IND vs SA:বোল্যান্ড পার্কে অশ্বিন-চাহালের ফর্মে ফেরা আবশ্যক, ভারতের ভাগ্য নির্ভর করবে রাহুলের মগজাস্ত্রের উপরও
IND vs SA:বোল্যান্ড পার্কে অশ্বিন-চাহালের ফর্মে ফেরা আবশ্যক, ভারতের ভাগ্য নির্ভর করবে রাহুলের মগজাস্ত্রের উপরও
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়েও হাতছাড়া হয়েছে টেস্ট সিরিজ। ওডিআই সিরিজেও এখন হারের ভ্রুকুটির সামনে দাঁড়িয়ে ভারত। প্রথম ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় পরাজিত হয়েছে টিম ইন্ডিয়া, একই সঙ্গে অধিনায়কত্বেও ত্রুটি ছিল লোকেশ রাহুলের। রাহুলের অনভিজ্ঞতা একাধিকবার প্রকট হয়েছে ম্যাচের মধ্যে। বিশেষ করে ফিল্ডিং প্লেসিং এবং বোলিং চেঞ্জের সময়ে তা সামনে এসেছে বহুবার। তার উপর তিন ম্যাচের সিরিজে প্রথম ম্যাচে হেরে চাপে তরুণ অধিনায়ক। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সিরিজ বাঁচানোর লক্ষ্যে বোল্যান্ড পার্কে নামবে টিম ইন্ডিয়া।
প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচটিও আয়োজিত হবে বোল্যান্ড পার্কে। যে উইকেটে প্রথম একদিনের ম্যাচটি খেলা হয়েছিল সেই উইকেটেই দ্বিতীয় ম্যাচ আয়োজন হওয়ার সম্ভবনা বেশি। যদি তেমনটা হয় তা হলে ফ্ল্যাট এবং স্লো উইকেটেই ফের মুখোমুখি হতে হবে দুই দলকে, পাশাপাশি উইকেট শুস্ক থাকার সম্ভবনাই বেশি।
এই উইকেটে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করতে খুব বেশি অসুবিধা না হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেট আরও ড্রাই এবং স্লো হবে, যার ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে স্পিনারদের গুরুত্বপূর্ণ বাড়বে ম্যাচে। দুই দলেরই যোগ্যতা সমপন্ন স্পিনার রয়েছে। তবে, প্রথম ম্যাচে অনেকটাই অপরিচিত লেগেছে ভারতের দুই স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং যুজুবেন্দ্র চাহালকে। স্পিন সহায়ক উইকেটে দু'জনে কুড়ি ওভারে ১০৬ রান খরচ করে মাত্র এক উইকেট তুলেছেন। বরং অনেক বেশি নিয়ন্ত্রণে লেগে দক্ষিণ আফ্রিকার দুই স্পিনার তাব্রেজ শামসি এবং কেশব মহারাজকে।
সিরিজে সমতা ফিরিয়ে আনতে হলে অনেক বেশি কার্যকরী ভূমিকা নিতে হবে দুই স্পিনারকে। শুধু বোলিং ইউনিটই নয়, সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতের হারের আরও একটি বড় কারণ ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা। শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি এবং টেলএন্ডে শার্দূল ঠাকুর ছাড়া কোনও ভারতীয় ব্যাটসম্যান বড় রান করতে পারেননি। তরুণ্যনির্ভর মিডল অর্ডারের ব্যর্থতা ভারতের পরাজয়ের আরও একটি কারণ।
ভারতকে দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ে ফিরতে হলে মিডল অর্ডারকে যেমন নির্ভরতা দিতে হবে তেমনই দলেও কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন। ভেঙ্কটেশ আইয়ারের পরিবর্তে দ্বিতীয় ম্যাচে বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলানো যেতে সূর্যকুমার যাদবকে। সূর্যকুমারের খেলার ধরণ স্লো উইকেটে অনেক বেশি কার্যকরী হয়ে উঠতে পারে।
শট বলে শ্রেয়াস আইয়ারের ব্যার্থতা ফের একবার প্রকোট হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে, তবে দ্বিতীয় ম্যাচে তাঁর পরিবর্তন হওয়ার সম্ভবনা নেই। তরুণ মুম্বইকরকে আরও একটি সুযোগ দিতে পারেন দ্রাবিড়।
তবে, শুধু প্রথম একাদশের ক্রিকেটারদের সেরাটা দিলেই ম্যাচ জেতা যাবে না, ম্যাচ জেতার ক্ষেত্রে অনেক অংশে কৃতিত্ব থাকে অধিনায়কের। ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী স্ট্র্যাটেজি তৈরি করা যে কোনও ম্যাচে জয়ের জন্য আবশ্যক। প্রথম ম্যাচে তেমন কোনও পরিকল্পনা লক্ষ্য করা যানি কেএল রাহুলের থেকে। বাভুমা যখন যেমন বোলারদের নিয়ে পরীক্ষানীরিক্ষা করেছেন মার্করামকে ষষ্ঠ বোলার হিসেবে কাজে লাগিয়ে সাফল্য পেয়েছেন তেমন কোনও আউট অব দ্য বক্স প্ল্যানিং লক্ষ্য করা যায়নি রাহুলের অধিনায়কত্বে। বিশেষ করে যখন বাভুমা এবং ভান ডার ডুসেন ক্রিজে সেট হয়ে গিয়েছিলেন তখন নতুন কোনও মগজাস্ত্রের সন্ধান দিতে পারেননি তরুণ রাহুল।
ভারতের সম্ভাব্য একাদশ:
লোকেশ রাহুল (অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি, ঋষভ পন্থ, শ্রেয়াস আইয়ার, ভেঙ্কটেশ আইয়ার/সূর্যকুমার যাদব, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, শার্দূল ঠাকুর, ভুবনেশ্বর কুমার, জসপ্রীত বুমরাহ, যুজবেন্দ্র চহাল
দক্ষিণ আফ্রিকার সম্ভাব্য একাদশ:
কুইন্টন ডি কক, জানেমান মালান, তেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), এইডেন মার্করাম, রসি ভান ডার ডুসেন, ডেভিড মিলার, আন্দিলে ফেলুকায়ো, মার্কো জেনসন, কেশব মহারাজ, লুঙ্গি এনগিডি, তাব্রেজ শামসি