দীর্ঘ আঠেরো বছরের আন্তর্জাতিক কেরিয়ার’কে বিদায় জানালেন এই পাক তারকা
দীর্ঘ আঠেরো বছরের আন্তর্জাতিক কেরিয়ার’কে বিদায় জানালন এই পাক তারকা
পাকিস্তান ক্রিকেটে একটি যুগের অবসান ঘটল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করলেন মহম্মদ হাফিজ। দীর্ঘ ১৮ বছরের বেশি সময় পাকিস্তান ক্রিকেট'কে সেবা করার পর ব্যাট-প্যাড তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন হাফিজ। ২০১৮ সালে টেস্ট ক্রিকেট'কে বিদায় জানিয়েছিলেন, এ বার আন্তর্জাতিক স্তরে সব ধরনের ক্রিকেট থেকেই অবসর নিলেন পাকিস্তানের তরুণ প্রজন্মের আইকন।
২০০৩ সালে পাকিস্তানের জার্সিতে অভিষেক হয় মহম্মদ হাফিজের। দেশের হয়ে ৫৫টি টেস্ট, ২১৮টি ওডিআই এবং ১১৯টি টি-২০ ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করেন হাফিজ। নিজের কেরিয়ার ৩২টি ম্যাচে সেরার পুরস্কার জিতেছেন হাফিজ। পাকিস্তানী ক্রিকেটারদের মধ্যে যা চতুর্থ সর্বোচ্চ। পাক ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বাধিক ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন শাহিদ আফ্রিদি (৪৩), ওয়াসিম আক্রম (৩৯) রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে। ৩৩ বার ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক ইনজামাম-উল-হক।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ালেও ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগে হাফিজ'কে খেলতে দেখা যাবে। আসন্ন পাকিস্তান সুপার লিগের জন্য তাঁকে সই করিয়েছে লাহোর কালান্দার্স।হাফিজ আগেই জানিয়েছিলেন পাকিস্তানর জার্সিতে ২০২০ টি-২০ বিশ্বকাপ তাঁর শেষ প্রতিযোগীতা হতে চলেছে। কিন্তু কোভিডের কারণে এক বছর পিছিয়ে ২০২১-এ আয়োজিত হয় এই ফ্ল্যাগশিপ টুর্নামেন্ট।
৪১ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার দেশের হয়ে ৫৫টি টেস্টে ৩৬৫২ রান করেছেন। ৩৭.৬৪ গড়ে তাঁর শতরান রয়েছে ১০টি এবং অর্ধ-শতরান সংখ্যা ১২। এই ফরম্যাটে হাফিজের সর্বোচ্চ রান ২২৪। ৫৫টি টেস্টে ৫৩টি উইকেটও রয়েছে তাঁর। সেরা বোলিং ফিগার ৪/১৬।
ওডিআই ফরম্যাটে হাফিজ পাকিস্তানের জার্সিতে ২১৮ ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ৩২.৯০ গড়ে তাঁর সংগৃহীত রান ৬৬১৪। ১১টি শতরান এবং ৩৮টি অর্ধশতরান রয়েছে তাঁর এই ফরম্যাটে। ওডিআই-তে হাফিজের সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৪০। এই ফরম্যাটে ১৩৯টি উইকেটও রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। টি-২০ ফরম্যাটেও পাকিস্তানের হয়ে শতাধিক ম্যাচ খেলেছে হাফিজ। ১১৯টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচে হাফিজ ২৫১৪ রান করেছেন। একটি শতরান না পেলেও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ১৪টি অর্ধশতরান। স্ট্রাইক রেট ১২২.০৩। এই ফরম্যাটে হাফিজ ৬১টি উইকেট পেয়েছেন।
গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরশাহী'তে আয়োজিত টি-২০ বিশ্বকাপে খুব ভাল পারফরম্যান্স ছিল না হাফিজের। গোটা প্রতিযোগীতায় তাঁর সংগ্রহ ছিল মোট ৮৫ রান এবং একটি উইকেট। যদিও প্রথম ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে নামতে হয়নি হাফিজ'কে। ওপেনিং করতে নেমে মহম্মদ রিজওয়ান এবং বাবর আজমের চওড়া ব্যাটের উপর ভর করে ১০ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল পাকিস্তান। ভারতের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের মঞ্চে এটাই ছিল পাকিস্তানের প্রথম জয়।