ভারতীয় দলের অনুশীলনে সিরাজ, বুমরাহ-র টি ২০ বিশ্বকাপে খেলার আশা জাগাচ্ছে স্ক্যানের রিপোর্ট
রোহিত শর্মার ভারত ত্রিবান্দ্রমে দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথম টি ২০ আন্তর্জাতিকে হারিয়ে পা রেখেছে গুয়াহাটিতে। আজ অনুশীলনেও নেমে পড়ল বিশ্বের ১ নম্বর টি ২০ দল। জসপ্রীত বুমরাহ ইতিমধ্যেই একটিও ম্যাচ না খেলে ছিটকে গিয়েছেন চলতি সিরিজ থেকে। যদিও বিসিসিআই সূত্রে খবর, টি ২০ বিশ্বকাপে বুমরাহর খেলার সম্ভাবনা এখনও শেষ হয়ে যায়নি।
সিরাজ অনুশীলনে
মহম্মদ সিরাজ আজ ভারতীয় দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছেন। বুমরাহ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ থেকে পিঠের চোটের কারণে ছিটকে যাওয়ায় সিরাজকে তাঁর পরিবর্ত হিসেবে ডেকে নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে বুমরাহকে নিয়ে স্বস্তির খবরও পাওয়া যাচ্ছে। মঙ্গলবার তিনি যখন ত্রিবান্দ্রমে অনুশীলনে চোটের কথা জানান তারপরই তাঁকে পাঠানো হয় বেঙ্গালুরুতে। আশঙ্কা করা হচ্ছিল, তিনি টি ২০ বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন না। যদিও স্ক্যানে রিপোর্ট স্বস্তি দিচ্ছে। এক বিসিসিআই কর্তাকে উদ্ধৃত করে একটি সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, বুমরাহর স্ট্রেস ফ্র্যাকচারের সমস্যা নেই। ৪ থেকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে তিনি সেরে যাবেন। সেটা হলে, টি ২০ বিশ্বকাপের প্রথম দিকের কয়েকটি ম্যাচেই তিনি খেলতে পারবেন না।
স্বস্তি মিলবে?
বিসিসিআইয়ের ওই কর্তার দাবি, বুমরাহর পিঠে চোট রয়েছে। তা সারানোর মূল ওষুধ হলো বিশ্রাম। আপাতত বুমরাহ ন্যাশনাল ক্রিকেট আকাদেমির মেডিক্যাল স্টাফদের তত্ত্বাবধানে থাকবেন। ফিজিও নীতিন প্যাটেল তাঁর চোটের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন। বুমরাহ টি ২০ বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছেন তা বলার সময় এখনও আসেনি। বুমরাহ বিশ্বকাপের দলের সঙ্গেই অস্ট্রেলিয়া যাবেন। সেখানে তাঁর সেরে ওঠার প্রক্রিয়া চলবে। এখনও সময় রয়েছে। কত দ্রুত বুমরাহ সেরে উঠছেন সেদিকে নজর রাখা হবে। তাছাড়া ভারতীয় দলে পরিবর্তনের জন্য ১৫ অক্টোবর অবধি সময় রয়েছে।
চোটের কবলে জসপ্রীত
ভারতীয় দলে বুমরাহ বেশ কয়েকবার চোট সমস্যায় ভুগেছেন। ২০১৮ সালে আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছিল ভারত। তিন মাসের সফরের প্রথম দিনেই আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি ২০ আন্তর্জাতিকে ফিরতি ক্যাচ নিতে দিয়ে বাঁ হাতের আঙুল ভেঙেছিল বুমরাহর। তিন সপ্তাহ মাঠের বাইরে চলে যেতে হয়। ইংল্যান্ডে গিয়ে প্রথম দুটি টেস্টেও খেলতে পারেননি। শেষ তিনটি টেস্টে তিনি অবশ্য ১৪ উইকেট পান। ট্রেন্ট ব্রিজে ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে অবদান রাখেন। যদিও সিরিজটি ভারত ১-৪ ব্যবধানে হেরে গিয়েছিল। ২০১৯ সালে বুমরাহ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে চোট নিয়ে দেশে ফেরেন। খেলতে পারেননি দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ। পরে স্ট্রেস ফ্র্যাকচার ধরা পড়ে। চিকিৎসা চলেছিল ইংল্যান্ডে।
তাড়াহুড়োতেই সমস্যা বাড়ছে?
চলতি বছর ব্যাক স্প্যাজমের কারণে এশিয়া কাপে খেলতে পারেননি। সপ্তাহ চারেকের রিহ্যাবের পর ফিট হয়ে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে দলে ফেরেন। প্রথম ম্যাচে খেলেননি। পরের দুটি ম্যাচ খেলে ফের চোটের কবলে। পিঠের চোট সারাতে যেখানে পর্যাপ্ত বিশ্রাম জরুরি, সেখানে তাড়াহুড়ো করে মাঠে নামাতেই বিপত্তি বাড়ছে কিনা সে প্রশ্ন থাকছেই।
জসপ্রীত বুমরাহকে নিয়ে ঝুঁকি নেবে না বিসিসিআই, পিঠের চোট কি কেরিয়ার থামিয়ে দেওয়ার মতো?