এক লক্ষ রান করতন সচিন, হঠাৎ কেন এমন বললেন পাকিস্তানের এই কিংবদন্তি
এক লক্ষ রান করতো সচিন, হঠাৎ কেন এমনটা বললেন শোয়েব আখতার
বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বকালের অন্যতম সেরা হিসেবে জয়াগা করেন নিয়েছেন সচিন তেন্ডুলকর। 'ক্রিকেট ঈশ্বর'-এর আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে মোট রান ৩৪,৩৫৭। ওডিআই এবং টেস্টে সর্বাকালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হিসেবে ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন সচিন। দুই ফরম্যাট মিলিয়ে ১০০টি শতরান এবং ১৬৪টি অর্ধশতরান রয়েছে সচিনের।
পাকিস্তানের প্রাক্তন তারকা শোয়েব আখতার মনে করেন ক্রিকেটে বর্তমানে যা নিয়ম রয়েছে সচিনের সময়েও যদি সেই একই নিয়ম থাকত তা হলে 'এক লক্ষ রান' করতেন মাস্টার ব্লাস্টার। কিংবদন্তি পেসারের জানান, ক্রিকেটের নতুন নিয়ম অনেক বেশি ব্যাটসম্যানদের সহায়ক। তাঁর কথায়, "তুমি নতুন নতুন বলের নিয়ম চালু করেছ। নিয়মকে কঠিন ভাবে লাঘু করছো। ব্যাটসম্যানদের যতটা বেশি লেভারেজ সম্ভব দিচ্ছ। তিনটে করে রিভিউ-এর ছাড় দিয়েছ। কল্পনা করে দেখুন যদি সচিন (তেন্ডুলকর)-এর এই রিভিউ নেওয়ার সুবিধা থাকব তা হলে ও এক লক্ষ রান করত।" রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আলাপচারিতার মধ্যেই এই কথা বলেন শোয়েব।
তাঁর আরও সংযোজন, "দুর্ভাগ্য সচিনের- আমি সচিনের দুর্ভাগ্য বলব কারণ ও শুরুর দিকে খেলত ওয়াসিম (আক্রম), ওয়াকার (ইউনিস), শেন ওয়ার্ন-এর বিরুদ্ধে তার পর মুখোমুখি হল ব্রেট লি, শোয়েব (আখতার)-এর এবং এর পর নতুন প্রজন্মের পেসারদের সম্মুখীন হল ও। এই কারণেই ওকে আমি খুব দৃঢ় একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে গণ্য করি।" তিনি এ-ও মনে করেন ক্রিকেট এখন ব্যাটসম্যান কেন্দ্রিক খেলা হয়ে গিয়েছে। তাঁর কথায়, "বর্তমানে ব্যাটিং কেন্দ্রিক খেলা হয়ে গিয়েছে ক্রিকেট। অতীতে পেস বোলারদের উড়ন্ত চুল এবং তাঁদেরে ধেয়ে আসা বল উপভোগ করতো ব্যাটসম্যানরা।" শোয়েবে এই শো-এ নিজের মতামত জানিয়েছে ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রীও। তিনি খেলার মধ্যে সমতা ধরে রাখার কথা বলেছেন। শাস্ত্রীর কথায়, "খেলার মধ্যে যদি আমনি সমতা বজায় রাখতে চান তা হলে বলবে ওভারে দু'টো বাউন্সার হওয়া উচিৎ নয়, এই সংখ্যাটাকে বাড়ানো উচিৎ।"
পাকিস্তানের হয়ে ৪৬টি টেস্ট ম্যাচে ১৭৮টি উইকেট রয়েছে শোয়েবের। মোট ১২ বার এক উইকেটে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ওডিআই ক্রিকেটে ১৬৩ ম্যাচে শোয়েবের উইকেট সংখ্যা ২৪৭। মোট চার ম্যাচে পাঁচ উইকেটের বেশি শিকার করেছেন শোয়েব। পাকিস্তানের হয়ে ১৫টি টি-২০ ম্যাচে শোয়েবের উইকেট সংখ্যা ১৯।