
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জেতা ম্যাচ মাঠে ফেলে আসায় ক্রুদ্ধ কাইফ, উগড়ে দিলেন ক্ষোভ
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজের প্রথম ম্যাচে অবিশ্বাস্য হারের সাক্ষী থেকেছে ভারত। এক উইকেটে ভারতকে পরাজিত করেছে বাংলাদেশ। শেষ উইকেটে ৫১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে বাংলাদেশকে জয় এনে দেন মেহদি হাসান মিরাজ এবং মুস্তাফিজুর রহমান।

ভারতের ব্যাটিংয়ের ভিত টলিয়ে দেন শাকিব-এবাদত:
এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করে ১৮৬ রান তোলে ভারত। শাকিব আল হাসান এবং এবাদত হোসেনের জোড়া ফলা ভারতীয় ব্যাটিংকে ভেঙে দেয় তাসের ঘরের মতো। শাকিব একা নেন পাঁচটি উইকেট এবং এবাদত নেন চারটি উইকেট। ৪১.২ ওভারে ১৮৬ রানে ভারতকে গুটিয়ে দেয় বাংলার টাইগাররা। বাংলাদেশের অপর একটি উইকেট পান মেহদি হাসান মিরাজ। বিরাট কোহলি এই ম্যাচে ৯ রানে আউট হন, রোহিত শর্মা করেন ২৭ রান, শিখর ধাওয়ানের ব্যাট থেকে আসে ৭ রান। একমাত্র ভারতীয় ব্যাটসম্যান যিনি রান পান তিনি কে এল রাহুল। সব ব্যাটার যখন ব্যর্থ তখন রাহুল করেন ৭৩ রান।

শেষ উইকেটে ৫১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে বাংলাদেশ:
কম রানের ম্যাচে ভারতকে চালকের আসনে ফিরিয়ে আনেন বোলাররা। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা ঢেকে দেন বোলাররা। ৩৯.৩ ওভারে বাংলাদেশের ৯ নম্বর উইকেটের পতন হয় ১৩৬ রানে। এই পরিস্থিতি থেকে ভারতের জয় তুলে নেওয়া ছিল দিনের আলোর মতোই সহজ। বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলিং লাইন এই জায়গা থেকে হারতে পারে তা অকল্পনীয়। যেমনটা কার্যত অসম্ভব ছিল বাংলাদেশের জন্য শেষ উইকেটে ৫১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে জয় তুলে নেওয়া। কিন্তু সেই অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখালেন ম্যাচের সেরা মেহদি হাসান মিরাজ এবং মুস্তাফিজুর রহমান। ৩৯ বলে অপরাজিত ৩৮ রান করেন মেহদি এবং ১১ বলে অপরাজিত ১০ রান করেন মুস্তাফিজুর।

ভারতের হারে ক্রুদ্ধ মহম্মদ কাইফ:
ভারতের এই অবাক হারে বাকরুদ্ধ এবং অত্যন্ত ক্রুদ্ধ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সোনার ভারতীয় দলের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মহম্মদ কাইফ। এই সিরিজের সম্প্রচারকারের দায়িত্বে থাকা সংস্থার ম্যাচের শেষের অনুষ্ঠানে কাইফ বলেন, "ম্যাচটার ইন্ডিয়ার ছিল। ৯ উইকেট তুলে নিয়েছিল ওরা। অসাধারণ বোলিং হয়েছিল এবং ব্যাটাররা খারপ খেললেও বোলারদের জন্য ম্যাচে ফিরে এসেছিল ওরা। ৪০ ওভার পর্যন্ত ঠিক ছিল, কিন্তু শেষ ১০ ওভার, আমাদের ডেথ বোলার কে? দীপক চাহার নাকি কুলদীপ সেন?"

হারের জন্য দায়ী ফিল্ডিং-ও:
ভারতের এই হারের জন্য অধিকাংশ সমর্থকের মতোই নিম্নমানের ফিল্ডিংকে দায়ী করেছেন কাইফ। তিনি বলেছেন, "আমরা ক্যাচ ড্রপ করেছি। কে এল রাহুল সাধারণত এমনটা করে না। ও ভাল ফিল্ডার। টি ২০ বিশ্বকাপে সরাসরি থ্রো করে লিটন দাসকে রান আউট করেছিল ও। সুন্দর ডাইভ মেরে ক্যাচটা ধরার চেষ্টা পর্যন্ত করেনি। দেখে মনে হচ্ছিল ফিল্ডাররা চাপে রয়েছে। আমরা চাপের মুখেই ভুল করি। আমরা ওয়াইড বল এবং নো বল করেছি। বিশ্বকাপ জিততে হলে চাপ কাটিয়ে উঠতে হবে। এই ভাবেই একটা দল তৈরি হয়, নিউজিল্যান্ড বা ইংল্যান্ড যার কথাই বলুন, এরাই এখনও সাদা বলের ক্রিকেটে টপে রয়েছে। মেহদি হাসান মিরাজ এ দিন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের শিখিয়েছেন কী ভাবে খেলতে হয়। কিন্তু আমার মনে হয় তরুণ বোলাররা শেষ দশ ওভারে ম্যাচ শেষ করতে ব্যর্থ হয়েছে। "