স্বার্থের সংঘাত ইস্যুতে ফের ডাক পেলেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার রাহুল দ্রাবিড়
স্বার্থের সংঘাত ইস্যুতে ফের ডেকে পাঠানো হল কিংবদন্তি রাহুল দ্রাবিড়কে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার স্বার্থের সংঘাতের কারণে বোর্ডের এথিক্স অফিসার ডিকে জৈনের সঙ্গে দেখা করতে হবে দ্রাবিড়কে
স্বার্থের সংঘাত ইস্যুতে ফের ডেকে পাঠানো হল কিংবদন্তি রাহুল দ্রাবিড়কে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার স্বার্থের সংঘাতের কারণে বোর্ডের এথিক্স অফিসার ডিকে জৈনের সঙ্গে দেখা করতে হবে দ্রাবিড়কে। ১২ নভেম্বর এই ইস্যুতে জৈনের সঙ্গে রাহুলের বৈঠক হবে।এর আগে ২৬ সেপ্টেম্বর বোর্ডের এথিক্স অফিসারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত চলতি বছরের জুলাইয়ে বোর্ডের ন্যাশানাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমি(এনসিএ-র) চিফের পদে দায়িত্ব নেন রাহুল দ্রাবিড়। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ ওঠে। বোর্ডের এই পদে থাকার পাশাপাশি চেন্নাই সুপার কিংসের মালিক গোষ্ঠী ইন্ডিয়া সিমেন্সের সাম্মানিক পদে রয়েছেন দ্রাবিড়। সেই নিয়েই মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সারাজীবনের সদস্য সঞ্জীব গুপ্তা তাঁর বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ আনেন।
যেকারণে স্বার্থের সংঘাত নিয়ে দ্রাবিড়কে চিঠি পাঠিয়ে শমন জানানো হয়। জবাবে ইতিমধ্যেই নিজের যুক্তি জানিয়েছেন দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক ও অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী সফল কোচ। সেখানে এথিক্স অফিসার ডিকে জৈনকে দ্রাবিড় সিএসকে'র সঙ্গে এই মুহূর্তে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই বলে জানিয়ে দেন।
পুরো বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই হতাশ দ্রাবিড়। হতাশ দেশের প্রাক্তন আরেক অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। বোর্ড প্রেসেডিন্ট হওয়ার পরও সৌরভ বলেছেন, 'ক্রিকেটাররা সিস্টেমের পার্ট। স্বার্থের সংঘাত ইস্যু এখন একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই কারণেই এই মুহূর্তে অনেক ক্রিকেটার ক্রিকেটসংক্রান্ত বড় দায়িত্বে আসতে পারছেন না।'
উল্লেখ্যে এনসিএ-র দায়িত্ব গ্রহণের আগে দেশের অনূর্ধ্ব-১৯ ও ইন্ডিয়া এ দলের কোচের ভূমিকায় ছিলেন দ্রাবিড়। তাঁর কোচিংয়ে ২০১৮ সালে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতে পৃথ্বী শ অ্যান্ড কোম্পানি।