
জয় শাহের মন্তব্য 'অবাক করার মতো এবং দুঃখজনক', কড়া প্রতিক্রিয়া দিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড
বিসিসিআই-এর ৯১তম বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে সংস্থার সচিব জয় শাহ জানিয়েছিলেন এশিয়া কাপ ২০২৩ আয়োজিত হবে নিরপেক্ষ স্থানে। বিসিসিআই-এর সচিব জয় শাহ আবারও এশিয়া ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)-র সভাপতি।

কী বলেছিলেন জয় শাহ:
বিসিসিআই-এর বার্ষিক সাধারণ সভার পর জয় শাহ সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেন, "নিরপেক্ষ জায়গার আয়োজিত করা হবে এশিয়া কাপ ২০২৩। আমাদের দল পাকিস্তানে সফর করবে কি না, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার, ফলে এই বিষয়ে আমরা কিছু বলব না। কিন্তু ২০২৩ এশিয়া কাপ নিরপেক্ষ স্থানে আয়োজন করা হবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।" উল্লেখ্য, এশিয়া কাপ ২০২৩-এর আয়োজক দেশ ছিল পাকিস্তান।

শাহের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে নিজেদের অবস্থান জানাল পিসিবি:
শাহের এই মন্তব্যের পর একটি প্রেস রিলিজ জারি করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। সেই রিলিজে বলা হয়েছে এসিসি-র বোর্ড বা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই শাহ এমন মন্তব্য করেছেন। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, এই রকম কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩ থেকে নিজেদের সরিয়ে নিতে পারে পাকিস্তান এবং ২০২৪-৩১ সাইকেলের মধ্যে ভারতের মধ্যে হওয়া অন্য কোনও আইসিসি ইভেন্ট থেকেও নিজেদের সরিয়ে নিতে পারে তারা।

কী লেখা রয়েছে পিসিবি-র প্রেস রিলিজে:
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) যে প্রেস রিলিজ প্রকাশ করেছে তাতে লেখা রয়েছে, "এসিসি সভাপতি জয় শাহ এশিয়া কাপ ২০২৩-কে অন্য কোনও নিরপেক্ষ ভেন্যুতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার যে কথা জানিয়েছেন তাতে পিসিবি অবাক এবং হতাশ। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল বা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করেই তিনি এ কথা বলেছেন। তিনি এ ক্ষেত্রে ভাবেনওনি এর দীর্ঘ মেয়াদি ফলাফল বা প্রভাব কী হতে পারে। এসিসি'র বোর্ডের সদস্যদের সমর্থন নিয়ে পাকিস্তানকে এশিয়া কাপের আয়োজক দেশ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল। শাহের এই মন্তব্য স্পষ্ট ভাবেই এক তরফা সিদ্ধান্তকে নির্দেশ করে। ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বরে যে আদর্শ এবং দর্শনকে সামনে রেখে এশিয়া ক্রিকেট কাউন্সিল তৈরি হয়েছিল এই সিদ্ধান্ত তার পরিপন্থী। এশিয়ায় ক্রিকেটের উন্নতি. প্রসার, ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন এবং সদস্যদের স্বার্থ রক্ষার্থে এসিসি তৈরি হয়েছিল।"

বিশ্বকাপ সহ আগামী আইসিসি ইভেন্টে ভারতে অংশ নাও নিতে পারে পাকিস্তান:
পিসিবি'র প্রেস রিলিজে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, "এই ধরণের মন্তব্যে এশিয়া এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কমিউনিটির মধ্যে বিভেদ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে, এর প্রভাব পড়তে পারে আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩-এ পাকিস্তানের ভারতে ভ্রমণের ক্ষেত্রেও এবং ২০২৪-৩১-এর মধ্যে ভারতে হওয়া আইসিসি'র কোনও ইভেন্টেও। এখনও পর্যন্ত পিসিবি সরকারী ভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া পায়নি এসিসি'র তরফ থেকে সংস্থার সভাপতির এই ধরনের মন্তব্যের জন্য। এসিসি-কে পিসিবি অনুরোধ করছে এই গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল বিষয়ে আলোচনার জন্য জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক ডাকার জন্য।"