেঙ্কি মাইসোরও জড়িত থাকেন দল নির্বাচন প্রক্রিয়ায়।
তিনি
বলেন,
"এটা
সত্যিই
কঠিন
খেলোয়াড়দের
কাউকে
প্রথম
এগারো
থেকে
বাদ
দেওয়া
নিয়ে
তাঁর
সঙ্গে
কথা
বলা।
কোচ
এবং
মাঝে
মাঝে,
সিইও
স্পষ্টতই
দল
নির্বাচনের
সাথে
জড়িত।
প্রতিটি
খেলোয়াড়ই
এটাকে
ভালোভাবে
নেয়
এবং
তারা
তাদের
সেরা
প্রচেষ্টা
চালিয়েছে।"
এতেই
স্পষ্ট
হয়
যে
দল
নির্বাচনে
অধিনায়কের
চেয়ে
বেশি
ভূমিকা
রয়েছে
ম্যানেজমেন্টের।
তাঁরা
যে
দল
দিচ্ছেন
তা
নিয়ে
খেলতে
হচ্ছে
শ্রেয়সকে।
এদিন খেলার শুরুতে দেখা যায়, কলকাতা খেলার জন্য পাঁচটি পরিবর্তন করে। তারা অজিঙ্কা রাহানে, প্যাট কামিন্স, ভেঙ্কটেশ আইয়ার, বরুণ চক্রবর্তী এবং শেলডন জ্যাকসনকে ফিরিয়ে এনেছিল।
সোমবার নাভি মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাটিল স্পোর্টস অ্যাকাডেমিতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সাথে মুখোমুখি হওয়ার সময় কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) জন্য একটি মরণ বাঁচন ম্যাচ ছিল। মুম্বই - কলকাতা ম্যাচের পরিসংখ্যান অনুযায়ী মুম্বই সবসময়েই এগিয়ে থেকেছে। যদিও কেকেআর এই মরসুমের শুরুতে পাঁচবারের বিজয়ীদের হারিয়ে দিয়েছিল। এদিন তবে জসপ্রিত বুমরাহের পাঁচ উইকেট শিকারের ফলে ২০ ওভারে নয় উইকেটে ১৬৫ রান করার পরে বেশ চাপে ছিল কলকাতা। তবে দারুণ বোলিং পারফরম্যান্স করে কেকেআর মরসুমে দ্বিতীয়বার মুম্বইকে হারিয়ে দেয়।
বোলাররা মুম্বইকে মাত্র ১১৩ রানে আটকে দেয়। জেতে ৫২ রানে। এই ম্যাচ জয়ে কেকেআর তাদের প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল। সোমবার কেকেআরের বড় জয় তাদের পয়েন্ট টেবিলের সপ্তম স্থানে উঠতে সাহায্য করেছে এবং প্লে অফের দৌড়ে তাদের বাঁচিয়ে রেখেছে।