বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় তুলে টি ২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল পাকিস্তান
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় তুলে টি ২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল পাকিস্তান
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মাস্ট উইন ম্যাচে দুরন্ত জয় তুলে নেন পাকিস্তান। পাঁচ উইকেটে বাংলাদেশকে সুপার ১২-এর শেষ ম্যাচে হারিয়ে পাকিস্তান জায়গা করে নিল চলতি টি ২০ বিশ্বকাপের সেমইফাইনালে। এই নিয়ে ব্যক টু ব্যাক দু'টি বিশ্বকাপের শেষ চারে স্থান করে নিল সবুজ জার্সিধারী দল। দক্ষিণ আফ্রিকার হারে হঠাৎ করে চলে আসা সুযোগ কাজে লাগাল বাবরের দল।
রবিবার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিং-এর সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শাকিব আল হাসান। কিন্তু তিন জন ব্যাটসম্যান ছাড়া বাংলাদেশের কোনও ব্যাটার মাস্ট উইন ম্যাচে রান পাননি। এই ম্যাচটা পাকিস্তানের জন্য যতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, ততটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল বাংলাদেশের কাছেও। বাংলাদেশ যদি পারত পাকিস্তানকে হারিয়ে দিতে তা হলে শাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে টি ২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে প্রথম বার পৌঁছে ইতিহাস তৈরি করত টাইগার বাহিনী। যেমন ইতিহাস ২০০৩ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে তৈরি করেছিল কেনিয়া।
বাংলাদেশের হয়ে অর্ধশতরান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৪৮ বলে ৫৪ রানের ইনিংস তিনি খেলেন। ৭টি চার দিয়ে তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল। ভারতের ম্যাচে ব্যাট হাতে ঝড় তোলা অপর ওপেনার লিটন দাস আউট হন ১০ রানে। সৌম্য সরকার করেন ২০ রান এবং শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকা আফিফ হোসেন করেন ২৪ রান। আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হয়ে প্রথম বলেই আউট হন শাকিব আল হাসান। শাকিবের ব্যাটে বলে সংস্পর্শ হলেও তাঁকে এলবিডাব্লিউ ঘোষণা করেন আম্পায়ার। বাংলাদেশ অধিনায়ক সময় নষ্ট না করে ডিআরএস নেন। ডিআরএস-এ স্নিকোমিটারে ব্যাটের সঙ্গে বলের স্পর্শ স্পষ্ট ভাবে বোঝা গেলেও তাঁকে আউট করে দেওয়া হয়। মোসাদ্দেক হোসেন, নজরুল হাসানরা রান পাননি এই ম্যাচে। শাহিন শাহ আফ্রিদি ৪ উইকেট পান, ২ উইকেট পান শাদাব খান। একটি করে উইকেট পান হ্যারিস রউফ এবং ইফতিখার আহমেদ।
মাত্র ১২৮ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৮.১ ওভারে ১২৮/৫ রান তুলে নেয় পাকিস্তান। ইমরান খানের দেশের দুই ওপেনার মহম্মদ রিজওয়ান (৩৫) এবং বাবর আজম (২৫) ভাল শুরু দেয়। এর পর পাকিস্তানের ইনিংসকে জয়ের দিকে এগিয়ে দেন মহম্মদ হ্যারিস (৩১) এবং শান মাসুদ (২৪)। যদিও সহজ জয়ের ম্যাচেও রানের দেখা পাননি মহম্মদ নাওয়াজ (৪) এবং ইফতিখার আহমেদ (১)। বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট পেয়েছেন নাসুম আহমেদ, শাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান এবং এবাডট হোসেন।