হার্দিক-রাহুলের পাশে এবার স্বয়ং প্রেসিডেন্ট! সিওএ-কে লেখা চিঠিতে জমে গেল নাটক, হবে না এসজিএম-ও
হার্দিক পাণ্ডিয়া ও কেএল রাহুলের নির্বাসন তুলে নেওয়ার জন্য বিসিসিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সিকে খান্না সিওএ-এর কাছে আবেদন জানলেন। এই বিষয়ে বোর্ডের সাধারণ সভা ডাকার প্রস্তাবও খারিজ করেছেন তিনি।
এবার হার্দিক পাণ্ডিয়া ও কেএল রাহুলের পাশে দাঁড়িয়ে, নাটক জমিয়ে দিলেন বিসিসিআই-এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সিকে খান্নাও। শনিবার তিনি প্রশাসনিক কমিটির তদন্ত চলাকালীন পাণ্ডিয়া ও রাহুলের নির্বাসন তুলে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। এই বিষয়ে বোর্ডের সাধারণ সভা ডাকার প্রস্তাবও তিনি নাকচ করে দিয়েছেন।
'কফি উইদ করণ' টকশো-তে গিয়ে খোলাখুলি বহু মহিলার সঙ্গে যৌনসম্পর্ক স্থাপন করার বিষয় স্বীকার করা ও তা নিয়ে হাসি ঠাট্টা করেছিলেন দুই ভারতীয় ক্রিকেটার হার্দিক পাণ্ডিয়া ও কে এল রাহুল। স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের সেই আচরণকে সমর্থন করেননি কেউ।
সমস্যা হল তাদের শাস্তি দিতে গিয়ে এমনই বাড়াবাড়ি শুরু করেছে বিসিসিআই তথা তাদের কমিটি অব অ্যাডমিনেস্ট্রেটর্স, যে হার্দিক-রাহুলের অপরাধের দিক থেকে ফোকাস সরে গিয়েছে সিওএ-এর খামখেয়ালিপনায়। অভিযোগ উঠেছে সিওএ সদস্য ডায়না এডুলজি এই দুইজনের কোর ধ্বংস করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে ওই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিওএ। এই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত দুইজনকেই নির্বাসিত করা হয়েছে। তদন্ত করার জন্য একজন ন্য়ায়পাল নিয়োগের অনুমতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল বোর্ড। আদালতের নির্দেশে পুরো বিষয়টি এক সপ্তাহ পিছিয়ে গিয়েছে। ফলে অস্ট্রেলিয়ার পর নিউজিল্যান্ড সফরেও তাঁদের না খেলতে পারার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সিকে খান্না সিওএ সদস্যদের এক চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, তাঁদেরস ইতিমধ্য়েই সাস,পেন্ড করা হয়েছে এবং অস্ট্রেলিয়া সফরের মাঝপথে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। তারা দুজনে নিঃশর্ত ক্ষমাও চেয়েছে।
বোর্ড সভাপতি মনে করছেন এতেই যথেষ্ট শাস্তি পেয়েছেন তাঁরা। তাঁর আবেদন তদন্ত চলুক, কিন্তু দুই ক্রিকেটারকে খেলার মাঠে ফেরানো হোক। নিউজিল্যান্ডেই যত দ্রুত সম্ভব দলের সঙ্গে যোগ দিন তাঁরা এটাই খান্না চান।
এই বিষয়ে ন্য়ায়পাল নিয়োগের আগে আলোচনার জন্য প্রায় ১৪টি রাজ্য সংস্থা, এমনকী বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ অনিরুধ চৌধুরিও কান্নার কাছে একটি বিশেষ সাধারণ সভা ডাকার আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু শনিবার বোর্ড সভাপতি জানান, বোর্ডের সংবিধান অনুযায়ী ন্য়ায়পাল নিয়োগ করা যায় কেবল বার্ষিক সাধারণ সভায়। এছাড়া এই বিষয়টি এখন আদালতের অধীনে রয়েছে। কাজেই এখন এই বিষয়ে বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান করা সম্ভব নয়।