কামিন্স-স্টার্কদের চিন্তা বাড়িয়ে 'স্যান্ডপেপার' কাণ্ডে মুখ খুললেন ক্লার্ক-গিলক্রিস্ট
কামিন্স-স্টার্কদের চিন্তা বাড়িয়ে 'স্যান্ডপেপার' কাণ্ডে মুখ খুললেন ক্লার্ক-গিলক্রিস্ট
২০১৮ সালের কুখ্যাত বল বিকৃতি কাণ্ড নিয়ে এবার মুখে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক ও অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। স্যান্ডপেপার কাণ্ডের অন্যতম কালপ্রিট ক্যামেরন ব্যানক্রফট নতুন করে যে দাবি করেছেন, তা নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত বলেই মনে করেন বিশ্বকাপজয়ী দুই অস্ট্রেলিয় রথী। তাঁদের এই বক্তব্য যে প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্কদের চিন্তা বাড়াবে, তা অনায়াসে বলা চলে।
কী বললেন ক্লার্ক
ম্যাচ চলাকালীন দলের কোনও ফিল্ডার বলে বিকৃতি ঘটালে বোলাররা তা টের পাবেন না, তা মোটেই বিশ্বাস করেন না মাইকেল ক্লার্ক। তাঁর কথায়, আন্তর্জাতিক স্তরে অংশ নেওয়া ক্রিকেটাররা এতটাই দক্ষ হন যে তাঁরা বল ধরেই সেটির আকৃতিগত পরিবর্তন অনায়াসে বুঝতে পারেন। ফলে ২০১৮ সালের ওই ঘটনা যে স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার, ক্যামেরন ব্যানক্রফট সহ অস্ট্রেলিয়ার প্রতি সদস্য ওয়াকিবহাল ছিলেন, তা নিশ্চিতভাবে দাবি করেছেন ২০১৫ সালের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। ক্যামেরনের মন্তব্যে যে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের রাতের ঘুম উড়তে চলেছে, তাও বুঝতে পারছেন ক্লার্ক।
কী বললেন গিলক্রিস্ট
২০১৮ সালের স্যান্ডপেপার কাণ্ডের ক্যামেরন ব্যানক্রফটের দাবির সমর্থন করেছেন কিংবদন্তি অ্যাডাম গিলক্রিস্টও। তাঁর কথায়, ঠিক ভাবে তদন্ত হলে এই ঘটনায় আরও অনেকের নাম জড়িয়ে পড়তে পারত। ফলে এই ঘটনার সঙ্গে আটকে থাকা অনেক তথ্যই তালাবন্দী থেকে গিয়েছে বলেও মনে করেন গিলক্রিস্ট। স্বচ্ছতার খাতিরে কুখ্যাত ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তও দাবি করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক তথা উইকেটরক্ষক।
ব্যানক্রফটের নতুন দাবি
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের ভুল মেনে নিয়েও ক্যামেরন ব্যানক্রফট জানিয়েছিলেন, 'স্যান্ডপেপার' কাণ্ডের যুক্ত সেই অস্ট্রেলিয়া দলের সব ক্রিকেটার। বিশেষ করে সেই দলের বোলারদেরও অভিযোগের কাঠগড়ায় তোলা উচিত ছিল বলে জানিয়েছিলেন প্রাক্তন অজি ওপেনার। তাঁর কথায়, বল বিকৃতির ব্যাপারে দলের সবাই সবকিছু জানতেন। অথচ বেছে বেছে স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার ও তাঁকে বলির পাঠা করা হয় বলেও জানিয়েছেন হতাশ ক্যামেরন।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার বক্তব্য
ক্যামেরন ব্যানক্রফটের নতুন দাবির জবাবে ২০১৮ সালের বল বিকৃতি কাণ্ড নিয়ে তাদের কাছে নতুন তথ্য জমা পড়েনি বলে জানিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। 'স্যান্ডপেপার' কাণ্ডে তাদের হাতে নতুন কোনও তথ্য-প্রমাণ জমা পড়লে, এ ব্যাপারে ফের তদন্তের দরজা খোলা হবে বলেও জানিয়েছে অজি ক্রিকেট বোর্ড। তাদের বক্তব্য, নিজের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ব্যানক্রফটকে বিস্তারিত বর্ণনা সহ উপযুক্ত প্রমাণ জমা করতে হবে।
২০১৮ সালের বল বিকৃতি কাণ্ড
২০১৮ সালে কেপ টাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্টে বল বিকৃতির অভিযোগ উঠেছিল অস্ট্রেলিয়ার তৎকালীন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ, ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরন ব্যানক্রফটের বিরুদ্ধে। ক্যামেরায় তাঁদের কুকীর্তি ধরাও পড়েছিল। ৯ মাসের জন্য ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত হয়েছিলেন ব্যানক্রফট। স্মিথ এবং ওয়ার্নারকে এক বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। সেই জড়তা কাটিয়ে স্মিথ ও ওয়ার্নার ফিরে আসতে পারলেও অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল প্রত্যাবর্তন ঘটেনি ব্যানক্রফটের।
ভনের 'ম্যাচ ফিক্সিং' মন্তব্যের পাল্টা 'মানসিক কোষ্ঠকাঠিন্য'-এর খোঁচা বাটের