সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে ফের শতরান ঋতুরাজের, বাংলা জয়ের হ্যাটট্রিক সেরে শীর্ষে
সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে লক্ষ্মীরতন শুক্লার প্রশিক্ষণাধীন বাংলা দুরন্ত ছন্দে। আজ লখনউয়ে ছিনিয়ে নিল টানা তৃতীয় জয়, হারাল সিকিমকে। এলিট গ্রুপে ৪ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে এলিট ই গ্রুপের শীর্ষে রয়েছে বাংলা। এদিনই মহারাষ্ট্রের হয়ে খেলতে নেমে টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় শতরান হাঁকিয়েছেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়।
ঋতুরাজ চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে দারুণ খেলে জায়গা করে নেন ভারতীয় দলে। তবে টি ২০ বিশ্বকাপে সুযোগ পাননি। চলতি সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে তিনি ১২ অক্টোবর মোহালিতে শতরান হাঁকিয়েছিলেন সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে। ৬৫ বলে ১১২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। আজ মুল্লানপুরে কেরলের বিরুদ্ধে আটটি চার ও সাতটি ছয়ের সাহায্যে ঋতুরাজ করলেন ৬৮ বলে ১১৪ রান। মহারাষ্ট্র ২০ ওভারে করে ৪ উইকেটে ১৬৭। ঋতুরাজ মহারাষ্ট্রকে নেতৃত্ব দেন, উইকেটকিপিংও করেন। জবাবে সঞ্জু স্যামসনের কেরল ৮ উইকেটে ১২৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি। সঞ্জু সাত বলে তিন রান করে স্টাম্প আউট হন। মহারাষ্ট্রের হয়ে খেলছেন অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের রাজবর্ধন হাঙ্গরগেকর ও ভিকি অস্টওয়াল। রাজবর্ধন এদিন একটি উইকেট পান।
লখনউয়ে সিকিমকে এদিন ৮৪ রানে হারিয়ে দেয় বাংলা। বাংলা টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রান তুলেছিল। তিনটি চার ও দুটি ছয়ের সাহায্যে সুদীপ ঘরামি ৪৩ বলে ৫৬ রান করেন। শাহবাজ আহমেদ করেন ৩৩ বলে ৪৩। ১২ বলে অপরাজিত ৪৩ রান করেন উইকেটকিপার অগ্নিভ পান। অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন গোল্ডেন ডাক নিয়ে সাজঘরে ফেরেন। জবাবে সিকিম ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৯৫ রান তোলে। ২ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৫ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন করণ লাল। ১১ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট পান প্রদীপ্ত প্রামাণিক। অভিষেক ম্যাচে রবি কুমার পান ১টি উইকেট, আকাশ দীপ, শাহবাজ, ঋত্ত্বিক চট্টোপাধ্যায় একটি করে উইকেট দখল করেন।
এদিনের অন্য ম্যাচগুলিতে গোলা ১১ রানে হারিয়েছে উত্তরপ্রদেশকে। উত্তরপ্রদেশের হয়ে সর্বাধিক স্কোর কেকেআরে খেলা রিঙ্কু সিংয়ের, তিনি করেন ৩৭ বলে ৩৮। গোয়ার হয়ে ২৫ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন অর্জুন তেন্ডুলকর। অসম ৮ উইকেটে হারিয়েছে রেলওয়েজকে। জম্মু ও কাশ্মীরকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে হরিয়ানা। মণিপুরকে ৪০ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৯ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে পাঞ্জাব। জিতেছে গুজরাত, অন্ধ্র, ছত্তীসগঢ়, কর্নাটকও।