পিসিবি থেকে কোনও ব্যক্তিগত জিনিসও নিতে দেওয়া হয়নি রামিজকে, তাঁর অপসারণ কি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফল?
পিসিবি থেকে কোনও ব্যক্তিগত জিনিসও নিতে দেওয় হয়নি রামিজকে, তাঁর অপসারণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফল, বিস্ফোরক রাজা
কিছু দিন আগেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ছিল ভাল, পিসিবি-র সব কিছু ছিল ভাল কারণ নিজে তখন ছিলেন পিসিবির চেয়ারম্যান কিন্তু দায়িত্ব থেকে সরতেই নতুন ভাবে সেজে ওঠা পিসিবি হঠাৎ করেই খারাপ হয়ে গেল রামিজ রাজার কাছে। তাঁকে সরিয়ে পিসিবি'র চেয়ারম্যান পদে নাজাম শেঠিকে বসানোকে 'রাজনৈতিক পদক্ষেপ' বলে উল্লেখ করেছেন রামিজ।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে রামিজ রাজা বলেছেন, পুরো পিসিবির-র নিয়মই বদলে ফেলা হয়েছে এক জনের সুবিধার্থে। পাশাপাশি যে দ্রুততাপ সঙ্গে এই পরিবর্তন করা হয়েছে তার তীব্র সমালোচনাও করেছে রাজা। তিনি জানিয়েছেন, এত দ্রুত পরিবর্তন হয় এবং শেঠি তাঁর লোক জন দায়িত্ব তুলে নেয় যে পিসিবি থেকে নিজের অনেক কিছু তিনি নিয়ে আসতেও পারেননি। সোমবার ইউটিউবে সমর্থকদের সঙ্গে আলোচনায় প্রাক্তন পিসিবি চেয়ারল্যান বলেছেন, "এক জন মানুষকে জায়গা করে দিতে, স্পষ্ট করে বললে শেঠির জন্য পুরো নিয়মকানুন-ই পরিবর্তন করতে হয়েছে ওদের। আমি বিশ্বের কোথাও এমনটা দেখিনি, মরসুমের মাঝ পথে এমনটা করা হয়েছে, যখন বিদেশি দলগুলি পাকিস্তান সফরে আসছে বা রয়েছে। ওরা মুখ্য নির্বাচককেও বদলে দিয়েছে যিনি টেস্ট ক্রিকেট খেলেছেন। রাত ২'টোর সময় ও টুইট করে জানান রামিজ রাজা আর (দায়িত্বে) নেই। এটা আমার খেলার জায়গা, আমায় আঘাত করেছে এই বিষয়টা। দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে যে মেসিহা (শেঠি) এসেছেন যিনি এই খেলাকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবেন। আমরা জানি ওর লক্ষ্য কী। যে কোনও মূল্যে প্রচারের আলো চায় ও। ক্রিকেট নিয়ে ওর কিছু করার নেই, কখনও ব্যাট হাতে তোলেনি। ওরা মিকি আর্থারকে ফিরিয়ে আনছে। যদিও জানুয়ারিতে শেষ হচ্ছে সাকলিন মুস্তাকের সময়। ৫০-এর উপর টেস্ট খেলেছে সাকলিন, ও এক জন কিংবদন্তি। একজন ক্রিকেটারের সঙ্গে এই ভাবে আচরণ করা যায় না। এটা অত্যন্ত হতাশ করে যখন আপনাকে ১২ মাস পর বলা হয় দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে যেখানে তিন বছরের মেয়াদে আপনি এসেছেন। এক জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে জায়গা করে দিতে এমনটা করা। ক্রিকেটের কোনও উপকারে আসবে না এই পদক্ষেপ। ক্রিকেট বোর্ড, সিস্টেম, জাতীয় দল এবং অধিনায়কের উপর চাপ তৈরি হবে এর ফলে। সংবিধানকে কঠোর হতে হবে। এটা শুধু পাকিস্তানেই হয়। আমি আন্তর্জাতিক স্তরে বিষটগুলি উথ্থাপন করতে থাকব। এটা তমাশায় পরিণত হয়েছে।"
নিজাম শেঠি এবং তাঁর সহযোগীরা পিসিবি'র দফতরে এসে রামিজকে তাঁর জিনিসও নিতে দেয়নি বলে অভিযোগ করেছে ইমারন খানের বিশ্বকাপ জয়ী দলের ক্রিকেটার। পিসিবি'তে যা হয়েছে তাকে রাজনৈতিক নিপীড়ন এবং প্রতিহিংসা হিসেবে উল্লেখ করেছে রামিজ রাজা। তিনি বলেছেন, "ওরা আমাকে আমার জিনিসও পিসিবি'র দফতর থেকে নিয়ে যেতে দেয়নি। ক্রিকেটে ওদের কোনও আগ্রহ নেই। সংবিধানকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা রাজনৈতিক নিপীড়ন এবং প্রতিহিংসা। ধারাবাহিকতা না থাকলে শ্রেষ্ঠত্বের কোনও স্থান থাকে না।"