কনওয়ে-ফিলিপসের জোড়া অর্ধ-শতরানে ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর রান তুলল নিউজিল্যান্ড
কনওয়ে-ফিলিপসের জোড়া অর্ধ-শতরানে ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর রান তুলল নিউজিল্যান্ড
সিরিজের শেষ টি-২০ ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাটিং করে ১৬০/১০ রান তুলল নিউজিল্যান্ড। আকস্মিক তাসের ঘরের মতো নিউজিল্যান্ডের মিডিল অর্ডার থেকে ব্যাটিং লাইন হুড়মুড় করে ভেঙে না পরলে এর থেকে অনেক বেশি রান তুলে পারত কিউয়িরা। নিউজিল্যান্ডের হয়ে এই ম্যাচে জোড়া অর্ধ-শতরানই নিউজিল্যান্ডকে লড়াই চালানোর মতো রান তুলতে সাহায্য করেছে।
এ দিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং-এর সিদ্ধান্ত নেন কেন উইলিয়ামসনের অনুপস্থিতিতে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব সামলানো টিম সাউদি। ফিন অ্যালান ৩ রানে আউট হলেও অপর ওপেনার ডেভন কনওয়ে এবং মিডল অর্ডারে গ্লেন ফিলিপস নিউজিল্যান্ডরে ভিত গড়ে দেন। ৫টি চার এবং ২টি ছয়ের সৌজন্যে ডেভন কনওয়ে করেন ৫৯ রান। গ্লেন ফিলিপসের ব্যাট থেকে আসে ৩৩ বলে ৫৪ রান। ৫টি চার এবং ৩টি ছয় দিয়ে তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল। কিন্তু এই দুই ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পরই হঠাৎ করে ধস নামে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংয়ে। পাহাড়ে যেমন ঝুপ করে সন্ধ্যা নামে তেমনই নিউজিল্যান্ডের রান ১৩০/৩ থেকে ঝুপ করে ১৬০/১০ হয়ে যায়। লোয়ার মিডল অর্ডারে তিন জন ব্যাটসম্যান ০ রানে আউট হয়েছেন। এঁরা হলেন জিমি নিসম, অ্যাডাম মিলনে এবং ইশ সোধি। মিচেল স্য়ান্টনার করেছেন ১ রান। শেষ দুই ব্যাটার টিম সাউদি করেন ৬ রান এবং ৫ রান করেন লকি ফার্গুসন। এ দিন অবাক করার পারফরম্যানস করেছেন ড্যারেল মিচেল। নিউজিল্যান্ডের অন্যতম অলরাউন্ডার ১০ রানে আউট হন। কেন উইলিয়ামসের পরিবর্তে খেলা মার্ক চাপম্যান ১২ রান করেন।
ভারতের হয়ে দুর্ধর্ষ বোলিং করেছেন মহম্মদ সিরাজ। সিরাজ এবং অর্শদীপ সিং উভয় ৪টি করে উইকেট পেয়েছেন। সিরাজ ৪ উইকেট পেতে ৪ ওভারে খরচ করেন মাত্র ১৭ রান, সেখানে সমসংখ্যক ওভারে সিং খরচ করেন ৩৭ রান। ওয়াশিংটন সুন্দরের পরিবর্তে এই ম্যাচে খেলা হর্ষল প্যাটেল ৩.৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ১ উইকেট পান। মহম্মদ সিরাজ একটি রান আউটও করেছেন। যুজবেন্দ্র চাহাল, ভুবনেশ্বর কুমার একটিও উইকেট পাননি বরং অনেক বেশি রান খরচ করেন। চাহাল ৩ ওভারে দেন ৩৫ এবং ভুবি ৫ ওভারে দেন ৩৫। দ্বিতীয় টি ২০ ম্যাচে ১০ রান দিয়ে ৪ উইকেট পাওয়া দীপক হুডাকে এই ম্যাচে ১ ওভার কারনো হয়।