পূজারা সেফ জোনে গেলেও চিন্তায় রাহানে! কেপ টাউন টেস্টে বিরাটের দিকেই বড় রানের জন্য তাকিয়ে ভারত
কেপ টাউন টেস্টে টস জিতে বিরাট কোহলি যখন ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তখন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। দ্বিতীয় সেশনে রোদ উঠলেও রান পেতে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের বিরুদ্ধে বেশ কঠিন লড়াই চালাতে হচ্ছে ভারতকে। প্রথম সেশনে ওপেনারদের উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় সেশনে ফিরেছেন চেতেশ্বর পূজারা ও অজিঙ্ক রাহানে। প্রথম ইনিংসের ব্যর্থতা ফের চিন্তায় রাখবে অজিঙ্ক রাহানেকে। চা বিরতিতে ভারতের স্কোর ৪ উইকেটে ১৪১। বিরাট কোহলি ১৩৯ বলে ৪০ ও ঋষভ পন্থ ৩০ বলে ১২ রানে অপরাজিত আছেন।
আজ ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খারাপ হয়নি ভারতের। কিন্তু মাত্র দুই রানের ব্যবধানেই ফিরে যান দুই ওপেনার। ১১.২ ওভারে লোকেশ রাহুল ডুয়ান অলিভিয়েরের বিরুদ্ধে কট বিহাইন্ড হন। ৩৫ বলে তিনি করেন ১২। শূন্য রানে জীবন পেলেও বড় রান এদিনও পেলেন না ময়াঙ্ক আগরওয়াল। রাহুল সাজঘরে ফেরার ঠিক ছয় বলের মাথায়, ১২.২ ওভারে ময়াঙ্ক কাগিসো রাবাডার শিকার হন। তিনটি চারের সাহায্যে ৩৫ বলে ১৫ রান করে তিনি এইডেন মার্করামের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে ভারতের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ৭৫। চেতেশ্বর পূজারা ২৬ ও বিরাট কোহলি ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। পূজারা যেমন প্রথম সেশনে অফ সাইডে একটিও রান নেননি, তেমনই কোহলিও ছিলেন সাবধানী। কভার ড্রাইভে দুটি দৃষ্টিনন্দন চার মারেন। তবে বেশিরভাগ বল তিনি ছেড়ে দেন তাড়া না করে। ফলে ১৫টি বল খেলে শূন্য রানে থাকার পর কোহলি খাতা খোলেন দৃষ্টিনন্দন বাউন্ডারি মেরে।
দ্বিতীয় সেশনে চেতেশ্বর পূজারার উইকেট প্রথম হারায় ভারত। তার আগে বিরাট ও পূজারা তৃতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৬২ রান। ৩৭.৩ ওভারে পূজারা আউট হন ৭৭ বলে ৪৩ রান করে। তাঁর ইনিংসে রয়েছে সাতটি চার। মার্কো জানসেনের বলে কট বিহাইন্ড হন পূজারা। ৯৫ রানের মাথায় ভারতের তৃতীয় উইকেট পড়ার পর চতুর্থ উইকেটটি পড়ে ৪২.১ ওভারে ১১৬ রানের মাথায়। অজিঙ্ক রাহানে কাগিসো রাবাডার বলে কট বিহাইন্ড হন ১২ বলে ৯ রান করে। বিরাট কোহলির সঙ্গে পরামর্শের পর রিভিউ নিলেও দেখা যায় বল রাহানের ব্যাটে লেগেছে। জোহানেসবার্গ টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি পেলেও এদিনের ব্যর্থতা ফের চাপে রাখল রাহানেকে।
তবে বিরাট কোহলির ধৈর্যচ্যুতি ঘটাতে পারেননি প্রোটিয়া পেসাররা। প্রত্যয়ের সঙ্গেই খেলছেন বিরাট। চেনা ছন্দেই পাওয়া যাচ্ছে তাঁকে। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে কট বিহাইন্ডের আবেদন করে আম্পায়ার আউট না দেওয়ায় রিভিউ নেন ডিন এলগার। যদিও তা নষ্ট হয়েছে। ৫০তম টেস্ট খেলতে নামা রাবাডার সঙ্গে বিরাটের দ্বৈরথও ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে বেশ উপভোগ্য জায়গায় পৌঁছেছে। অফ স্টাম্পের বল অকারণে তাড়া না করা, পায়ের পজিশন ঠিক রেখে কভার ড্রাইভ যেভাবে বিরাট মারছেন, এমনকী বল খেলতে বিরাট যে কৌশলে ব্যাট ধরছেন তাতে খোঁচা লাগলেও তা স্লিপের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। বিরাটের প্রত্যয়ী ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করেছেন সুনীল গাভাসকরও।