ভারতে দিন-রাতের টেস্টের সফলতা নিয়ে আশাবাদী সচিন, তবে সমস্যার কথাও বললেন তিনি, বিস্তারিত জানুন
ভারতে দিন-রাতের টেস্টের সফলতা নিয়ে আশাবাদী সচিন, তবে সমস্যার কথাও বললেন তিনি, বিস্তারিত জানুন
ভারতে দিন-রাতের টেস্টের সফলতা নিয়ে উচ্চাকাঙ্খি মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর। তাঁর এক সময়ের সতীর্থ তথা বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপ্যায়ের এই পদক্ষেপের প্রশংসাও করেছেন লিটল মাস্টার। তবে ইডেন গার্ডেন্সে দিন-রাতের টেস্ট আয়োজন নিয়ে একটা আশঙ্কার কথাও শুনিয়েছেন সচিন। সে ব্যাপারে জানতে বিস্তারিত পড়ুন।
দর্শকদের টানবে গোলাপী বলের টেস্ট
একটা সময় ছিল যখন, দেশের বড় বড় মাঠগুলিতে টেস্ট ক্রিকেট দেখারও টিকিট পাওয়া যেত না। প্রায় প্রতিদিনই ভর্তি থাকত ইডেন গার্ডেন্স, ওয়াংখেড়ে, চিপক ও চিন্নাস্বামী ক্রিকেট স্টেডিয়ামের প্রতিটি গ্যালারি। কিন্তু টি-টোয়েন্টির যুগে মানুষ যে লাল বলের ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছেন, তা কিন্তু পরিষ্কার। এখন টেস্ট ক্রিকেটে ফাঁকা থাকে দেশের অধিকাংশ মাঠ। মানুষকে ফের টেস্টের দিকে টানতে দিন-রাতের ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলেই বিশ্বাস করেন সচিন তেন্ডুলকর।
সমস্যা একটাই
ক্রিকেটার হিসেবে ইডেন গার্ডেন্সে অসংখ্য টেস্ট ও সীমিত ওভারের ম্যাচ খেলেছেন মাস্টার ব্লাস্টার। তাই কলকাতার এই মাঠ তাঁর কাছে ভীষণই পরিচিত। সচিন জানেন সন্ধ্যার দিকে ইডেন গার্ডেন্সে যে শিশির পড়ে, তাতে বল গ্রিপ করতে সমস্যায় পড়েন বোলার ও ফিল্ডাররা। সেই সমস্যা সমাধান করা গেলে, গোলাপী বলের টেস্ট ম্যাচ দেশে ইতিহাস রচনা করবে বলেই বিশ্বাস করেন সচিন তেন্ডুলকর।
ক্রিকেটার হিসেবে?
ক্রিকেটারের দিক থেকে বিচার করলে গোলাপী বলে ক্রিকেট ম্যাচের ফল খুব একটা খারাপ হবে না বলেই বিশ্বাস করেন সচিন তেন্ডুলকর। তাঁর কথায়, আলাদা পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটসম্যানদের গোলাপী বলে অনুশীলন করা উচিত। ২০, ৫০ ও ৮০ ওভার পুরনো গোলাপী বল দিয়ে আলাদা ভাবে নেটে ব্যাটিং অনুশীলন করা উচিত বলে মনে করেন মাস্টার ব্লাস্টার।
উইকেটরক্ষকের ভূমিকা
গোলাপী বলের টেস্ট ম্যাচে বোলাররা যেমন ফায়দা পেতে পারেন, আবার তাঁরা সমস্যাতে পড়তে পারেন বলেই মনে করেন সচিন তেন্ডুলকর। তাঁর কথায়, বল কতটা কাটবে, কতটা রিভার্স করবে, তা কিন্তু ভারত ও বাংলাদেশের বোলারদের কাছে এখনও পর্যন্ত অজানা। সেক্ষেত্রে মহম্মদ শামি, উমেশ যাদবদের বল দিশাহীন হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলেও আশঙ্কা মাস্টার ব্লাস্টারের। গোলাপী বল সঠিক জায়গায় পড়ছে কিনা, সুইং হচ্ছে কিনা, অতিরিক্ত বাউন্স হচ্ছে কিনা, তা বোঝার গুরু দায়িত্ব উইকেটরক্ষকদের নিতে হবে বলেই জানিয়েছেন সচিন।