ব্যাটে ভরসা দিলেন অভিমন্যু ও সুদীপ, ঝাড়খণ্ডকে টপকে রঞ্জি সেমিফাইনালের দিকে পা বাড়াল বাংলা
রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালের দিকে পা বাড়াল বাংলা। প্রথম ইনিংসে ঝাড়খণ্ডের ১৭৩ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিনের শেষে প্রথম ইনিংসে বাংলার স্কোর ৫ উইকেটে ২৩৮। লিড রয়েছে ৬৫ রানের। তৃতীয় দিনে যত বেশি সম্ভব রান চান কোচ লক্ষ্মী।
রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালের দিকে পা বাড়াল বাংলা। ইডেনে প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় দিনেই ঝাড়খণ্ডের প্রথম ইনিংসের রান টপকে গেল মনোজ তিওয়ারির দল। প্রথম ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ লিড এসে যাওয়ায় একমাত্র না হারলেই শেষ চারে যাওয়া আটকাবে না বাংলার। দ্বিতীয় দিনের শেষে প্রথম ইনিংসে বাংলা এগিয়ে ৬৫ রানে, হাতে রয়েছে ৫ উইকেট।
(ছবি- সিএবি মিডিয়া)
প্রথম দিনেই আকাশ দীপ ও মুকেশ কুমারের দাপুটে বোলিংয়ের সামনে ৬৬.২ ওভারে ১৭৩ রানে শেষ হয়েছিল ধোনির রাজ্যের প্রথম ইনিংস। আজ খেলা হলো ৮১ ওভার। দিনের শেষে বাংলার প্রথম ইনিংসে স্কোর পাঁচ উইকেটে ২৩৮। ওপেনিং জুটিতে বদল এনেও লাভ হয়নি। কাজি জুনেইদ সইফি ২৪ বলে ১ রান করে লেগ বিফোর হন আশিস কুমারের ওভারে। যদিও সেই সিদ্ধান্তটি নিয়ে সংশয় রয়েছে। ৮.৫ ওভারে ১১ রানে প্রথম উইকেট পড়ে বাংলার। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১৩৬ রানের পার্টনারশিপ গড়েন অভিমন্যু ঈশ্বরন ও সুদীপ ঘরামি।
৪৬.২ ওভারে ১৪৭ রানে বাংলা দ্বিতীয় উইকেট হারায়। সুদীপ আউট হন ১০৯ বলে ৬৮ রান করে, মেরেছেন ১১টি চার। সুদীপকে ফেরান অভিজ্ঞ শাহবাজ নাদিম। দলের ১৫৯ রানের মাথায় অভিমন্যু ঈশ্বরন আউট হন। সুপ্রিয় চক্রবর্তীর বলে তিনি কট বিহাইন্ড হন। ১৫৪ বলে ৭৭ রান করেন অভিমন্যু। প্রথম ইনিংসের লিড নিশ্চিত হওয়ার পর প্যাভিলিয়নে ফেরেন অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। ৪৭ বলে ১৩ রান করে তিনি সুপ্রিয়র বলেই লেগ বিফোর হলে বাংলার স্কোর দাঁড়ায় ৬৫.১ ওভারে ৪ উইকেটে ১৮৩। ৭১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে দলগত ২০৭ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন অনুষ্টুপ মজুমদার। ৭৩ বলে ২৫ রান করে তিনি বোল্ড হন অনুকূল রায়ের ওভারে।
দিনের শেষে ক্রিজে রয়েছেন শাহবাজ আহমেদ (৪২ বলে ১৭) ও অভিষেক পোড়েল (৩৭ বলে ২৫)। বাংলার হেড কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা বলেন, প্রথম ইনিংসে লিড এসে যাওয়ায় আমরা খুশি। তবে তৃতীয় দিনে আমাদের লক্ষ্য থাকবে যত বেশি রান তোলা। মাথায় রাখতে হবে ক্রিকেটে যা কিছু হতেই পারে। অভিমন্যু ও সুদীপের পার্টনারশিপটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু সামনে আমাদের আরও বড় টার্গেট রয়েছে। ঝাড়খণ্ডের বোলারদের মধ্যে সুদীপ চক্রবর্তী ২টি এবং আশিস কুমার, শাহবাজ নাদিম ও অনুকূল রায় একটি করে উইকেট পেয়েছেন।