রঞ্জিতে বাংলাকে ফলো অন করাল ওডিশা, দ্বিতীয় ইনিংসে শতরানের মুখে অভিমন্য়ু, মনোজ ও সুদীপের হাফ সেঞ্চুরি
রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে ইডেনে বাংলাকে ফলো অন করাল ওডিশা। অভিমন্যু ঈশ্বরন শতরানের দোরগোড়ায়। অর্ধশতরান করলেন মনোজ তিওয়ারি ও সুদীপ ঘরামি।
মনোজ তিওয়ারির বাংলা ইতিমধ্যেই গ্রুপশীর্ষে থেকে রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়া নিশ্চিত করে ফেলেছে। তবু ওডিশার বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিতে চাইছিল বাংলা। প্রথম দিন পিচ ভিজে থাকায় চার ঘণ্টারও বেশি দেরিতে খেলা শুরু হয়। ইডেনে আজ ম্যাচের তৃতীয় দিনে ব্যাটিং বিপর্যয়ের জেরে বাংলাকে ফলো অনে বাধ্য করল শুভ্রাংশু সেনাপতির দল।
(ছবি- সিএবি মিডিয়া)
ওডিশার প্রথম ইনিংস গতকাল ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে শেষ হয়েছিল ২৬৫ রানে। ফিল্ডিং করতে গিয়ে মাথায় চোট পেয়ে বেরিয়ে যান আকাশ দীপ। কনকাসন পরিবর্ত হিসেবে দলে আসেন গীত পুরী। ফিল্ডিং করতে গিয়ে আঙুলে চোট পেয়েছিলেন অনুষ্টুপ মজুমদার। কোয়ার্টার ফাইনালের আগে তাঁকে জোর করে নামানোর মতো ঝুঁকি থেকে বিরত থাকে বাংলা। গতকাল বাংলার স্কোর ছিল ১৫ ওভারে ২ উইকেটে ৩৯। আজ ৩৫.৫ ওভারে ১০০ রানে ৯ উইকেট পড়ে যায়। ৫৯ রানে অর্ধেক ব্যাটিং লাইন আপ সাজঘরে ফিরে গিয়েছিল। ৮৯ রানে ষষ্ঠ উইকেট পড়েছিল।
অভিমন্যু ঈশ্বরন ২৭, শুভঙ্কর বল ১৭, অভিষেক পোড়েল ১৮ ও আকাশ ঘটক ১০ রান করেন। বাকিরা দুই অঙ্কে পৌঁছতে পারেননি। মনোজ তিওয়ারি প্রথম বলেই আউট হয়ে গিয়েছিলেন। সুনীল রৌল ও সূর্যকান্ত প্রধান তিনটি করে উইকেট দখল করেন। কেরিয়ারের শেষ ম্যাচে বসন্ত মোহান্তি নেন ১ উইকেট। ১৬৫ রানে এগিয়ে থাকায় ওডিশা ফলো অনে বাধ্য করায় বাংলাকে। ১২তম ওভারে দলের ২৯ রানের মাথায় বসন্ত মোহান্তির শিকার হন করণ লাল। দুই ইনিংসেই তাঁর সংগ্রহ ৮ রান। এরপর সুদীপ ঘরামিকে নিয়ে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন অভিমন্য়ু ঈশ্বরন।
সুদীপ ঘরামি ৭৫ বলে ৫০ রান করে আউট হলে বাংলার স্কোর দাঁড়ায় ৩১.৫ ওভারে ১১১। ৩৫.২ ওভারে ১১৭ রানে পড়ে তৃতীয় উইকেট। শুভঙ্কর বল ৪ রানে সাজঘরে ফেলেন। এরপর থেকে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন অভিমন্যু ঈশ্বরন ও মনোজ তিওয়ারি। তৃতীয় দিনের শেষে বাংলার স্কোর ৬২ ওভারে ৩ উইকেটে ২২০। ১৩টি চারের সাহায্যে ১৫৬ বলে ৯৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন অভিমন্যু। মনোজ ৯৩ বলে ৫০ রানে অপরাজিত রয়েছেন। বাংলার অধিনায়ক এখনও অবধি সাতটি চার মেরেছেন। বাংলার লিড ৫৫ রানের। অঘটন না ঘটলে কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলার প্রতিপক্ষ হতে চলেছে ঝাড়খণ্ড। ৭ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে তারা রয়েছে এলিট গ্রুপ সি-র দ্বিতীয় স্থানে। কেরল বা রাজস্থানের পক্ষে ওই পয়েন্টে পৌঁছনো সম্ভব নয়।