দুর্ভাগ্যজনক সংক্ষিপ্ততম অভিষেক, ১০ বল করেই বেরিয়ে যেতে হল শর্দুল ঠাকুরকে
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার অভিষেক ম্যাচে শর্দুল ঠাকুর কুঁচকিতে চোট পেলেন।
১ ওভার ৪ বল করে ৯ রান দিয়েছেন। বিরাট কিছু এদিক ওদিক না হয়ে গেলে সম্ভবত এটাই হতে চলেছে শর্দুল ঠাকুরের অভিষেক টেস্টের পরিসংখ্যান। এমন সংক্ষিপ্ততম অভিষেক আর কারও হয়েছে কিনা তা জানতে ইতিহাস বই ঘাঁটতে হবে। কিন্তু হতভাগ্য শর্দুল ঠাকুরের ক্ষেত্রে ঠিক এমনটাই ঘটল।
তখন ম্যাচের মাত্র চতুর্থ ওভার চলছে। প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেই নতুন বল হাতে পেয়ে উৎসাহে ফুটতে ফুটছিলেন শর্দুল। কিন্তু অভিষেক টেস্টের দশম বলটি করার সময়ই দেখে মনে হয়েছে তাঁর পা বোলিং ক্রিজে আটকে যায়। সঙ্গেই সঙ্গেই তাঁর মুখে যন্ত্রনার অভিব্যক্তি ফুটে ওঠে। ফলো থ্রুই করতে পারেননি তিনি।
খোঁড়াতে খোঁড়াতে বোলিং স্পটে ফিরে আসার সময়ে মাঠে ছুটে আসেন ভারতীয় দলের ফিজিও প্যাট্রিক ফারহ্যাট। মাঠে কিন্তু শর্দুলের কোনও চিকিৎসা করা হয়নি। তাঁর সঙ্গে ফিজিওর কিছু কথা-বার্তা হয়। সেখানে এসে উপস্থিত হন অধিনায়ক কোহলিও। তিনজনের আলোচনার পর খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি।
এর মাত্র আধঘন্টা আগেই কিন্তু দিনটা ছিল শর্দুলের জীবনের সবচেয়ে আনন্দের। ভারতীয় দলের কোচ রবি শাস্ত্রীর হাত থেকে ভারতের ২৯৪ তম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে তিনি ভারতীয় দলের টেস্ট টুপি পেয়েছিলেন। সেই সময় তাঁর মুখে হাসি আর ধরছিল না। বার বার ভারতীয় বোর্ডের প্রতীকে চুম্বন করছিলেন এই তরুণ জোরে বোলার।
সেই হাস্য়োজ্বল মুখটাই কিছু সময়ের ব্যবধানে এদিন পাল্টে গেল যন্ত্রণায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শর্দুলকে স্ক্যান করতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁর কুঁচকিতে চোট লেগেছে। আজ সারাদিন আর মাঠে না নামায় নিয়মমতো এই ইনিংসে আর তিনি ভারতের হয়ে বল করতে পারবেন না। কিন্তু এই টেস্টে তিনি আর ফিরতে পারবেন কিনা, স্ক্যান রিপোর্ট না আসলে বলা যাবে না।
এর আগে এশিয়া কাপেও কিন্তু কুঁচকির চোটেই টুর্নামেন্টের মাঝপথে ছিটকে যেতে হয়েছিল শর্দুলকে। তারপর অবশ্য দিন দশেকের মধ্যেই তিনি নেমে পড়েছিলেন বিজয় হাজারে ট্রফি খেলতে। এই টেস্টে মহম্মদ টানা ৬ টেস্ট খেলা মহম্মদ শামিকে বিশ্রাম দিয়ে তাঁকে দলে নেওয়া হয়েছিল। তিনি চোট পেয়ে বেরিয়ে যাওয়ায় ভারতের একজন জোরে বোলার কম হয়ে গিয়েছে।