টনটনের মাঠে সৌরভের স্মৃতি উসকে দিয়ে নয়া রূপকথা লিখলেন শাকিব আল হাসান
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ম্যামথ রান তাড়া করতে নেমে এই টনটনের মাঠেই অনবদ্য শতরান করলেন শাকিব।
২৬ মে ১৯৯৯ সাল। শ্রীলঙ্কার মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে অনবদ্য এক ইনিংস খেলে বাঙালির বুকের ছাতি চওড়া করেছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে তিনি বিশ্ব ক্রিকেটে শাসন করতে এসেছেন। মুথাইয়া মুরলীধরনকে স্টেপ আউট করে একের পর এক ছক্কা আজও বাঙালির মনে চিরকালীন হয়ে রয়েছে। সেই গর্বের ইতিহাসকেই যেন ফের একবার ফিরিয়ে আনলেন ওপার বাংলার আর এক বাঙালি। এবং তিনিও ঘটনাচক্রে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। শাকিব আল হাসান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ম্যামথ রান তাড়া করতে নেমে এই টনটনের মাঠেই অনবদ্য শতরান করলেন শাকিব। ১২৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন তিনি। এবং কোথাও গিয়ে শাকিব আর সৌরভের লড়াই এক করে দিল বাংলা ও বাঙালিকে। শাকিব এদিন ছক্কা মারেননি ঠিকই তবে ১৬ টি বাউন্ডারিতে সাজানো ইনিংসে রীতিমতো ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের শাসন করেছেন।
৩২২ রানের লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে খেলতে নেমে এদিন বাংলাদেশ শুধু সাত উইকেটে জয় পেয়েছে তাই নয়, ৫১ বল বাকী থাকতে শাকিব ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলকে হারিয়ে দিয়েছেন। যা বিশ্বকাপের সর্বকালের অন্যতম সেরা জয় হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
সৌরভকে যেমন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচে অনবদ্য পার্টনারশিপ করে সাহায্য করেছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। তিনি করেছিলেন ১৪৫ রান। সেভাবেই এদিন শাকিবকে দুর্দান্ত পাটনারশিপ গড়তে সাহায্য করেন আর এক বাঙালি লিটন দাস। মাত্র ৬৯ বলে ৯৪ রান করে অপরাজিত থাকেন লিটন। ৮টি চার ও চারটি ছক্কা ছিল তাঁর ইনিংসে। পরপর তিন বলে শেলডন কোটরেলকে ছক্কা হাঁকান লিটন। সব মিলিয়ে টনটনের মাঠে বাঙালি আবেগকে উসকে দিয়ে এক স্বপ্নের জয় তুলে নিল বাংলাদেশ।