মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ঘোষণা করল নতুন হেড কোচের নাম, জয়বর্ধনের স্থলাভিষিক্ত কেকেআরের প্রাক্তনী প্রোটিয়া
জল্পনার অবসান। মার্ক বাউচারকেই হেড কোচ করার সিদ্ধান্ত নিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। টি ২০ বিশ্বকাপের পরেই দক্ষিণ আফ্রিকার হেড কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রাক্তন উইকেটকিপার-ব্যাটার। আগামী আইপিএলে তাঁর কোচিংয়েই মাঠে নামবেন রোহিত শর্মারা। আইপিএলে এই প্রথম হেড কোচের দায়িত্ব সামলাবেন বাউচার।
মার্ক বাউচার যে দক্ষিণ আফ্রিকার হেড কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন তা জানা গিয়েছিল সোমবারই। আইপিএলের পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকা ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর টি ২০ লিগে দল কিনেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কর্ণধার রিলায়েন্স জিও ইনফোকম। এই তিনটি দলের পুরো কোচিং স্টাফ থাকবে মাহেলা জয়বর্ধনের তত্ত্বাবধানে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হেড কোচের দায়িত্ব সামলানো শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তির পদোন্নতির ফলে এখন গ্লোবাল হেড অব পারফরম্যান্স হয়েছেন। জাহির খান হয়েছেন গ্লোবাল হেড অব ক্রিকেট ডেভেলপমেন্ট। টেস্টে উইকেটকিপার হিসেবে সবচেয়ে বেশি শিকারের মালিক বাউচারকে দক্ষিণ আফ্রিকার টি ২০ লিগে কেপ টাউনের কোচ করা নিয়ে জল্পনা চলছিল। এই দলটিই কিনেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ফ্র্যাঞ্চাইজি। যদিও সেই দলের দায়িত্ব সাইমন ক্যাটিচকে দিয়ে বাউচারকে আইপিএলের হেড কোচ করা হলো। তবে এমআই এমিরেটসের কোচ হিসেবে এখনও কারও নাম ঘোষণা করা হয়নি।
Presenting आपले नवीन Head Coach - 𝐌𝐀𝐑𝐊 𝐁𝐎𝐔𝐂𝐇𝐄𝐑 💙
— Mumbai Indians (@mipaltan) September 16, 2022
Paltan, drop a 🙌 to welcome the 🇿🇦 legend to our #OneFamily 👏#DilKholKe #MumbaiIndians @markb46 @OfficialCSA pic.twitter.com/S6zarGJmNM
বাউচার দক্ষিণ আফ্রিকার টাইটান্স দলের কোচ হিসেবে তাদের পাঁচটি ঘরোয়া খেতাব এনে দিয়েছেন। ২০১৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের হেড কোচ হন। তাঁর সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকা ১১টি টেস্ট জিতেছে, ১২টি একদিনের আন্তর্জাতিক ও ২৩টি টি ২০ আন্তর্জাতিকেও জয়লাভ করেছে। শেষ টুর্নামেন্টে বাউচার চাইবেন একদা চোকার্স নামে পরিচিত দক্ষিণ আফ্রিকাকে টি ২০ বিশ্বকাপ জেতাতে। বাউচার আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে খেলেছেন। ২০১৬ সালের আইপিএলে নাইটদের উইকেটকিপিং কোচের ভূমিকাও পালন করেছেন।
আইপিএলের সফলতম দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। কোচ হিসেবে সাফল্যের নিরিখে মাহেলা জয়বর্ধনে রইলেন স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের পরেই। ফ্লেমিংয়ের প্রশিক্ষণাধীন চেন্নাই সুপার কিংস ২০০৯ থেকে চারবার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স পাঁচবার আইপিএল খেতাব জিতেছে, তার মধ্যে জয়বর্ধনের প্রশিক্ষণাধীন রোহিত শর্মার দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তিনবার। জয়বর্ধনের কোচিং স্টাফে জাহির যুক্ত হওয়ার পর ৯১টি ম্যাচে জয়-পরাজয়ের অনুপাত ১.২৮৯, যা আইপিএলের পুরানো ৮টি দলের মধ্যে সেরা। তবে বিগত দুটি মরশুম ধরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স প্রত্যাশিত সাফল্যের মুখ দেখতে পারেনি। এ বছরের আইপিএলে ১৪টির মধ্যে মাত্র চারটিতে জেতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। বাউচারের আগমনে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ফের সাফল্যের ট্র্যাকে ফিরবে বলে আশাবাদী আকাশ আম্বানি। নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আইপিএলের সফলতম দলকে সাফল্য এনে দিতে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করতে মুখিয়ে বাউচার নিজেও।