ইউরোপের একাধিক তাবড় লিগে খেলা বিধ্বংসী স্ট্রাইকারের সই মহমেডানে
ইউরোপের একাধিক তাবড় লিগে খেলা বিধ্বংসী স্ট্রাইকারের সই মহমেডানে
নাইজেরিয় ফরওয়ার্ড আবিওলা দাউদাকে সই কারল মহমেডান। কলকাতা লিগ এবং ডুরান্ড কাপের আগে ইউরোপীয় ফুটবলে দাপিয়ে বেড়ানো এই ফুটবলারকে সই করানোর ফলে অনেকটাই শক্তি বাড়িয়ে নিল সাদা-কালো ব্রিগেড। আক্রমণভাগে গোল মেশিন মার্কাস জোসেফের সঙ্গে জুটি বাঁধতে চলেছেন দাউদা।
গ্রাসরুট হাইল্যান্ডারসের যুব অ্যাকাডেমি থেকে উঠে আসা এই ফুটবলারটি ইউরোপের টপ ডিভিশন ক্লাবগুলিতে ৪০০টির বেশি ম্যাচ খেলেছেন এবং ১৪০-এর বেশি গোল করেছেন। গ্রীসের শীর্ষ লিগ গ্রীস সুপার লিগ, সুইডেনের শীর্ষ লিগ আলসভেন্সকান, সার্বিয়ার এক নম্বর লিগ সার্বিয়ান সুপার লিগ, নেদারল্যান্ডসের শীর্ষ লিগ এরিডিভাইসি, স্কটিশ প্রিমিয়ারশিপের মতো প্রতিযোগীতায় নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন।
একাধিক হাইপ্রোফাইল ক্লাব এবং লিগে খেললেও নাইজেরিয়ার জাতীয় দলের জার্সিতে কখনও খেলা হয়নি ৩৪ বছর বয়সী ফুটবলারটির। মহমেডানের সঙ্গে কত বছরের চুক্তি সমপন্ন হয়েছে তা ক্লাবের তরফ থেকে সরকারী ভাবে না জানানো হলেও সূত্রের খবর ২০২৩-২৪ মরসুমের শেষ পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে চুক্তি করেছে লাল সরণির ক্লাবটি।
মার্কাস জোসেফের সঙ্গী হিসেবে মহমেডান স্পোর্টিং-এর টার্গেট ছিল দেশহর্ন ব্রাউন। আইএসএল-এ বেঙ্গালুরু এফসি এবং নর্থইস্ট ইউনাইটেডের হয়ে দাপিয়ে খেলা এই ফুটবলারকে দারুণ প্রস্তাব দিয়েছিল মহমেডান। আইএসএল-এর অন্য কোনও ক্লাবের অফার না থাকা ব্রাউনের বেশ পছন্দ হয়েছিল মহমেডানের প্রস্তাব। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ইস্টবেঙ্গল মোটা অঙ্কের প্রস্তাব দেয় জামাইকার ফুটবলারকে। সূত্রের খবর, দুই কোটি টাকার প্রস্তাব ব্রাউনকে দিয়েছে লাল-হলুদ। ভারতীয় ফুটবলের শীর্ষ লিগে মোটা অঙ্কে খেলার প্রস্তাবে তিনি রাজি হয়ে যান। এর পরই দনতুন করে স্ট্রাইকারের খোঁজ শুরু করে মহমেডান এবং শেষ পর্যন্ত তারা সই করায় আবিওলা দাউদাকে।
সামনে কলকাতা লিগ, ১৬ অগস্ট থেকে শুরু হতে চলেছে ডুরান্ড কাপ। এই দুই ঐতিহ্যশালী প্রতিযোগীতায় ভাল ফল করার বিষয়ে আশাবাদী সাদা-কালো দল গঠনে কোনও রকম খামতি রাখেনি। তাই একের পর এক হাইপ্রোফাইল তারকার আগমন ভারতীয় ফুটবলের তৃতীয় প্রধানে। এ বার আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরেরবছর আইএসএল খেলাই লক্ষ্য মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের। এএফসি'র বেঁধে দেওয় গাইডলাইন অনুযায়ী ২০২২-২৩ আই লিগের চ্যাম্পিয়ন দল সরাসরি কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি ছাড়াই সরাসরি খেলবে ভারতীয় ফুটবলের শীর্ষ লিগে। ফলে কোনও দিক থেকেই কোনও রকম খামতি রাখতে নারাজ শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব।