নিজের ৪৮তম জন্মদিনে করোনাকে হারানো সচিনের বিশেষ আবেদন, সঙ্গে ধন্যবাদ বার্তা
নিজের ৪৮তম জন্মদিনে করোনাকে হারানো সচিনের বিশেষ আবেদন, সঙ্গে ধন্যবাদ বার্তা
৪৮তম জন্মদিনে সচিন তেন্ডুলকরকে শুভেচ্ছা জানাতে হিড়িক পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ক্রিকেটের ঈশ্বরকে অভিনন্দ জানাতে কার্পণ্য করেননি ক্রিকেট প্রেমী থেকে দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা। আইসিসি, বিসিসিআইয়ের মতো প্রতিষ্ঠানও মাস্টার ব্লাস্টারকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে নিয়ম মেনে। তাদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সচিন। সঙ্গে দেশের সহ নাগরিকদের উদ্দেশে এক বিশেষ আবেদন করেছেন করোনাকে হারানো এই ভারতীয় কিংবদন্তি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সচিনের ওই ভিডিও বার্তা।
সচিনের ৪৮তম জন্মদিন
করোনা ভাইরাসের আবহে দেশজুড়ে সচিন তেন্ডুলকরের ৪৮তম জন্ম দিবস পালিত হচ্ছে। মাস্টার ব্লাস্টারকে অভিনন্দন জানাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিড় উপচে পড়েছে। পাল্টা এক ভিডিও বার্তায় নিজের সকল শুভাকাঙ্খিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সচিন। অতিমারী কালে দেশের সকল নাগরিকের সুস্থতা কামনা করেছেন মাস্টার ব্লাস্টার।
ডাক্তার, স্বাস্থ্য কর্মী সহ সকল করোনা যোদ্ধাদের ধন্যবাদ
সদ্য করোনা ভাইরাসকে জয় করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা সচিন তেন্ডুলকরের কাছে ৪৮তম জন্মদিন যে একেবারে অন্যরকম, তা তিনি নিজেই স্বীকার করে নিলেন। ওই কঠিন সময়ে ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা যেভাবে তাঁর সেবা করেছেন, মনোবল জুগিয়েছেন, তার জন্য নিজের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন ক্রিকেটের ঈশ্বর। সবশেষে কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে লড়াই করার জন্য নিজের পরিবারের প্রতিটি সদস্যের কথাও উল্লেখ করেছেন সচিন।
|
সচিনের বিশেষ আবেদন
৪৮তম জন্মদিনে টুইটারে পোস্ট করা ধন্যবাদ বার্তা সচিন বলেছেন, কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে, তাঁর পরিবারের সদস্যদের ওপর দিয়ে কী ঝড় বয়ে যায়, তা তিনি ২১ দিনের আইসোলেশন পর্বে অনুভব করেছেন। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে দেশের মানুষকে এগিয়ে এসে প্লাজমা দান করার আবেদন জানিয়েছেন সচিন। তিনি নিজেও ডাক্তারদের সঙ্গে পরামর্শ করে এই উদ্যোগে সামিল হতে চলেছেন বলে জানিয়েছেন কিংবদন্তি। এতে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই আরও বলিষ্ঠ হবে বলে মনে করেন সচিন।
করোনা আক্রান্ত সচিন
গত ২৭ মার্চ নিজের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। ২ এপ্রিল তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। কিছুদিন পর সেখানে থেকে বাড়ি ফিরে আইসোলেশন পর্বে থেকে সুস্থ হয়ে ওঠেন মাস্টার ব্লাস্টার। স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়েছে দেশ।