দেশের সেরা উইকেটকিপার পন্থ হবেন এক বছরের মধ্যেই, দাবি প্রাক্তনের
এক বছরের মধ্যেই দেশের সেরা উইকেটকিপার হয়ে উঠবেন ঋষভ পন্থ। এমনটাই মনে করেন প্রাক্তন উইকেটকিপার নমন ওঝা। চেন্নাই টেস্টে ঋষভ ব্যাট হাতে যেমন রান পেয়েছেন তেমনই বেশ কয়েকটি ভালো ক্যাচ ধরেছেন, স্টাম্পিং করেছেন। নমন ওঝা ঋষভের প্রশংসা করে বলেন, প্রতিদিনই ঋষভ উন্নতি করছেন। টেস্টে যত তিনি উইকেটকিপিং করবেন, তত তাঁর উন্নতি হবে। এই উন্নতি কাজে লাগবে ওয়ান ডে আর টি ২০-তেও। ঋষভ ভালো ব্যাটসম্যানও। সবমিলিয়ে এক বছরের মধ্যেই দেশের সেরা উইকেটকিপার হয়ে উঠবেন ঋষভ। গত বছর ঋষভ সীমিত ওভারের দল থেকে বাদ পড়েন। লোকেশ রাহুল ওয়ান ডে ও টি ২০-তে উইকেটকিপিং করছিলেন। তবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি ২০ সিরিজে তাঁকে আর উইকেটের পিছনে দাঁড়াতে হবে না। পন্থের পাশাপাশি ঈশান কিষানকে দ্বিতীয় উইকেটকিপার হিসেবে দলে রাখা হয়েছে।
লোকেশ রাহুলের প্রশংসা করে নমন ওঝা বলেন, রাহুল দারুণ ফিট। ব্যাট হাতে ম্যাচ জেতাতে পারেন। ফিটনেস একজন কিপারের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। রাহুল দুই ফরম্যাটেই ভালো কিপিং করছেন, উন্নতি করেছেন। পন্থ আর রাহুল দুজনেই ভালো ব্যাটসম্যান। ব্যাটে রান পেলে সেই আত্মবিশ্বাস তাঁদের কিপিংয়েও প্রভাব ফেলে। চাপমুক্ত হয়ে তাঁরা সেই সময় উইকেটকিপিংয়ে আরও বেশি মনোযোগী হতে পারেন।
আইপিএলে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, রাজস্থান রয়্যালস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলেছেন নমন। তবে দেশের হয়ে মাত্র একটি টেস্ট, একটি ওয়ান ডে ও দুটি টি ২০ খেলার সুযোগ পেয়ছেন। ভারতের সীমিত ওভারের দলে ২০১০ সালে অভিষেক হওয়া নমন কেরিয়ারের একমাত্র টেস্ট খেলেন ২০১৫ সালে শ্রীলঙ্কায়। যদিও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৪৬ ম্যাচে তাঁর রান রয়েছে ৯৭৫৩, সর্বোচ্চ স্কোর অপরাজিত ২১৯। ২২টি শতরান ও ৫৫টি অর্ধশতরান রয়েছে। ৫০ ওভারের ফরম্যাটেও তাঁর ৯টি শতরান আছে। টি ২০-তে তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর অপরাজিত ৯৪। ঘরোয়া টুর্নামেন্টে ভালো পারফর্ম করা সত্ত্বেও নমনের জাতীয় দলের সুযোগের পথে অন্তরায় হয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারতীয় দলে থাকা।
নমন ওঝা বলেছেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো পারফরম্যান্স মানুষ মনে রাখেন না। অথচ আইপিএলে এক বা দুটি ম্যাচে ভালো খেললেই তাঁকে তারকা বানিয়ে দেওয়া হয়। আইপিএলের পারফরম্যান্সে ভর করে ভারতীয় টি ২০ দলে ক্রিকেটারদের সুযোগ দেওয়া যেতেই পারে। কিন্তু ওয়ান ডে বা টি ২০ দলে আইপিএল নয়, ঘরোয়া টুর্নামেন্টের পারফরম্যান্স বিচার্য হওয়া উচিত। শিবম দুবে বা বরুণ চক্রবর্তীরা বেশি ঘরোয়া টুর্নামেন্ট বা প্রথম শ্রেণির ম্যাচ না খেলেই ভারতীয় দলে ঢুকে পড়ছেন আইপিএলের পারফরম্যান্সের জন্যই। নমনের প্রশ্ন, আইপিএলকে যদি গুরুত্ব দেওয়া হয় তাহলে ঘরোয়া টুর্নামেন্ট বার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট আয়োজনের দরকার কী, কেনই বা টাকা খরচের দরকার? ভারতীয় দল বা আইপিএলের যা পরিকাঠামো তা ঘরোয়া ক্রিকেটে নেই। ভোরের বিমানে গিয়ে অনুশীলন করেই ম্যাচ খেলতে হয়েছে অনেক সময়। ঘরোয়া ক্রিকেটে ক্রিকেটারদের উপর ধকল যায়, ফিটনেস ধরে রাখতে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। তারপরেও যদি পারফরম্যান্স করে সুযোগ না মেলে তা তো হতাশাজনক। বিসিসিআইয়ের রঞ্জি ট্রফিকেও আরও গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে মনে করেন নমন। অবসরের পর বিদেশে খেলতে যেতে চান তিনি।