নতুন ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে বাবার কথা মনে পড়ছে সচিনের
নতুন ভূমিকায় মাস্টার ব্লাস্টার। শিক্ষা সংক্রান্ত ভার্চুয়াল মাধ্যমে কয়েক লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীকে ক্লাস করাবেন সচিন তেন্ডুলকর। ই-লার্নিংয়ের ক্ষেত্রে সুপরিচিত বেঙ্গালুরুর এডুকেশন টেকনোলজি সংস্থা Unacademy-তে সচিন স্ট্র্যাটেজিক ইনভেস্টর হয়েছেন। এই সংস্থায় লগ্নি করে অংশীদারিত্ব গ্রহণের পাশাপাশি সংস্থাটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরও হলেন তিনি। সচিন আগামী মাসেই যে রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজ খেলবেন তারও টাইটেল স্পনসর এই সংস্থা। সেই সিরিজে নামতে ইন্ডোরে ব্যাট হাতে সচিনের অনুশীলনের ভিডিওয় এখন ভাইরাল।
ভার্চুয়াল মাধ্যমে শিক্ষাদানের এই অভিজ্ঞতা সচিনের কাছে নতুন। তবে তিনি বরাবরের মতো এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতেও প্রস্তুত। ই-লার্নিংয়ের এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সচিন সরাসরি ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে ভাগ করে নেবেন নিজের জীবনের অভিজ্ঞতার কথা। সচিনের ক্লাস করতে কোনও অতিরিক্ত অর্থ খরচ করতে হবে না পড়ুয়াদের। নতুন ভূমিকায় অভিষেকের আগে সচিনের মনে পড়ছে তাঁর বাবা প্রয়াত রমেশ তেন্ডুলকরের কথা। সচিন বলেন, আমার বাবা অধ্যাপক ছিলেন। ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাদানে মুম্বইয়ের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ছুটে বেড়াতেন। আজ বাবা বেঁচে থাকলে লক্ষ লক্ষ পড়ুয়ার কাছে শিক্ষা এত সহজে পৌঁছে দেওয়ার এমন ব্যবস্থা দেখে খুব খুশি হতেন।
সচিন-পুত্র অর্জুনের মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলে সুযোগ পাওয়া নিয়ে অনেকে নেপোটিজমের প্রসঙ্গ তুলছেন। সেই কথা মাথায় রাখলে সচিনের একটি মন্তব্য খুব ইঙ্গিতবাহী। তিনি বলেন, সব সময় যখন আমরা কোনও ড্রেসিংরুমে ঢুকি তখন কে কোথা থেকে এসেছে তা বিচার্য হয় না। ক্রীড়াক্ষেত্রে মাঠের পারফরম্যান্সই শেষ কথা বলে। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের মাধ্যমে দলের সাফল্য এনে দিতে সকলেই চান। এই জায়গাটা তাই সকলের জন্য সমান। পড়ুয়াদের উদ্দেশ সচিনের বার্তা, স্বপ্নকে তাড়া করো। তাহলেই স্বপ্ন সফল হবে। কখনও কখনও মনে হয় আর বুঝি কিছু হবে না। কিন্তু একেবারে শেষ বলে কিছু নেই। অতিরিক্ত পদক্ষেপই সাফল্য এনে দিতে পারে।