'তোমাদের প্রত্যেকের জন্য আমি গর্বিত', মরিয়া লড়াই করে দেশবাসীর মুখে হাসি ফোটানো দলের প্রশংসায় জয়বর্ধনে
'তোমাদের প্রত্যেকের জন্য আমি গর্বিত', মরিয়া লড়াই করে দেশবাসীর মুখে হাসি ফোটানো দলের প্রশংসায় জয়বর্ধনে
বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যে থেকে এক অভিজ্ঞ, তারকাহীন শ্রীলঙ্কা দল মরিয়া লড়াই এবং হার না মানা মনোভাবের উপর নির্ভর করে এশিয়া কাপ জয়ের পর প্রশংসীত হলেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন অধিনায়ক মহেলা জয়বর্ধনের কাছে। শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি জানিয়েছেন, ছেলেরা চারিত্রিক দৃঢতা এবং দেশের জন্য খেলার আবেগের পরিচয় দিয়েছে।
|
শ্রীলঙ্কা দলের জন্য গর্বিত মহেলা জয়বর্ধনে:
এশিয়া কাপ জয়ী ২০২২ শ্রীলঙ্কা দলের প্রশংসায় টুইট করে মহেলা জয়বর্ধনে লিখেছেন, "টস হেরে ভালই হয়েছে। দেশের জার্সিতে খেলার প্রতি আবেগ এবং চারিত্রিক দৃঢতার পরিচয় দিয়েছো। প্রত্যেকের জন্য আমি গর্বিত। এই জয়কে উপভোগ করো যে ভাবে সমগ্র দেশ উপভোগ করছে। দুর্দান্ত টিম এফোর্ট।"
যে পথে এশিয়া কাপ জয় করেছে শ্রীলঙ্কা:
শুরুটা প্রত্যাশা মতো না হলেও শেষটা স্মরণীয় করে রেখেছে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু প্রতিযোগীতার উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার পারফর্ম্যান্স দেখে এই দলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথা কল্পনা করেননি অতি বড় সমর্থকও। প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৮ উইকেটে পরাস্ত হয় শ্রীলঙ্কা। কিন্তু তার পর থেকে আর কোনও ম্যাচ শ্রীলঙ্কা হারেনি। গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে দুই উইকেটে পরাজিত করে সুপার ফোরে জয়গা করে নেয় শ্রীলঙ্কা। সুপার ফোরে তিন ম্যাচেই এই দল অপরাজিত ছিল। সুপার ফোরে নিজের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৪ উইকেটে পরাজিত করে, দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে তারা হারায় ৬ উইকেটে। ফাইনালের আগে সুপার ফোরে নিয়মরক্ষার ম্যাচে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়েছিল ডসুন শনকার দল। এর পর ফাইনালেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২৩ রানে জয় তুলে নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল শ্রীলঙ্কা।
ফাইনালে পারফরম্যান্স:
ডসুন শনকার দল ছন্দে থাকা পাকিস্তানকে ২৩ রানে হারিয়ে ষষ্ঠ বারের জন্য শ্রীলঙ্কাকে এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন করল। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের সেরা উদাহরণ রেখে ফাইনালে শক্তিশালী পাকিস্তানকে পরাজিত করেছে শ্রীলঙ্কা। ৫৮/৫ থেকে ১৭০/৬-এ শেষ করতে গেলে প্রয়োজন পড়ে নিজের উপর মারাত্মক আত্মবিশ্বাস এবং হার না মানা মনোভাব। দীপরাষ্ট্রের দলটি সেই শপথ নিয়েই মাঠে নেমেছিল। শ্রীলঙ্কাকে লড়াই চালানোর মতো রান বোর্ডে তুলতে সাহায্য করেন ভানুকা রাজাপক্ষ। পাঁচ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ভানুকার ৪৫ বলে ৭১ রানের অপরাজিত ইনিংস শ্রীলঙ্কাকে লড়াইয়ের মতো জায়গায় পৌঁছে দেয়। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ৩৬ রান করেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। পাকিস্তানের হয়ে তিন উইকেচ পান হ্যারিস রউফ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৪৭ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। মহম্মদ রিজওয়ান (৫৫) এবং ইফতিকার আহমেদ (৩২) ছাড়া কোনও পাক ক্রিকেটারই দাঁড়াতে পারেননি। প্রমোদ মদুশন একাই ৪ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডারের ভিত নাড়িয়ে দেন। এ ছাড়া একই ওভারে তিন উইকেট নিয়ে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন। দুই উইকেট নেন চামিকা করুণারত্নে এবং এক উইকেট নেন মহেশ থিকশানা।
সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে পেরে গর্বিত:
আনকোরা, অনভিজ্ঞ একটা দলকে সঙ্গে নিয়ে এশিয়া কাপ জেতা শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ডসুন শনকা বলেন, "আমি সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমাদের (ভাল-খারাপ সময়ে) সব সময়ে সমর্থন করে গিয়েছেন তাঁরা। আশা করি আজ তাঁদের গর্বিত করতে পেরেছি আমরা। পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ড এবং নির্বাচকদেরওধন্যবাদ জানাতে চাই আমি।"