
ধাওয়ান-আগরওয়াল জুটিতে মুম্বইয়ের সামনে বিশাল রানের টার্গেট রাখল পাঞ্জাব কিংস
মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের মাঠে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বোলারদের তুলোধোনা করল পাঞ্জাব কিংস। নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র পাঁচ উইকেট হারিয়ে পাঞ্জাবের স্কোর ১৯৮/৫।

পাঞ্জাবের দুই ওপেনার দলের অধিনায়ক ময়ঙ্ক আগরওয়াল এবং শিখর ধাওয়ানকে ম্যাচের শুরু থেকে পাওয়া যায় বিধ্বংসী মেজাজে। এই দুই ব্যাটসম্যানই এ দিন পাঞ্জাবের পাহাড়প্রমাণ রানের ভিতটা গড়ে দেন। প্রথম ছয় ওভারে দশের বেশি রান রেটে ৬৫ রান করে পাঞ্জাব। এ দিন অধিনায়োকচিত অর্ধ শতরান করেন ময়ঙ্ক। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ৩২ বলে ৫২ রানের ইনিংস। ছয়টি চার এবং দু'টি ছয় দিয়ে তাঁর এই ইনিংস সাজানো ছিল।
শিখর ধাওয়ানের ব্যাট থেকে আসে দুর্দান্ত ৫০ বলে ৭০ রানের ইনিংস। ৫টি চার এবং ৩টি ছয় দিয়ে নিজের ইনিংস গড়েছিলেন এই বাম হাতি ব্যাটসম্যান। জনি বেয়ারস্ট্রো এই ম্যাচেও রান পাননি। ১২ রানে ইংল্যান্ডের তারকা ব্যাটসম্যান আউট হন। পাঞ্জাব কিংসের জার্সিতে ফর্মে থাকা লিয়াম লিভিংস্টোন এই ম্যাচে প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন ব্যাট হাতে। মাত্র ৩ বলে ২ রান করে জসপ্রীত বুমরাহের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন প্যাভলিয়নে।

মিডল অর্ডারে ইংল্যান্ডের দুই তারকা জনি বেয়ারস্ট্রো এবং লিয়াম লিভিংস্টোন ব্য়র্থ হলেও তার প্রভাব দলের রান রেটে পড়়তে দেননি দুই তরুণ ভারতীয় জীতেশ শর্মা এবং শাহরুখ খান। দু'টি চার এবং দু'টি ছয়ের সৌজন্যে ১৫ রানে বলে ৩০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে জীতেশ। ৬ বলে ১৫ রানের ক্যামিও খেলেন শাহরুখ খান।
একমাত্র জসপ্রীত বুমরাহ ছাড়া মুম্বইয়ের কোনও বোলারই এই ম্যাচে পাঞ্জাব ব্যাটসম্যানদের বিধ্বংসী মেজাজের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারেননি। বুমরাহ এই ম্যাচে চার ওভারে ২৮ রান খরচ করে একটি উইকেট পেয়েছেন। বাসিল থাম্পি দু'টি উইকেট পেলেও ৪ ওভারে তিনি খরচ করেন ৪৭ রান। এক উইকেটের বিনিময়ে চার ওভারে ৪৪ রান খরচ করেন জয়দেব উনাদকট। তুলনামূলক কম রান খরচ করে এক উইকেট পেয়েছেন মুগুগান অশ্বিন। ৩৪ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পেয়েছেন অশ্বিন। টাইমাল মিলস ৪ ওভারে ৩৭ রান খরচ করলেও উইকেটের দেখা পাননি।