Ranji Trophy: বাংলার পেস ত্রয়ীর দাপট, ঘরের মাঠে ইনিংস হার বাঁচাতে লড়াই হরিয়ানার
হরিয়ানার বিরুদ্ধে বাংলা ইনিংসে জয়ের দোরগোড়ায়। ফলো অনে বাধ্য হয়ে হরিয়ানা পিছিয়ে ৭৯ রানে, হাতে রয়েছে ৩ উইকেট। মুকেশ কুমার, আকাশ দীপ ও ঈশান পোড়েলের দুরন্ত বোলিং।
রঞ্জি ট্রফির এলিট গ্রুপ এ-র শীর্ষস্থান দখলেই রাখতে চলেছে বাংলা। রোহতকের লাহলিতে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে চতুর্থ জয় ছিনিয়ে নিতে চলেছে মনোজ তিওয়ারির দল। ফলো অনে বাধ্য হয়ে এখনও ৭৯ রানে পিছিয়ে হরিয়ানা। বাংলার জিততে দরকার আর সাত উইকেট। বাংলার পেস ত্রয়ীর দাপটেই খাদের কিনারায় চলে গিয়েছে হর্ষল প্যাটেলের নেতৃত্বাধীন দল।
(ছবি- সিএবি মিডিয়া)
বাংলার প্রথম ইনিংসে ৪১৯ রানের জবাবে গতকাল হরিয়ানা থেমেছিল ১৬৩ রানে। বাংলা ফলো অন করানোর সিদ্ধান্ত নেয়। আজ অবশ্য ৬৯ ওভারের বেশি খেলা হয়নি। আলো কমে আসায় নির্ধারিত সময়ের আগেই খেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তৃতীয় দিনের খেলা বন্ধ হওয়ার সময় হরিয়ানার দ্বিতীয় ইনিংসের স্কোর ৬৯ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৭।
ওপেনিং জুটিতে উঠেছিল ১২৯। হরিয়ানার প্রথম উইকেটটি পেতে বাংলাকে অপেক্ষা করতে হয় ৫০ ওভার পর্যন্ত। ৪০তম ওভারটি করতে গিয়ে জোড়া ধাক্কা দেন ঈশান পোড়েল, ১২৯ রানেই পড়ে ২ উইকেট। প্রথমে তৃতীয় বলে তিনি আউট করেন চৈতন্য বিষ্ণোইকে। ১৫৬ বলে ৫৫ রান করে তিনি কট বিহাইন্ড হন। এরপর এই ওভারের শেষ বলে লেগ বিফোর হন অঙ্কিত কুমার, তিন বলে তিনি কোনও রান করতে পারেননি। হরিয়ানার তৃতীয় উইকেটটি পড়ে ১৫৬ রানে, হিমাংশু রানা ১৯ বলে ১৬ রান করে আকাশ দীপের প্রথম শিকার।
ওপেনার যুবরাজ সিং ১৮৭ বলে ৭৮ রান করে মুকেশ কুমারের বলে উইকেটকিপার অভিষেক পোড়েলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। ৬২ ওভারে হরিয়ানার স্কোর তখন ৪ উইকেটে ১৬২। এরপর ১৬৭ রানে পঞ্চম, ১৭৫ রানে ষষ্ঠ ও ১৭৭ রানে সপ্তম উইকেট হারায় হরিয়ানা। নিশান্ত সিন্ধু ৬, উইকেটকিপার রোহিত শর্মা ১ ও হর্ষল প্যাটেল ১ রানে আউট হন। সুমিত কুমার ১৩ বলে ৮ ও অমিত রানা ০ রানে ক্রিজে রয়েছেন। প্রথম ইনিংসে সুমিত ৭০ রানে অপরাজিত ছিলেন। শেষ উইকেটে আমন কুমারকে নিয়ে গড়েছিলেন ৬৩ রানের পার্টনারশিপ। যদিও সেটা আর করতে দিতে চাইছেন না বাংলার পেসাররা। তাঁরা ইনিংস জয়ই নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।
আকাশ দীপ প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও তিনটি উইকেট তুলে নিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত তিনি ৫টি মেডেন-সহ ১৭ ওভারে ৩৭ রান খরচ করেছেন। মুকেশ কুমার ৭টি মেডেন-সহ ১৯ ওভারে ৫৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন। ঈশান পোড়েলের দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং ফিগার ১৮ ওভার ৫ মেডেন ৩৬ রান ২ উইকেট। বাংলার আরও স্বস্তির খবর, উত্তরাখণ্ডকে তিন পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে বরোদার বিরুদ্ধে। বরোদা প্রথম ইনিংসে ৮৬ রান তোলার পর উত্তরাখণ্ড করে ১৯৯। যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে বরোদা ৭ উইকেটে ৩৩৬ তুলে এগিয়ে রয়েছে ২২৩ রানে। সেক্ষেত্রে ৬ ম্যাচে উত্তরাখণ্ড ২৬ পয়েন্টে থাকবে। বাংলা ৩১ পয়েন্ট তো বটেই, ৩২ পয়েন্টেও পৌঁছে যেতে পারে। ফলে গ্রুপশীর্ষে থেকেই কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার পথ প্রশস্ত হয়ে যাবে।