সৌরভের শহরে কয়েক ঘণ্টা কাটিয়ে গেলেন সচিন তেন্ডুলকর, হোটেলে না উঠে ছিলেন কোথায়? আসার কারণই বা কী?
সচিন তেন্ডুলকর ঝটিকা সফরে ঘুরে গেলেন কলকাতায়। তাঁর এক ঘনিষ্ঠের আত্মীয় বিয়োগ হয়েছে। তাঁদের বাড়িতেই রাত কাটালেন। আজ সকালে বিমান ধরেন। জানতেন প্রিয় 'দাদি' সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি সব বন্দোবস্ত করে রাখেন, তবে সাক্ষাৎ হয়নি।
এমনটাও হতে পারে। সচিন তেন্ডুলকর কলকাতায় এলেন, ফিরেও গেলেন। অথচ বিমানবন্দরে নেই চেনা উন্মাদনা, কয়েকজন পুলিশকর্মী, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের গাড়ি চালক ও নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া বিমানবন্দরে সচিনের সঙ্গে কাউকে দেখা গেল না। জানতে পারলেন না সিংহভাগ ভক্ত। সচিন নিজেই গোপন রাখতে চেয়েছিলেন তাঁর এই সফর। আজ বিমানবন্দরে যাঁরা মাস্টার ব্লাস্টারকে দেখলেন তাঁরা ক্যামেরাবন্দি করে রাখলেন। সেই ছবি, ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল।
জানা গিয়েছে, সচিন তেন্ডুলকর যে কলকাতায় আসছেন তা সোমবার বিকেলের দিকে জানতে পারেন পুলিশকর্মীরা। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় অবশ্য সচিনের আসার খবরটি জানতেন। তিনি সেইমতো বন্দোবস্ত করে রেখেছিলেন। প্রিয় দাদির সঙ্গে অবশ্য এবার কলকাতায় ঝটিকা সফরে দেখা হয়নি সচিনের। তিনি চুপিসারেই কলকাতায় কাটিয়ে গেলেন কয়েক ঘণ্টা। কোনও হোটেলেও রাত কাটাননি।
সচিন কলকাতায় এসে পৌঁছন গতকাল সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ। এরপর আজ সকাল ৯টা নাগাদ বিমানবন্দরে গিয়ে ফিরতি বিমান ধরেন। সেখানেই কয়েকজনের অনুরোধ রক্ষা করে সচিন সেলফি তোলার আবদার মেটান। অন্যান্য যাত্রীদের সঙ্গে মিশে গিয়েই তিনি বিমানের দিকে এগিয়ে যান। বিমানবন্দরের ভিতরে উপস্থিত কেউ সচিনকে দেখতে দেখতে হাঁটতে থাকেন। কেউ আবার সচিনের শহর ছাড়ার ভিডিও তুলে রাখেন।
ইংরেজি নতুন বছরে সচিনের প্রথমবার কলকাতায় আসা অবশ্য কোনও আনন্দ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নয়। বালিগঞ্জের ডোভার লেনে সচিনের এক ঘনিষ্ঠ থাকেন। তাঁর আত্মীয় বিয়োগের কথা শুনে সচিন ঘনিষ্ঠের বাড়িতে ঘুরে গেলেন। সেখানেই রাত্রিবাস করেন। কাল আমেদাবাদে সচিন তেন্ডুলকর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচের টসের পরই সংবর্ধিত করবেন শেফালি ভার্মার বিশ্বকাপজয়ী দলকে। ভারতের অনূর্ধ্ব ১৯ মহিলা টি ২০ বিশ্বকাপজয়ী দলের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানটি হবে আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে। ইতিমধ্যেই সচিন বিশ্বকাপজয়ী দলকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি মহিলা ক্রিকেটের যেভাবে উত্তরণ ঘটছে তাকেও সাধুবাদ জানিয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার।