পাকিস্তানের কিংবদন্তির আত্মজীবনীতে সচিনের লেখা, কঠিনতম প্রতিপক্ষ হিসেবে কাকে বেছে নিলেন তেন্ডুলকর?
সচিন তেন্ডুলকরের দখলে রয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের একাধিক রেকর্ড। একদিনের আন্তর্জাতিক ও টেস্টে সর্বাধিক রান, সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক শতরান তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। ২৪ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারে অনেক বোলারের সঙ্গে মাস্টার ব্লাস্টারের উপভোগ্য দ্বৈরথের সাক্ষী থেকেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। তবে সচিন এবার জানালেন প্রতিপক্ষ বোলারদের মধ্যে কাকে সামলানো কঠিন ছিল। সেই অভিজ্ঞতার বর্ণনাও দিয়েছেন।
|
আক্রমের আত্নজীবনীতে সচিনের লেখা
পাকিস্তানের কিংবদন্তি ওয়াসিম আক্রমের সঙ্গে সচিনের ডুয়েল ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে গেঁথে রয়েছে। নব্বইয়ের দশকে ক্রিকেট মাঠে তাঁদের পারস্পরিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলার সাক্ষী অনেকেই। পরস্পরের প্রতি দুজনে শ্রদ্ধাশীলও। ওয়াসিম আক্রমের আত্মজীবনী Sultan: A Memoir-এ সচিন উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় ভরিয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ককে। আক্রমকে যখন প্রথমবার ফেস করেন তখনকার অভিজ্ঞতা আর কখনও হয়নি বলেও দাবি করেছেন সচিন।
'বলকে কথা বলাতে পারতেন'
মাস্টার ব্লাস্টার লিখেছেন, ক্রিকেট দলগত খেলা। কিন্তু তারপরও বিষয়টি গিয়ে দাঁড়ায় ব্যাটার ও বোলারের মধ্যে দ্বৈরথে। ওয়াসিম আক্রম প্রত্যেক ব্যাটারের কাছেই এক অসাধারণ প্রতিপক্ষ। এমন মানের ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে কেউ যখন খেলেন তখন তাঁর নিজের খেলার মানও বেড়ে যায়। সেই অভিজ্ঞতা সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারের কাছে আজীবন থেকেও যায়। ওয়াসিম একজন মাস্টার। তিনি বলকে কথা বলাতে পারতেন। উল্লেখ্য, কেরিয়ারের প্রথম টেস্ট সচিন খেলেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। সেই টেস্টে আক্রম খেললেও সচিন প্রথম ইনিংসে ১৫ রানে বোল্ড হয়েছিলেন ওয়াকার ইউনিসের বলে।
অনন্য অভিজ্ঞতা
সচিন আরও লিখেছেন, আক্রমের রান-আপ খুবই সাধারণ। অন্য বোলারদের মতো তিনি স্টেপ মাপতেন না। যে কোনও জায়গা থেকে বোলিংয়ের জন্য দৌড় শুরু করতে পারতেন এবং তাতেও বল হাতে কার্যকরী ভূমিকাই পালন করতেন। ক্রিজে তিনি এত দ্রুত বল করার জন্য চলে আসতেন যে, ব্যাটার নিজেকে প্রস্তুত রাখার পর্যাপ্ত সময় পর্যন্ত পেতেন না। আমি যখন প্রথম তাঁর বিরুদ্ধে খেলি, তেমন অভিজ্ঞতা আর কখনও হয়নি। আমরা একে অপরের বিরুদ্ধে যতগুলি ম্যাচ খেলেছি সব মনে আছে। এখনও যখন আমাদের দেখা হয় তখন উষ্ণ বন্ধুত্বেরই ছোঁয়া থাকে।
একনজরে ওয়াসিম
উল্লেখ্য, একদিনের আন্তর্জাতিকে জোরে বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট দখলের রেকর্ডটি রয়েছে ওয়াসিম আক্রমের দখলে। এই ফরম্যাটে তিনিই প্রথম বোলার হিসেবে পাঁচশো উইকেটের ক্লাবে যোগ দেন। ৩৫৬টি ম্যাচে আক্রমের ৫০২টি উইকেট রয়েছে। ১০৬টি টেস্টে আক্রম ৪১৪টি উইকেট নিয়েছেন। টেস্টে আক্রমের সেরা বোলিং ১১৯ রানে ৭ উইকেট, ম্যাচে ১১০ রানের বিনিময়ে ১১ উইকেট। ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন ৫ বার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আক্রমের উইকেট সংখ্যা ১০৪২।