Wimbledon: রাশিয়া এবং বেলারুশের প্রতিযোগীদের উইম্বলডনে অংশ নিতে না দেওয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনায় নাদাল-জকোভিচ
ইউক্রেনের উপর বিনা প্ররোচনায় আক্রমণ এবং নৃশংস হত্যালীলা চালানো রাশিয়াকে এক ঘরে করে দিয়েছে গোটা বিশ্ব। অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক ভাবে রাশিয়ার উপর চাপ বাড়ানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্রীড়াক্ষেত্রেও রাশিয়া এবং সেই দেশের ক্রীড়াবীদদের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত অন্ধকার আচ্ছন্ন।

উইম্বলডনে রাশিয়া এবং বেলিরুশের প্রতিযোগীদের উপর নিষেধাজ্ঞা:
ইউক্রেনের উপর অকারণে রুশ আগ্রসনের প্রতিবাদে রাশিয়ার টেনিস খেলোয়াড়দের এ বারের উইম্বলডনে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল ঐতিহ্যশালী এই প্রতিযোগীতার আয়োজক অল ইংল্যান্ড লন টেনিস ক্লাব । রাশিয়ার পাশাপাশি এই প্রতিযোগীতায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে বেলারুশের প্রতিযোগীদেরও। ইউক্রেনের উপর অতর্কিত আক্রমণকে সমর্থন করে ভ্লাদিমির পুতিনের পাশি দাঁড়িয়েছিল বেলারুশ।

উইম্বলডনের সিদ্ধান্তের বিরোধীতানাদালের:
রাফায়েল নাদাল বলেছেন, "রাশিয়ার সহ খেলোয়াড়দের প্রতি এটা অবিচার। যুদ্ধের কারণে এই মুহূর্তে যেটা হচ্ছে তাতে ওদের কোনও দোষ নেই। ওদের জন্য খারাপ লাগছে।" মাদ্রিদে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই কথা বলেছেন নাদাল। তিনি আরও বলেছেন, "এক জন সহ খেলোয়াড় হিসেবে আমি কী করতে পারি? ওদের জন্য আমার খারাপ লাগছে। এই রমকটা না হওয়াই উচিৎ ছিল। দেখা যাক আগামী সপ্তাহগুলিতে কী হয়।"

উইম্বলডনের সিদ্ধান্তের বিরোধীতাজকোভিচের:
অল ইংল্যান্ড লন টেনিস ক্লাবের নেওয়া এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতায় মুখ খুলেছেন বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা নোভাক জকোভিচও। তিনি জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্তকে কোনও ভাবেই তিনি সাপোর্ট করেন না। তাঁর কথায়, "পুরো বিষয়টা একই রকম না হলেও বছরের প্রথমে এই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে আমায় যেতে হয়েছিল। খেলতে না পারাটা কতটা হতাশাজনক তা আমি জানি। আমি এই সিদ্ধান্তকে কখনওই সমর্থন করি না এবং নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থাকব। আমি মনে করি এই সিদ্ধান্ত ঠিক নয়"

উইম্বলডনের সূচি:
বিশ্ব টেনিসের সব থেকে বড় টুর্নামেন্ট উইম্বলডন। ঐতিহ্য, পরম্পরার এবং গরিমায় সমৃদ্ধ এই টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার স্বপ্ন দেখেন প্রত্যেক টেনিস খেলোয়াড়। ঘাসের কোর্টে এই প্রতিযোগীতায় নামা নিজের মধ্যেই এক বিরাট প্রাপ্তি। ২৭ জুন থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত চলবে এই বছরের উইম্বলডন। ১৮৭৭ সালে প্রথম বার উইম্বলডন পথ চলা শুরু করে।