রাহুল দ্রাবিড় সহ শিবিরের বাকিদের সঙ্গে ৩৭ তম জন্মদিন পালন করলেন শিখর ধাওয়ান
রাহুল দ্রাবিড় সহ শিবিরের বাকিদের সঙ্গে ৩৭ তম জন্মদিন পালন করলেন শিখর ধাওয়ান
তিন বছর আগে শেষ বার লাল বলের ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন শিখর ধাওয়ান। ভারতীয় ওপেনার তবুও রঞ্জি ট্রফিতে দিল্লির অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছেন। ১৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে চলা রঞ্জি ট্রফির জন্য যে ৩৯ জন সম্ভাব্য ক্রিকেটারের নাম ঘোষণা করা হয়েছে সেই তালিকায় রয়েছে শিখর ধাওয়ানের নাম। বর্তমানে আইপিএল ছাড়া ভারতের জার্সিতে শুধু একদিনের ক্রিকেটে খেলেন ধাওয়ান।
সৈয়দ মুস্তাক আলি টি ২০ ট্রফি এবং সম্প্রতি শেষ হওয়া বিজয় হাজারে ট্রফিতে বেশ কয়েকটি ম্যাচে অংশ নিয়েছিলেন শিখর ধাওয়ান। বর্ষীয়ান এই বাম হাতি ওপেনার সোমবার নিজের ৩৭তম জন্মদিন সেলিব্রেট করলেন ভারতীয় দলের সঙ্গে বাংলাদেশে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশ সফরে রয়েছে ভারত। সেখানেই দলের সঙ্গে টিম হোটেলে কেক কেটে নিজের জন্মদিন পালন করলেন শিখর ধাওয়ান।
জন্মদিনে দলের সঙ্গে কেক কাটার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেছেন শিখর। সেই ভিডিও পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, 'জন্মদিনের সেলিব্রেশন ভারতীয় দলের সঙ্গে।'
রঞ্জি ট্রফির জন্য চূড়ান্ত স্কোয়াড় ৮ ডিসেম্বর বা ৯ ডিসেম্বর ঘোষণা করবে দিল্লি। মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে রঞ্জি ট্রফিতে অভিযান শুরু করবে দিল্লি। এই ম্যাচটি পুনেতে খেলা হবে। দিল্লি ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (ডিডিসিএ)-এর এক আধিকারিক বলেছেন, "শিখরের অভিজ্ঞতা কাজে আসবে দলের। সবগুলো না পারলেও আমরা আশা করছি ও কয়েকটা ম্যাচ খেলতে পারবে।" ৩৯ জন ক্রিকেটারের যে তালিকা ডিডিসিএ ঘোষণা করেছে রঞ্জি ট্রফির জন্য সেই তালিকায় নাম রয়েছে বর্ষীয়ান পেসার ইশান্ত শর্মারও। এ ছাড়া রয়েছেন যশ ঢুল এবং নীতীশ রানা। দল ঘোষণা করার দিনই রঞ্জি ট্রফিতে দিল্লির অধিনায়কের নামও ঘোষণা করা হবে। উল্লেখ্য, বিজয় হাজারে ট্রফি এবং সৈয়দ মুস্তাক আলি টি ২০ টুর্নামেন্টে দিল্লিকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন নীতীশ রানা।
তবে দিল্লির জন্য যেটা বড় চিন্তার বিষয় সেটা হল তাদের পেসারদের ফিটনেস। সিমরণজিৎ সিং এবং প্রদীপ সাংওয়ানের পুরো মরসুমে ফিট থাকুক এমনটাই চায় দিল্লি। সৈয়দ মুস্তাক আলি টি ২০ টুর্নামেন্টের নক আউটে কোয়ালিফাইন করেছিল দিল্লি নতুন অধিনায়ক রানা এবং কোচ অভয় শর্মার অধীনে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজে ভারতীয় দল শিখরের নেতৃত্বে খেলেছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম একদিনের ম্যাচে শিখরের ব্যাট থেকে এসেছিল ৭ রান।