ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বন্দে মাতরম ধ্বনি কীভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল ধোনিকে? মাহি ফিরলেন বিশ্বজয়ের রাতে
২০১১ সালের ২ এপ্রিল। তিরাশির পর সেবারই প্রথম ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কা প্রথমে ব্যাট করে তুলেছিল ৬ উইকেটে ২৭৪। ভারত ৬ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল ১০ বল বাকি থাকতেই। ৪৮.২ ওভারে নুয়ান কুলশেখরার বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ইতিহাস গড়েন মাহি। একমাত্র ভারত অধিনায়ক হিসেবে দুটি বিশ্বকাপ জয় সুনিশ্চিত করে।
এক সাক্ষাৎকারে মহেন্দ্র সিং ধোনি জানিয়েছেন সেই স্মরণীয় ঐতিহাসিক রাতের অভিজ্ঞতার কথা। ধোনির কথায় উঠে এসেছে কীভাবে বন্দে মাতরম ধ্বনি অনুপ্রাণিত করেছিল তাঁকে। তিনি বলেছেন, ভারতের জিততে তখনও ১৫-২০ রান দরকার। হঠাৎ গোটা স্টেডিয়াম-জুড়ে উঠল বন্দে মাতরম ধ্বনি। এমনিতে কোনও কিছু আমাকে শিহরিত করে না। তবে ওই ধ্বনি আমাকে প্রত্যয়ী করে তুলল স্মরণীয় কিছু করে দেখানোর জন্য।
একটি জায়গা থেকে শুরু হয়ে স্রোতের মতো সেই ধ্বনি ছড়িয়ে পড়ছিল গোটা স্টেডিয়ামে। বন্দে মাতরম ধ্বনি যেভাবে স্টেডিয়ামের একদিক থেকে আরেকদিকে ছড়িয়ে পড়ছিল তা উপলব্ধি করছিলেন ধোনি। এ এক অনন্য অভিজ্ঞতা। ধোনির কথায়, এমন অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি ঘটলে ভালোই হয়। আমি নিশ্চিতভাবেই তেমন পরিবেশে থাকার সাক্ষী হতে পারলে ভালো লাগবে। ওই অভিজ্ঞতা আমার হৃদয়ে গেঁথে রয়েছে। উল্লেখ্য, ধোনি সেই ফাইনালে ৭৯ বলে ৯১ রান করে অপরাজিত ছিলেন। ম্যাচের সেরার পুরস্কারটিও পেয়েছিলেন।
২০০৭ সালের টি ২০ বিশ্বকাপ জিতে দেশে ফেরার আরেকটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতার কথাও জানিয়েছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। তিনি বলেন, সেবার বিশ্বকাপ জিতে দেশে ফেরার পর মুম্বইয়ে হুডখোলা বাসে করে আমাদের মুম্বই শহর পরিক্রমা করানো হয়েছিল। মেরিন ড্রাইভ কানায় কানায় পরিপূর্ণ ছিল। মানুষ নিজেদের গাড়ি থেকে নেমে আমাদের দেখছিলেন। প্রত্যেকের মুখে হাসি ছিল, সেটিই আমাদের কাছে ছিল সবচেয়ে তৃপ্তির। খুবই ভালো লাগছিল। হয়তো ওই ভিড়ের মধ্যে আটকে অনেকেই বিমান ধরতে পারেননি, হয়তো অনেকে জরুরি কাজে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সেদিন মেরিন ড্রাইভের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত ছিল ভিড়ে ঠাসা। বিশ্বকাপ জিতে দেশে ফিরে এমন অভ্যর্থনা আজীবন মনে থাকবে। এমন অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি সত্যিই কঠিন।